সম্পাদক: হাসান হাফিজুর রহমান
প্রকাশক: সময় প্রকাশন, ঢাকা।
প্রচ্ছদপট: আমিনুল ইসলাম
রেখাঙ্কন: মূর্তজা বশীর ও অন্যান্য
প্রথম প্রকাশ: মার্চ ১৯৫৩
সময় প্রথম প্রকাশ: বইমেলা ২০০১
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৪৯
মূল্য: ৮০/= টাকা
ISBN: 984-458-314-4
উৎসর্গ: যে অমর দেশবাসীর মধ্যে থেকে জন্ম নিয়েছেন একুশের শহীদেরা, যে অমর দেশবাসীর মধ্যে অটুট হয়ে রয়েছে একুশের প্রতিজ্ঞা, - তাঁদের উদ্দেশ্যে।
১৯৫২ সালের ভয়াবহ ২১ ফেব্রুয়ারিকে স্মরণ করে পরের বছরই প্রকাশিত হয় একটি স্মরণিকা। ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত সেই স্মরণিকার নাম 'একুশে ফেব্রুয়ারী', সম্পাদনা করেছেন হাসান হাফিজুর রহমান। হৃদয়ের সবটুকু আবেগ ও ভালোবাসা ঢেলে তিনি এই বইটিকে সাজিয়েছেন। সংকলনটির প্রকাশক মোহাম্মদ সুলতান এর ভাষ্যে জানা যায় তিনি অনেক কষ্টে পিতার জমি বিক্রি করার টাকা দিয়ে এই সংকলনটি প্রকাশ করেছিলেন। মনি হায়দার নামক আর একজন লেখকের মতে সংকলনটি প্রকাশের টাকা এসেছিল মায়ের গহনা বিক্রি করে (সূত্র: একুশের চেতনার মশালবাহী হাসান হাফিজুর রহমান- প্রথম সোপান ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ ও লিটল ম্যাগাজিন - মনি হায়দার, দৈনিক ইত্তেফাক, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৪)। তবে যেভাবেই টাকার সংস্থান হোক না কেন হাসান হাফিজুর রহমান চেয়েছিলেন বায়ান্ন এর বাংলা ভাষা সম্পর্কিত মানুষের প্রতিবাদী ভাবনাগুলোকে মুদ্রিত করে রাখতে।
ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের সর্বক্ষেত্রে বিশেষ করে রাজনীতি বিষয়ে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে প্রবল সচেতনতা সৃষ্টি হয়। মানুষের এই সচেতন ভাবাবেগকে স্থায়ী করে রাখবার জন্য সেগুলো একত্রিত করে মুদ্রিত রূপ দেবার ইচ্ছে ছিল হাসান হাফিজুর রহমানের মনে। যার ফলে জন্ম হয় একুশে ফেব্রুয়ারিকে নিয়ে নানাজনের লেখার প্রথম স্মরণীয় সংকলন 'একুশে ফেব্রুয়ারী'।
একুশের প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, গান, নকশা ও ইতিহাস দিয়ে সাজানো এই পত্রিকা বাঙালির বাংলা ভাষাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক লড়াইয়ের ইতিহাসে একটি অমর সংযোজন। বইয়ের শেষ প্রচ্ছদে সংকলক লিখেছেন:
একুশের চৈতন্য সারা দেশে ব্যাপ্ত। আলাদা করে এ কারো নয়, তেমনি কাউকে বাদ দিয়েও এ নয়। সারা দেশের শিরায় শিরায় এমন অগ্নিপ্রভ স্রোত বুঝি আর হয় না, মাতৃ-ভাষার প্রেরণা ছাড়া এমন দোলা বুঝি মানুষের মনে আর কখনো লাগে না!সত্যি তাই। বাংলা ভাষার পক্ষে দাবী আদায়ে সারা দেশের বাংলা ভাষাপ্রেমী বাঙালিরা সবাই যেন এক হয়ে গিয়েছিল। লেখক, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক কর্মী, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, চাকুরিজীবী সকলে বাংলা ভাষার প্রশ্নে একসূত্রে গাঁথা হয়ে গিয়েছিলেন। সকলের মুখে তখন দাবী ছিল একটাই - "রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই"। একুশে ফেব্রুয়ারি সারা বাংলার মানুষের চেতনায় ছিল এক প্রবল আঘাত। বাংলার আপামর মানুষ যে সমৃদ্ধ জীবনের, স্বাধীন প্রতিবেশের স্বপ্ন নিয়ে ভারত ভেঙেছিল, তা মুহূর্তেই মিথ্যে হয়ে যায়। তারা জেগে ওঠে এক স্বকপোলকল্পিত স্বপ্নজগত থেকে। আর এর প্রতিধ্বনি শোনা যায় 'একুশে ফেব্রুয়ারী' পত্রিকাটির 'একুশে ফেব্রুয়ারী' নামাঙ্কিত সম্পাদকীয়তে। এই সম্পাদকীয়টি সাহিত্যিক ব্যঞ্জনায় ধ্রুপদী মর্যাদা লাভ করেছে। যুগে যুগে বঞ্চিত মানুষের আত্মমর্যাদা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে এই সম্পাদকীয়র ভাষ্য প্রেরণা দিয়ে যাবে। আমরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সম্পূর্ণ ভূমিকাটি পুনঃপ্রকাশ করছি।
রক্ত দিয়ে আমরা প্রতিটি হৃদয় এই আত্মদর্শনকে অর্জন করেছি; রক্তের অক্ষরে আমাদের প্রতিটি সাহিত্যিক এই মহাগাথাকে লিপিবদ্ধ করেছেন। তাই সারা দেশে একুশের কাহিনী আবেগে অমোঘ, বিশ্বাসে অনন্য।
এই অনন্যতার বাইশটি প্রতিলিপি এঁকেছেন এই গ্রন্থে- গল্পে, প্রবন্ধে, নকসায়, কবিতা আর গানে বাইশটি শক্তিমন্থ হাত! আমাদের দেশের কোন সাহিত্যিক এত আগ্রহ বুঝি আর কিছু কখনো লেখেন নি, কখনো এত একান্ত করে বুঝি কিছু অনুভবও করেন নি। তাই এ সংকলন এমন বিশ্বাসের দুর্লভ নিদর্শন যার নিদর্শন ইতিহাসেও দুর্লভ!
একুশে ফেব্রুয়ারী
একটি মহৎ দিন হঠাৎ কখনো জাতির জীবনে আসে যুগান্তের সম্ভাবনা নিয়ে। পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাসে একুশে ফেব্রুয়ারী এমনি একটি যুগান্তকারী দিন।
শুধু পাক-ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে নয়, একুশে ফেব্রুয়ারী সারা দুনিয়ার ইতিহাসে এক বিস্ময়কর ঘটনা। দুনিয়ার মানুষ হতচকিত বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়েছে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার জন্য পূর্ব-পাকিস্তানের জনতার দুর্জয় প্রতিরোধের শক্তিতে, শ্রদ্ধায় মাথা নত করেছে ভাষার দাবীতে পূর্ব-পাকিস্তানের তরুণদের এই বিশ্ব ঐতিহাসিক আত্মত্যাগে। জাতিগত অত্যাচারের বিরুদ্ধে, জনতার গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য দুনিয়াজোড়া মানুষের যুগ যুগ ব্যাপী যে সংগ্রাম একুশে ফেব্রুয়ারী তাকে এক নতুন চেতনায় উন্নীত করেছে।
মেকি আজাদীর রঙিন ছটা আর উজ্জ্বল নতুন দিনের সোনালী স্বপ্ন কোথায় মিলিয়ে গিয়েছে - জাতির জীবনে, সমগ্র দেশের বুকে নেমে এসেছে নিরন্ধ্র অন্ধকারের কালো বিভীষিকা। সামন্তবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের দোসর প্রতিক্রিয়ার দানবীয় নিস্পেষণে দেশের অর্থনৈতিক জীবন পংগু, শিক্ষার অধিকার, ভাষা ও সংস্কৃতির স্বাধীনতা বিপর্যস্ত, গণতন্ত্র নির্বাসিত। আর এই নিঃসীম অন্ধকারের মুখোমুখী দাঁড়িয়ে জনতার জীবন গভীর হতাশায় আচ্ছন্ন।
এমনি দুর্দিনে এক ঝলক আশীর্বাদের আলোর মতোই এলো একুশে ফেব্রুয়ারী। দিনে দিনে যে বিপুল বিক্ষোভ পুঞ্জ পুঞ্জ হয়ে জমেছিল মানুষের মনে মনে, শহীদের পবিত্র রক্তের স্পর্শে যেন কোন মন্ত্রগুণে তার বাঁধ গেল ভেঙে- উচ্ছল জোয়ারের কলধ্বনি ছড়িয়ে পড়ল সারা দেশ জুড়ে।
শহীদের আত্মদান সমগ্র আন্দোলনকে এমন এক পবিত্র মহিমায় মণ্ডিত করল যে দেশের আপামর সাধারণ মানুষ প্রতিক্রিয়ার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এই আন্দোলনে সামিল হতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা বোধ করল না। প্রথম দিকে ছাত্র এবং শহরের মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের উদ্যোগে ভাষা ও সংস্কৃতির এই আন্দোলনের সূত্রপাত হলেও, একুশে ফেব্রুয়ারী তাকে ছড়িয়ে দিল দেশের আনাচে কানাচে, গ্রাম-গ্রামান্তরের সুদূরতম প্রান্তে। শহীদের রক্ত ডাক দিল দেশজোড়া কিষাণের শক্তিকে, মধ্যবিত্তের শক্তিকে - দেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষকে। আর এই বিপুল জমায়েতের সামনে পড়ে সাময়িকভাবে হলেও পিছু হটতে বাধ্য হল প্রতিক্রিয়ার শক্তি।
একুশে ফেব্রুয়ারীর পেছনে দেশ-জোড়া এই বিপুল জমায়েত সম্ভব হয়েছিল, কেননা এ-তো শুধু ভাষা আর সংস্কৃতির প্রশ্নই ছিলই না, এর সাথে জড়িয়ে ছিল আমাদের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন, বিভিন্ন ভাষাভাষী জনতার আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবী, বাঙালীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অস্তিত্বের প্রশ্নও। জাতিগত এবং আঞ্চলিক অত্যাচার ও শোষণের চিরাচরিত সাম্রাজ্যবাদী কায়দার এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দাঁড়াতে পূর্ব-পাকিস্তানের সকল শ্রেণীর দেশপ্রেমিক মানুষ তাই কোনো ত্যাগ স্বীকারেই কুণ্ঠাবোধ করেনি।
একুশে ফেব্রুয়ারী পূর্ব পাকিস্তানে মৃদু গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরই জোয়ার সৃষ্টি করেনি, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ক্ষেত্রেও এনেছে দিগন্ত-বিসারী প্লাবন। প্রতিক্রিয়ার নির্মম হিংসা ও লোভের আগুন থেকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে বাঁচাবার জন্য দেশ জুড়ে জনতার যে দুর্জয় ঐক্য গড়ে উঠেছে পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাসে তার কোন নজির নেই। ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি এই দরদ পূর্ব পাকিস্তানে জনগণের নতুন গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে - আপামর মানুষের মনে আমাদের সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতিকে নতুন সম্ভাবনার পথে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছে।
প্রতিক্রিয়ার শক্তি জনতার বিপুল ঐক্যের সামনে সাময়িক ভাবে পিছু হটলেও আজ আবার নতুন করে তার বিভেদ এবং ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ভাষাভাষী জনতার মধ্যে জাতিগত বিদ্বেষ সৃষ্টি করে, জাতি সমূহের গণতান্ত্রিক অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার, স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার হরণ করে, অত্যাচার শোষণ এবং কায়েমী স্বার্থের অধিকারকে পাকাপাকি করার আয়োজন করছে।
কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারী পূর্ব পাকিস্তানের জনতাকে পথ দেখিয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারী দেখিয়েছে জনতার সকল শ্রেণীর প্রগতিশীল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হলে প্রতিক্রিয়ার সমস্ত ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করা সম্ভব।
একুশে ফেব্রুয়ারী পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির প্রথম ব্যাপক পশ্চাদপসরণের সূচনা করেছে। সূচনা করেছে জনতার ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিজয়াভিযান এবং সুদূরপ্রসারী সাংস্কৃতিক নবজাগরণের।
একুশে ফেব্রুয়ারী তাই পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি অশেষ গৌরবমণ্ডিত ক্রান্তিকালের দিন।
একুশে ফেব্রুয়ারীকে সালাম!
পূর্ব পাকিস্তানের নব জাগ্রত জনতার বিজয়াভিযানকে সালাম।
আড়াই পৃষ্ঠাব্যাপী দীর্ঘ সম্পাদকীয়তে সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমানের দৃপ্ত আবেগ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত। বাংলাদেশের আপামর দেশপ্রেমিক জনগণের হৃদয়াবেগকে তিনি স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছিলেন। আর তাই তিনি আবেগমণ্ডিত ভাষা ও ভঙ্গিতে প্রকাশ করেছেন তার বক্তব্যে।
১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত সংকলনটির সূচিপত্র নিম্নরূপঃ
- একুশে ফেব্রুয়ারী
- সকল ভাষার সমান মর্যাদা- আলী আশরাফ
- একুশের কবিতাঃ
- শামসুর রাহমান, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, আবদুল গনি হাজারী, ফজলে লোহানী, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আনিস চৌধুরী, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, জামালুদ্দিন, আতাউর রহমান, সৈয়দ শামসুল হক, হাসান হাফিজুর রহমান
- একুশের গল্পঃ
- মৌন নয়ঃ শওকত ওসমান
- হাসিঃ সাইয়িদ আতিকুল্লাহ
- দৃষ্টিঃ আনিসুজ্জামান
- পলিমাটিঃ সিরাজুল ইসলাম
- অগ্নিবাকঃ আতোয়ার রহমান
- একুশের নকসাঃ
- একটি বেওয়ারিশ ডায়েরীর কয়েকটি পাতাঃ মূর্তজা বশীর
- অমর একুশে ফেব্রুয়ারীর রক্তাক্ত স্বাক্ষরঃ সালেহ আহমদ
- একুশের গানঃ
- আবদুল গাফফার চৌধুরী, তোফাজ্জল হোসেন
- একুশের ইতিহাসঃ কবিরউদ্দিন আহমদ
বইয়ের প্রথম প্রকাশনাটি এখন আর সহজলভ্য নয়; তাই পুনঃপ্রকাশের জন্য সময় প্রকাশন বিশেষভাবে ধন্যবাদ পেতেই পারে। তবে তাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। উৎসর্গপত্রে লিখিত বাক্যটি হস্তলিপিরূপে প্রকাশিত। কিন্তু এটা কার হাতের লেখা তা কোথাও উল্লেখ নেই। তবে আমরা জানি যে, এই হস্তলিপি আনিসুজ্জামান এর। বানান বিভ্রাট কখনও কখনও দৃষ্টিকটু। সূচীপত্রের বানান ও গ্রন্থের ভিতরে রচনার শিরোনামের বানান ভিন্নরকম। এগুলো সংশোধন যোগ্য। তাই পরবর্তী কোন সংস্করণ বের হয়ে থাকলে নিশ্চয় এগুলো সংশোধন করা হয়েছে।
ইতিহাস সচেতন বাংলা ভাষাপ্রেমী পাঠক ও গবেষকের ইতিহাস পঠনে এই বইটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রজন্মের পাঠক 'হাসান হাফিজুর রহমান' সম্পাদিত 'একুশে ফেব্রুয়ারী' সংকলনটির মধ্যে ৫২ পরবর্তী বৎসরে দেশের শক্তিমান লেখক শিল্পীদের হৃদয়ে বয়ে চলা উত্তাল আলোড়নের সাথে পরিচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি বাংলা ভাষাপ্রেমিক প্রত্যেক বাঙালির অবশ্যপাঠ্য।
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম