শিক্ষাবার্তা
এপ্রিল-মে-জুন ২০১৭ সংখ্যা
সম্পাদক ও প্রকাশক: আফরোজান নাহার রাশেদা, ঢাকা।
পৃষ্ঠা: ৮৫, মূল্য: ৩৫টাকা
এই সংখ্যার সূচীপত্র দেখে নেয়া যাক। এই সংখ্যার সূচীতে বরাবরের মতো প্রাজ্ঞ লেখকদের গভীর চিন্তনের পরিচিতিমূলক শিরোনামগুলো জ্বলজ্বল করছে।
সূচীপত্র:
- সম্পাদকীয়
- সমকালীন বিশ্ব-পরিস্থিতি ও বঙ্গবন্ধু-সম্পাদিত প্রবন্ধ
- শিক্ষা ও শ্রেণী সম্পর্ক- হায়দার আকবর খান রনো
- নববর্ষ-বাঙালি জাতিসত্তার অপরিহার্য উৎসব- কাজী মদিনা
- রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শনে উন্নয়নভাবনা-শিপ্রা সরকার
- যে ঋণ পরিশোধ না-করে বৃদ্ধি করাই ভালো-ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
- অদৃষ্টবাদের আগ্রাসন: মুক্তি কোন পথে? - ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক
- গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি কাঠামোগত অন্যায্যতার প্রমাণ- ড. এম শামসুল আলম
- পরিবেশ দিবস এবং মানুষ ও প্রকৃতি- ড. আইনুন নিশাত
- তথ্য-প্রযুক্তি খাতে জনগণের অর্থের যত অপচয়- ড. মো. সোহেল রহমান
- শিক্ষকের মান-অপমান- ড. মিহির কুমার রায়
- জে.বি.বিউরি-র চিন্তায় স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস- অনুবাদ: অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম
- নার্স নেলী- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন
- সাহিত্যলোক- গোলাম কিবরিয়া পিনু, রেখা চৌধুরী, হিমেল বরকত, ড. শফিউদ্দিন আহমদ
- ইতিহাসের পাতা থেকে- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র ষষ্ঠ খণ্ড
- পঁচিশ বছরের শিক্ষা ব্যবস্থার দর্পণ: সম্পাদকীয় শিক্ষাবার্তা- নাজনীন বেগম
- শিক্ষা সংবাদ- দৈনিকের পাতা থেকে
'শিক্ষাবার্তা' পত্রিকার সম্পাদক আফরোজান নাহার রাশেদা তাঁর সম্পাদকীয়তে এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। পত্রিকার এই সংখ্যায় তাঁর সম্পাদকীয়র শিরোনাম 'কাকে শিক্ষিত বলা যায়?’ তিনি সমকালীন সমাজের একাধিক ঘটনার বর্ণনা করেছেন, সমকালের শিক্ষিত মানুষদের বিভিন্ন অনাচারের, অযাচারের বিবরণ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেছেন। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের সূত্র টেনে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি তৈরি হয়- সে দেশকে শিক্ষিতের দেশ বলা যায় না। কারণ তিনি জানেন-
“শিক্ষিত তো সেই ব্যক্তি- যার আলোয় অন্যরাও আলোকিত হয়, উদ্ভাসিত হয়; আদর্শ, সততা, সত্যবাদীতায় ভাস্বর হয়, নীতি নিষ্ঠ হয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়।"
আমরাও তাই দেখতে চাই। শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে শিক্ষিতের চিহ্ন স্পষ্ট হোক; শিক্ষিত ও অশিক্ষিতের আচরণবৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট হোক। শিক্ষিত সুধীজন নিজেদের বিভিন্ন আচরণ ও কর্মের মধ্য দিয়ে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখুন। নতুন প্রজন্মের সামনে শিক্ষিত ও অশিক্ষিতের পার্থক্য উদঘাটিত হোক।
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম