জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০১৭ সংখ্যা
সম্পাদক ও প্রকাশক: আফরোজান নাহার রাশেদা, ঢাকা।
পৃষ্ঠা: ৮৫, মূল্য: ৩৫টাকা
সাতাশ বৎসর ধরে প্রকাশিত হয়ে আসা শিক্ষাবার্তা মাসিক পত্রিকা বরাবরের মতো তথ্যবহুল লেখায় ঠাসা। এবারের সংখ্যায় বেশ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ লেখা আছে। সুচীপত্র দেখলেই প্রকাশিত লেখাগুলো সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হবে।
সূচীপত্র:
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ
- বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ-মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুছ
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নাকি বিশ্ববিদ্যালয়?- শেখ নাহিদ নিয়াজী
- আগামীর শিক্ষক ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মঃ বেতন পদোন্নতি- এমএম রহমান
- অক্টোবর বিপ্লবের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য- ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
- কালের ভেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান- এ. এন. রাশেদা
- শিক্ষা, শিক্ষক আন্দোলন ও প্রাসঙ্গিক কথা- অধ্যক্ষ আকমল হোসেন
- উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদি রথে বেগম- এর সত্তুর বছর নিরন্তর পথ চলা- কাজী মদিনা
- সুগৃহিণী- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন
- জে. বি. বিউরি-র চিন্তার স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস- ভাবানুবাদঃ শহিদুল ইসলাম
- পিতৃপরিচয়- জাকির তালুকদার
- বিদ্যুৎখাত নিয়ে নানাভাবনা দুর্ভাবনাঃ ভোক্তাদের লোকসান- ড. এম শামসুল আলম
- সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ ও সংস্কৃতির উপর হামলা: রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিচায়ক কি?- শ্যামল কুমার সরকার
- প্রকৃতিবিদ অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা
- ধর্মনিরপেক্ষতা গণতন্ত্রের অপরিহার্য অঙ্গ- অধ্যাপক ড. সালাহ্উদ্দীন আহমদ
- ইতিহাসের পাতা থেকে- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র; ৬ষ্ঠ খণ্ড
- শিক্ষা সংবাদ
পত্রিকা হাতে নিয়ে সূচীপত্র দেখলে আর অন্য কোন কাজে মন বসানো সম্ভব নয়। মাথায় নিবন্ধের শিরোনাম ও লেখকদের নাম বারবার প্রলুব্ধ করতে থাকে।
‘শিক্ষাবার্তা’ পত্রিকার ‘সম্পাদকীয়’তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও তার বিশ্লেষণ থাকে। শিক্ষা প্রসঙ্গে নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিত্ব আফরোজান নাহার রাশেদা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সব ধরণের খোঁজ খবর রাখেন। তিনি এই সংখ্যার সম্পাদকীয়তে বলেন
১৯৬২ সাল। পাকিস্তানি শাসক সামরিক জান্তা ফিল্ড মার্শাল মো. আইয়ুব খানের দেয়া শরিফ কমিশন- এর শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম গর্জে উঠেছিল ছাত্রসমাজ। সে ছিল শিক্ষাসংকোচন নীতি। প্রাণ ঝরেছিল মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহসহ নাম না জানা অনেকের। তারই পথ ধরে ৬৬-র ৬-দফা, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০- এর নির্বাচন ও '৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ।… ১৯৬২ থেকে ২০১৭। এই ৫৪ বছর পর বরতে হচ্ছে: মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ- তোমাদের আত্মদান 'বর্তমান সময়' – বিস্মৃত। তোমাদের ঋণ আমরা পরিশোধ করতে পারছি না। পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্ত হয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরও।
সম্পাদকের কণ্ঠে ঝরে পড়া হতাশা শিক্ষাপ্রেমী সকলকে স্পর্শ করবে। ইতিহাসের চেতনা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রভাব ফেলুক, দেশপ্রেমী নতুন প্রজন্ম তৈরি হোক সম্পাদকের এতটুকুই প্রত্যাশা। এ প্রত্যাশা একেবারে অমুলক নয়।
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম