ছোটদের পৃথিবীর ইতিহাস
আবদুল হালিম
প্রকাশনায়ঃ দ্যু প্রকাশন, ঢাকা।
প্রথম প্রকাশঃ ১৯৮৬
দ্বিতীয় দ্যু মুদ্রণঃ ২০১৭
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৫৬
মূল্যঃ ৭৫ টাকা
ISBN : 978-984-92152-4-0
পৃথিবীর ইতিহাস জানতে অনেকের ইচ্ছে করে। বিশেষ করে ছোটদের তো এই বিষয়ে অনেক আগ্রহ। কিন্তু ইতিহাস মানেই হল অনেক তথ্য উপাত্তের সমাবেশ আর ঘটনার ঘনঘটা। আবার ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদের ভাষায় “ইতিহাস হল বিজয়ীর হাতে লেখা বিজিতের একরাশ কুৎসা”। ইতিহাস যেন শুধু রাজা-বাদশাদের হিংস্রতা ও নৃশংসতার কাহিনী। কে কত নিপূণভাবে মানুষ খুন করতে পারে, কে কত বেশি অন্যের জমানো সম্পদ লুট করতে দক্ষ এসবই যেন প্রচলিত ইতিহাসের প্রধান বিষয়। ইতিহাসের এইসব জটিলতার বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে নির্মোহভাবে মানুষের সংস্কৃতি-সভ্যতা নির্মাণের ইতিহাস রচনা করা কঠিন কাজ; আর ছোটদের জন্য ইতিহাস লেখার কাজ তো মোটেই সহজ নয়। ছোটদের কথা ভেবে, ছোটদের উপযোগী করে ইতিহাসের প্রধান বিষয়গুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন ‘আবদুল হালিম’ (১৯৩৯-২০১০)। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেছেন গণিতে। কিন্তু ইতিহাসকে খুব ভালবাসতেন। তারই ফসল হিসেবে তিনি ইতিহাস বিষয়ে বেশ কয়েকটি তথ্যপূর্ণ বই লিখেছেন। “ছোটদের পৃথিবীর ইতিহাস” বইটি সেইসব বইয়ের উপর নির্ভর করে রচিত হয়েছে। শেষ প্রচ্ছদে এই বই সম্পর্কে কিছু কথা লেখা আছে, কার কথা তা উল্লেখ নেই, কিন্তু এই বইকে বুঝতে সাহায্য করবে।
“আবদুল হালিম ছোটদের ইতিহাস চর্চার প্রতি জোর দিতেই তাঁর পৃথিবীর ইতিহাস গ্রন্থকে ছোটদের উপযোগী করে লিখেছিলেন। লক্ষ কোটি বছরের পৃথিবী আর হাজার হাজার বছরের মনুষ্য সভ্যতাকে ছোটদের পৃথিবীর ইতিহাস আকারে গ্রন্থায়িত করা যেন কোন মহাকাব্যের সারমর্মের সারমর্ম লেখার মত।"
আসলেই তাই। তবে বইটি ছোটদের উপযোগী করে লেখা হলেও পৃথিবীর ইতিহাসের প্রধান ঘটনাগুলি বাদ পরে নি। ইতিহাসের কালপর্বগুলোকে কীভাবে বিভক্ত করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ‘ইতিহাসের কালবিভাগ’ অধ্যায়ে।
… ইতিহাসকে দুটো প্রধান কালে ভাগ করা হয়েছে। যথা: প্রাগ-ঐতিহাসিক কাল এবং ঐতিহাসিক কাল। প্রাগ-ঐতিহাসিক কালের শুরু হয়েছিল ৫ লক্ষ বছরেরও আগে, আর তা শেষ হয়েছে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে। প্রাগ-ঐতিহাসিক কালের প্রথম অংশে মানুষ গাছের ফলমূল খেত ও পশু শিকার করত। প্রাগ-ঐতিহাসিক কালের শেষ ভাগে মানুষ কৃষিকাজ করত।
যখন থেকে মানুষ লিখতে শিখেছে এবং পাথরে, মাটিতে, দেয়ালে, পাতায় বা কাগজে লিখে রাখতে শিখেছে, তারপরের সময়কে ঐতিহাসিক কাল বলা হয়। ঐতিহাসিক কালকে তিনটি প্রধান যুগে ভাগ করা হয়। যথা:
১। প্রাচীন যুগ (ছয় হাজার বছর আগে শুরু হয়ে ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে শেষ)
২। মধ্য যুগ (৪৭৬ থেকে ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত)
৩। আধুনিক যুগ (১৪৫৩ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত) -পৃষ্টা: ১১
ইতিহাসের এই দীর্ঘসময়কে সংক্ষেপ করে অল্পবয়সী পাঠকদের জন্য উপযোগী করে তোলায় লেখকের দক্ষতা অবাক করে দেয়। এই বই ১৯৮৬ সালে রচিত ও প্রকাশিত। সেই সময় পর্যন্ত আবিষ্কৃত মানবীয় অবদানের প্রধান প্রসঙ্গগুলো লেখকের চোখ এড়ায় নি। সূচীপত্র দেখলে বিষয়টি সহজবোধ্য হবে।
সূচীপত্রঃ-
- ইতিহাসের কালবিভাগ
- প্রাগ-ঐতিহাসিক যুগ
- পাঁচ লক্ষ বছর আগে: ফলমূল সংগ্রহ
- পঞ্চাশ হাজার বছর আগে: পশু শিকার, গোষ্ঠী সমাজ
- দশ হাজার বছর আগে: কৃষিকাজ, গ্রাম সমাজ, পরিবার
- ঐতিহাসিক যুগ
- প্রাচীন যুগ
- ছয় হাজার বছর আগে: ধাতুর আবিষ্কার, নগর সভ্যতা, দাসতন্ত্র
- চীনের প্রাচীন সভ্যতা
- প্রাগ-ঐতিহাসিক ও প্রাচীন কালের ভারতবর্ষ
- প্রাগ-ঐতিহাসিক ও প্রাচীন কালের বাংলাদেশ
- পারস্য সভ্যতা
- মধ্য এশিয়ার বর্বর সমাজ
- ফিনিশিয়ার ইতিহাস
- প্রাচীন গ্রিসের সভ্যতা
- আলেকজান্ডার
- প্রাচীন রোমের সভ্যতা
- মধ্যযুগ
- মধ্যযুগের ইউরোপ
- খ্রিস্টধর্মের প্রসার
- বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য
- মধ্যযুগের এশিয়া
- মধ্যযুগের রাশিয়া
- মোঙ্গলদের কথা
- ইসলামের ইতিহাস
- তুর্কিদের কথা
- ক্রুসেড
- মধ্যযুগের চীন
- মধ্যযুগের ভারতবর্ষ
- মধ্যযুগের বাংলাদেশ
- আধুনিক যুগের পৃথিবী
- আধুনিক যুগে ইউরোপ:ইউরোপের নবজাগরণ
- ভৌগোলিক আবিষ্কার
- উপনিবেশ বিস্তার
- প্রাচীন আমেরিকার মায়া, আজটেক ও ইনকা সভ্যতা
- আফ্রিকার কথা
- আফ্রিকার দাস ব্যবসা
- ইংল্যান্ড ও ইউরোপে শিল্প বিপ্লব
- বিজ্ঞানের অগ্রগতি
- আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ:১৭৭৬
- ফরাসি বিপ্লব:১৭৮৯
- আমেরিকার গৃহযুদ্ধ:১৮৬০-৬৪
- আধুনিক যুগে ল্যাটিন আমেরিকা
- আধুনিক যুগে এশিয়া
- জাপানে শিল্প বিপ্লব
- আধুনিক যুগে চীন
- আধুনিক কালের ভারতবর্ষ
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
- রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
- জাতিসংঘ
- উপনিবেশের অবসান
- বাংলাদেশের উদয়
প্রত্যেকটা অধ্যায় ছোট ছোট অনুচ্ছেদে সংক্ষেপে যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তা অল্পবয়সীদের কৌতুহল মেটাতে পারবে। সহজ ভাষায় আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে উপস্থাপিত প্রসঙ্গগুলো ছোটদের মনে জাগিয়ে দেবে ইতিহাসকে চেনার আকুল আকাঙ্ক্ষা।
সূচীপত্রের শিরোনামগুলো আলোচ্য প্রসঙ্গকে বোঝার জন্য যথেষ্ট। লেখক শুরু করেছেন পাঁচ লক্ষ বৎসর আগে। আদিম যুগের মানুষের জীবনযাত্রা তখন কেমন ছিল তার একটি চিত্র এই অংশ থেকে জানা হয়ে যায়। পাঠক বিস্তারিত বিবরণ না জেনেও বুঝে যাবেন সে কালে মানুষের জীবন যাপন পদ্ধতি কেমন ছিল।
এই সময়ে শুরু হয় পাথর যুগ। মানুষ এই যুগে গোষ্ঠীবদ্ধ জীবন যাপন করা শুরু করে। তারা দল বেঁধে পাথরের অস্ত্র দিয়ে বড় বড় প্রাণী শিকার করত। পাথরের বল্লম, ধারাল চাকু ইত্যাদি তৈরি করত। সেই সময়ে মানুষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিশেষ গুণাবলীর সৃষ্টি হয়, যা আজও আমরা বংশপরম্পরায় বহন করে চলেছি। লেখকের ভাষ্যে জেনে নেইঃ
আদিম মানুষদের সংস্কৃতির উপাদান এবং তাদের অনেক সদগুণ এখনও আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে আছে। যেমন: মানুষে মানুষে স্নেহ, মমতা, ভালবাসার সম্পর্ক থাকা যে ভালো একথা আমরা আদিম সমাজের মানুষদের কাছ থেকেই শিখেছি।
সংস্কৃতির আরও কয়েকটি উপাদান সৃষ্টি হয় এই সময়ে। নাচ, গান ও ছবি আঁকার মত বিশেষ কিছু আচরণ এই সময়ে মানুষর মধ্যে বিকশিত হতে থাকে। শিকারের সাফল্য প্রত্যাশা করে এসবের সৃষ্টি হয়; ধীরে ধীরে তা হয়ে ওঠে অবশ্যপালনীয় আচারে। আর আজ এই নাচ, গান, ছবি আঁকা আমাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে। পঞ্চাশ হাজার থেকে ছয় হাজার বৎসর পূর্ব পর্যন্ত এই প্রাগ-ঐতিহাসিককালে মানুষ ঘর বানানো, পরিবার তৈরি, চাষাবাদ করা, মাটির পাত্র বানানো, পশুকে পোষ মানুনো শিখে ফেলে। এই সময়ে মানুষ ছিল স্বাধীন ও সকলে ছিল সমান। সেই সময়ে সমাজে শাসক বা জমিদারের উদ্ভব ঘটে নি।
ছয় হাজার বৎসর আগে মানুষ ধাতুর আবিষ্কার করে। ধাতু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার নগর সভ্যতার পত্তন ঘটায়। পুঞ্জীবিত সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় দাসতন্ত্র। মানুষের মনের আদিম লোভ ও ভয়কে ব্যবহার করে কিছু মানুষ বিনাশ্রমে সম্পদ ভোগ করা শুরু করে। জন্ম লাভ করে দাসতন্ত্রের। শুরু হয় ঐতিহাসিক যুগের। এভাবে একে একে মানুষের সমাজ বিবর্তনের ধাপগুলো লেখক ধারাবাহিকভাবে জানাতে থাকেন। অনেকটা গল্পের ভঙ্গিতে ছোট ছোট বাক্যে ছোট ছোট অনুচ্ছেদে লেখক আবদুল হালিম মানুষের সভ্যতা নির্মাণের কাহিনী বলতে থাকেন।
প্রাচীনযুগে মানুষ যে সভ্যতার স্বপ্ন দেখেছিল, তার বাস্তবায়ন হতে থাকে নগর ও সাহিত্য রচনার মাধ্যমে। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের যে অদম্য উৎসাহ মানুষকে প্রেরণা দিত তার প্রভাব অনেক সময় বিধ্বংসী হয়েছে। তাই অপর জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির নিন্দা ও বিনাস সাধন মানুষের অগ্রযাত্রার ইতিহাসে রয়েছে বৈকী। ইতিহাসের কালপর্বে দুর্বলকে অপমানের, অত্যাচারের নীতি মানুষের সভ্যতাকে কালিমালিপ্ত করেছে। লেখক মানবতার লাঞ্ছনার এই কাহিনী নির্লিপ্তভাবে জানিয়েছে। নবীন পাঠকের কাছে কিছুই লুকাননি।
ঐতিহাসিক যুগের বিবরণ দিতে গিয়ে লেখক একে একে সুমের, ব্যবিলন, মেসোপটেমিয়া, মিশরীয় সভ্যতা, চীনা সভ্যতা, ভারতীয় হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো, পারস্য, ফিনিশিয়, গ্রীস ও রোমের সভ্যতার আলোচনা করেছেন। এই সভ্যতাগুলোতে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার আবিষ্কার করছিল। কেউ কারিগরি যন্ত্র, বর্ণমালা বা সংখ্যা, জ্যামিতি, কেউ দর্শন, রাষ্ট্রচিন্তা, সাহিত্যের মৌলিক উপাদানগুলো উদ্ভাবন করেছে। বিভিন্ন প্রত্ন উপাদানের ছবি সংক্ষিপ্ত আলোচনাগুলোকে পূর্ণাঙ্গরূপ দিয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে দশ থেকে কুড়ি হাজার বৎসর আগে বাংলাদেশের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনাও দিয়েছেন।
৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে জার্মান কৃষিজীবিদের আক্রমণে রোমের নগর সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর প্রায় এক হাজার বৎসর ইউরোপের সর্বত্র গ্রাম সভ্যতা বজায় ছিল। সমসাময়িক সময়ে ভারতবর্ষে অবশ্য জনপদ নামের নগর সভ্যতা ছিল, যা লেখক এই অংশে উল্লেখ করেননি। মধ্যযুগের বিভিন্ন সভ্যতার আলোচনা করতে গিয়ে যখন ভারতের প্রসঙ্গ আসে তখন তিনি শুধু আগ্রাসনের কথা বলেছেন। বিশ্বের প্রথম ও সবচেয়ে বেশিদিন ধরে চালু থাকা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা এক লাইনে বলতে পারতেন। বলতে পারতেন বাংলাদেশ ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের একাধিক জ্ঞান চর্চাকেন্দ্র বিহারগুলোর কথা।
১৪৫৩ সালের সমসাময়িক সময়ে ইতালিতে পুরনো জ্ঞান-বিজ্ঞানকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্লেষণের মুখোমুখি করানো হয়। মানুষের আদিম ও মধ্যযুগীয় দৃষ্টিভঙ্গি নতুন জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে থাকে। শুরু হয় নবজাগরণ বা রেনেসাঁ বা রেনেসাঁস। মানুষ সচেতনভাবে সমাজ রাষ্ট্রে প্রচলিত থাকা প্রাচীন কুসংস্কারগুলোকে সংস্কার করতে থাকে। ছিঁড়ে ফেলতে থাকে কূপমণ্ডুকতার মায়াবী জাল। নতুন নতুন আবিষ্কার মানুষকে পথ দেখাতে থাকে। মানুষ তার পরিপার্শ্বের অন্তর্জগত ও বহির্জগতের দিগ্বিদিক উন্মোচন করতে থাকে।
বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ইউরোপীয়রা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের মানুষের সাথে পরিচিত হয়। জানা যায় মধ্য আমেরিকার মায়া, ইনকা ও আজটেক সভ্যতার কথা। লেখক আধুনিক যুগের ইতিহাসে একে একে মানুষের উপনিবেশ তৈরি, দাসব্যবসা, শিল্পবিপ্লব, বিজ্ঞানের অগ্রগতি, ফরাসি বিপ্লব, আমেরিকার গৃহযুদ্ধ, এশিয়া, চীন, ভারতবর্ষের কথা বলেন। সভ্যতা সৃষ্টি করতে গিয়ে মানুষ যে ইতিমধ্যে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়েছিল, তাও তিনি জানিয়ে দেন। একেবারে শেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা দিয়ে শেষ হয় তাঁর লেখা “ছোটদের পৃথিবীর ইতিহাস” বইটি।
পেপারব্যাক বইটি আকারে ৬.৮×৪.৭ ইঞ্চি। পৃষ্ঠা রয়েছে মাত্র ছাপ্পান্নোটি। ফলে এক বসাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে শেষ করা যায়। সাদা কাগজে ছাপা বেশ ঝকঝকে। গাঢ় কালিতে স্পষ্টাক্ষরে প্রিন্ট করার কারণে চোখের উপর আলাদা কোন চাপ পড়ে না।
অল্প কথায় ইতিহাসের বিশাল অায়তনের বর্ণনাকে লেখক যেভাবে সংক্ষিপ্ত করে লিখেছেন তা সত্যিই অবাক করার মতো ব্যাপার। তাঁর ভাষাভঙ্গি সহজ, সরল; ছোট ছোট বাক্য থাকায় পড়ার গতি বেশ দ্রুত এগিয়ে চলে। সহজে স্বল্প সময়ে পৃথিবীর সম্পূর্ণ ইতিহাস জানার জন্য এই বইয়ের জুড়ি মেলা ভার। তাই অল্পবয়সীদের পাশাপাশি বয়স্করাও ইতিহাসের মূল ঘটনাগুলো জানতে এই বই পড়তে পারেন।
‘আবদুল হালিম’ লিখিত “ছোটদের পৃথিবীর ইতিহাস” বইয়ের প্রচুর পাঠ প্রত্যাশা করি। সমাদৃত হোক পাঠচর্চার প্রতিটি কেন্দ্রে।
আমরা গ্রন্থগত ওয়েবসাইটে পৃথিবীর ইতিহাস নিয়ে আরও কয়েকটি বইয়ের পরিচিতি প্রকাশ করেছি।
সেই বইগুলোর অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পড়ে নিনঃ
- “প্রাচীন মেলুহা- সিন্ধু সভ্যতার ইতিবৃত্ত” বর্ণনা করেছেন ‘ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী’
- ‘জওহরলাল নেহেরু’র লেখা “মেয়ের কাছে বাবার চিঠি” বইয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
- “আমাদের এই পৃথিবী” সম্পর্কে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করেছেন ‘সত্যেন সেন’
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম