কবি
বঙ্গ রাখাল কবিতাকে নিজের মত করে সাজাতে পারেন। তিনি কোনো নির্দিষ্ট ফ্রেমের মধ্যে কবিতাকে আবদ্ধ রাখতে চাননা । কারণ কবি মনে করেন কবিতা সেই জিনিস যা আমাদের হৃদয় থেকে উৎসারিত হয়।
কবির তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ
‘যৈবতী কন্যা ইশকুলে’ কাব্য গ্রন্থের কবিতাগুলো মূলত রাজনৈতিক বলা যেতে পারে আবার গ্রাম্য ইতিহাস-ঐতিহ্য কিংবা মুক্তিযুদ্ধ- বঙ্গবন্ধু। সেইসাথে নারীর জীবন সমাজের নানা যাতাকলে পিষ্ঠ করার ধারণা থেকেই কবি তাঁর কাব্যগ্রন্থে এই নামের অবতারণ করেছেন।
ইশকুলে যেমন নানা প্রশাসনিকতার মধ্যে একটা ছাত্রকে আবদ্ধ করে অনেক সময় তাঁর স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার ব্যত্যয় ঘটান তবুও আমরা ইশকুল ছেড়ে আসিনা। নারীরা তেমনি যৈবতী হলেই তাদের স্বামীর ঘরে প্রেরণ করা হয় সেখানে যেয়ে তাদের নিজের ইচ্ছা বলে আর কিছু থাকে না। তাই কবি বঙ্গ রাখাল স্বামীর ঘরকে ইশকুলের সাথে তুলনা করেছেন।
নানাভাবে কবি তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতকে তাঁর কবিতায় উপস্থাপন করেছে অতি সহজ-সরলভাষার ব্যঙ্গাত্মক শব্দ-বাক্যের মাধ্যমে।
--------------------------
যৈবতী কন্যা ইশকুলে
বঙ্গ রাখাল
প্রচ্ছদ:শিশির মল্লিক,
প্রকাশনী: টাঙ্গন, ঢাকা
মূল্য:১০০।
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম