বুড়িগঙ্গা নদীর দুই পারের জনজীবন নিয়ে লেখা এই উপন্যাস। বইটি সম্পর্কে লেখক জানিয়েছেন :
এই বইটা চার বছর ধরে লিখেছি। পালাটিয়া লেখার আট বছর বাদে আমার লেখা উপন্যাস।কী আছে উপন্যাসে? একটু আভাস দেয়া যাক—
নওয়াব ইউসুফ রোডের লেজ থেকে শুরু হয়েছে বাবুবাজার ব্রিজ। যে ব্রিজ এন্তার গাড়িঘোড়া আর মানুষের কোলাহলে প্রতিদিন মুখর হয় ওঠে। ঢাকাশহর ছাড়িয়ে সে ব্রিজ পৌছে গেছে কেরানীগঞ্জ। আর যোগসূত্র তৈরি করেছে ‘নদীধারা আবাসিক এলাকার’ মানুষের সঙ্গে। বুড়িগঙ্গার ঠিক ওপারে, নদীর তটরেখা ধরে যারা বসতি গড়েছেন তাদেরই নিতি দিনলিপি এই উপন্যাস। ঢাকা শহরের চাকচিক্য, জৌলুস, নিরন্তর ছুটে চলা মানুষের সঙ্গে তাদের ব্যবধান অনেকটাই। নাগরমহল ঘাট থেকে যে কাহিনির সূত্রপাত হয় তার নিস্পত্তি ঘটে ওয়াইজ ঘাটে। কিংবা বলা যায় নিস্পত্তি ঘটিয়ে দেয় নদী বুড়িগঙ্গাই। আবার বাদামতলী ঘাট থেকে যে জীবন ভেসে আসে কেচিশাহ ঘাটের দিকে, তাকেও ঠাঁই দেয় বুড়িগঙ্গা। যদিও এই নদীর মুখশ্রী, জোয়ারভাটা অন্য সকল নদীদের মতোই। কোমরের বাঁক, নিতম্বের ঢেউ একই রকম। শুধু জলের স্বাদ ভিন্ন।
নদীধারা আবাসিক এলাকা
পাপড়ি রহমান
প্রকাশ করেছে বেঙ্গল পাবলিকেশনস।
মূল্য : ৫০০ টাকা।
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম