কৃষ্ণচন্দ্রিকা
নমে তবে পদাম্বুজে, টেকচাঁদ ঠাকুর,
যাবচ্চন্দ্রদিবাকর যে তব চাকর।
কাহিনি নহিলে তবু ভূমিকা থাকুক
ভূত-বিহনেই যথা ভৌতিক হিচকক।
গল্প আমি কভু রচি নাই। দু’খানি জ্যঁরা-কে বাইন তালাক দিয়া রাখিয়াছিলাম, বৌনি-মুহূর্তেই : নাটক, আর আখ্যান। নাটকে বিতৃষ্ণা ছিল ঘোর, যদিচ সফোক্লিজ ও শেক্সপিয়ারে তীব্র অনুরাগ। কিন্তু মাতাপিতা ছিলেন নাটকের লোক। নাদান উমরে রজনিজাগর লজ্জা, ভয়, আর জিঘাংসায় দেখিতাম তাঁহাদের “পাট”।
আখ্যানের আরেক ব্যাখ্যান। গল্প-উপন্যাস-রূপকথা-উপকথা ছিল আমাদিগের অনাথ-আশ্রম। দোসরা জাহান। প্যারালেল য়ুনিভ্যর্স। কিন্তু গপ্প নির্মাণের লায়েক নিজেরে কদাপি জানি নাই। আজিও না। মোদ্দা এই, যে, তথাকথিত তৃতীয় শ্রেণির কাহিনিকারেরাও আমাদিগের ঈর্ষাসূয়াভাক্। আরব্য রমণ্যাস না-ই তাঁরা লিখুন, তবু তো কোনো মফস্সলি জোহরার আতপধোয়া আলতো হাতের “যাও পাখি” পৌঁছাইয়া তাঁরা দিতে পারেন কোনো মোবাইল দোকানের মকবুলেরে। আঁই ফারি ন।
অতএব এই-যে রচনাসমূহ, ইহারা কবিতাই। কবিতার খসড়াই। কেবল। বহিবন্দি করিয়া ইহাদেরে ঢিঁট করিয়াছিলেন মানস চৌধুরী। না-করিলে লীথীজলে ভাসিয়া২ তাহারা ভবলীলা তরিতে পারিত। এবে আবার একজনম অন্তর, আজিকে, প্রেমভাজন আহমেদ নকীব কারাগারখানার নবীকরণে উদ্যোগ করিয়াছেন যদি, তো আরও দুইখানা নাফরমান রচনাকেও আন্দার করা যাইল।
কৈশোরে গলি-খোঁজার বাতিক আমাদিগেরে পাইয়াছিল। পুরান ঢাকায় তাহার অভাব কী। উদ্দেশ্য-গন্তব্যহীন চলা, আর দেখা। ছোট-ছোট নোটও লইতাম। উহাদের দুইএকখানার উদ্ধারে পয়দা হইয়াছিল “পথের পাঁচালি”। উহাই আমার। একান্ত। বাকিগুলা আমাদিগের পাকস্থলী হইতে উদ্গীরিত, বিশ্বজনতার চোঁয়া ঢেঁকুর। ‘আমার বুকের ’পরে ফের অযুত মস্তক শুয়ে ঠায়’।
ওঁ শুভ। সিডনি, নবেম্বর ২০১৮।
মাতৃমূর্তি ক্যাথিড্রাল
সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ
প্রচ্ছদ: নাজি শালহুব
উড়কি সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
প্রকাশক : উড়কি, ঢাকা।
মূল্যঃ টাকা ৫৭৫
বাংলা একাডেমির বইমেলায় স্টল নং ৬৩৯
ISBN: 978-984-34-5496-6
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম