ভাষার একটা মেটাফিজিকাল ন্যাচার আছে। ভাষায় হাজির হয় যে অভিজ্ঞান কবিতা রূপে তা বহুকাল পরে ক্ষয় ও জরার প্রকোপে ইনটেনসিটি হারায় ফেলে। তখন ভাষা যেন চালুনির মতো। চালুনি দিয়া যেমন পানি ধরা সম্ভব না, ভাষা দিয়া যেন কবিতারেও ধরা সম্ভব না! কবিতা যেন অধরা কেবলই ভাষার বাইরে গিয়া ঈশ্বরের মতো আমাদের মন বুঝতে চায়।
ভাষায় যুক্তির সীমা পর্যন্ত প্রকাশ সম্ভব হয়, অযৌক্তিক অসম্ভব অংশ নীরবতা। চিন্তার পূর্ণ প্রকাশের অংশ হিসাবে ভাষা ও নীরবতা পরস্পর কাজ করে। বাক্যের মিলিট শেষ হইলে নীরবতার লিমিট শুরু হয়। কবিতা সেই ভাষা-নীরবতার নোম্যান্সল্যান্ডে আসন পাতে। কবিতা তাই সদা সীমালঙ্ঘনের এক ঘটনা।
কবিতার শরীরের উপস্থিতি ঘটে দৈনন্দিন এই মমতামাখা কঠিন জগৎ ও তার প্রহেলিকার হাজিরার মধ্যে — সূক্ষ্ম ও স্থুলের সীমায় গতায়াতে।
কবিতা এক তুচ্ছ দাসীর হৃদয়ের আর্তি ও ক্রন্দন।
– বইটির ভূমিকা অংশ (ফ্ল্যাপ টেক্সট) থেকে উদ্ধৃত
বকুলগাছের নিচে তুমি হাসছিলা
জহির হাসান
প্রচ্ছদ: মোশারফ খোকন
প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
প্রকাশক : উড়কি, ঢাকা।
মূল্যঃ টাকা ২০০
ISBN: 978-984-34-5628-1
বাংলা একাডেমির বইমেলায় স্টল নং ৬৩৯
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম