"ভিনসেন্ট ভ্যান গগ এর চিঠি" পড়ুন 'মেহবুব আহমেদ'র অনুবাদে

"ভিনসেন্ট ভ্যান গগ এর চিঠি" -'মেহবুব আহমেদ'

আধুনিক চিত্রকলা যাদের হাতে সূচিত হয়েছে তাদের মধ্যে ভিনসেন্ট ভ্যান গগ অন্যতম। ধ্রুপদী ও সমকালীন সাহিত্যের ব্যপক পাঠ তাঁর মননকে আলোকিত করেছিল। সাহিত্য ও দর্শনের অভূতপূর্ব ব্যঞ্জনায় তিনি চিত্রকলায় সৃষ্টি করেছেন নতুন আস্বাদ ও বাস্তবতার ভিন্নরূপ। সমকালীন চিত্রশিল্পীদের মধ্যে তিনি বৈচিত্রপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। শিল্প সাহিত্য সম্পর্কে তাঁর অগাধ জ্ঞান, পর্যালোচনা ও বিতর্ক-বিশ্লেষণ ছিল। সেসবের এক সম্মিলিত সংমিশ্রণ প্রতিফলিত হয়েছে চিত্রকর্মগুলোয়। আর তাই তাঁর আঁকা ছবি বোদ্ধা শিল্পরসিকদের সামনে তুলে ধরেছে নতুন দিকচিহ্ন।

চিঠিগুলোতে তাঁর চিন্তাশৈলী, দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক হৃদয়ের পরিচয় মেলে।
তিনি চিঠি লিখতে পছন্দ করতেন। মনের দুয়ার খুলে ভাবনাগুলোকে লিপিবদ্ধ করতেন। লেখার পাশের সাদা জায়গায় কখনও কখনও সাম্প্রতিক কোন ছবি, স্কেচ এঁকে দিতেন। মতামত চাইতেন। বেশিরভাগ চিঠি লিখেছেন ছোট ভাই 'থিও'কে। অর্থনৈতিক কষ্ট ছিল প্রধান সমস্যা। এর সাথে যোগ হয়েছে শিল্পচেতনা, শিল্পের সীমাবদ্ধতা তথা শিল্পদর্শনের দোদুল্যমানতা; পাশাপাশি ছিল অধরা শৈল্পিক স্বীকৃতির এক বর্ণিল স্বপ্ন – সবকিছু মিলে তাঁকে এক জটিল বেড়াজালে ঘিরে রেখেছিল। চিঠিগুলোতে এর সরাসরি ও স্পষ্ট চিত্র উঠে এসেছে। তিনি হৃদয়ের অর্গল খুলে দিয়েছেন চিঠিগুলোর সাদা পাতায়। কোন সুক্ষ্ম চিন্তাও লুকিয়ে রাখতে চাননি।

ভ্যান গগের লেখা বেশ কিছু চিঠি নিয়ে প্রকাশ হয়েছে "The Letters of Vincent Van Gogh” নামের সংকলন। সম্পাদনা করেছেন মার্ক রসকিল। এই চিঠিগুলোসহ আরও কয়েকটা দেশের বন্ধুদের কাছ থেকে সংগৃহীত চিঠি রয়েছে 'মেহবুব আহমেদ' অনূদিত "ভিনসেন্ট ভ্যান গগ এর চিঠি" বইতে।

চিঠিগুলোতে তাঁর চিন্তাশৈলী, দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক হৃদয়ের পরিচয় মেলে। তিনি একজন বিনয়ী প্রতিভাবান মানুষ হিসেবে চিঠির মাধ্যমে হৃদয়ের অন্তরঙ্গতা প্রকাশ করেন। চিত্রশিল্পে যে নতুন শৈলীর, দর্শনের সন্ধান দিতে চান, সে সম্পর্কে বইয়ের শেষ প্রচ্ছদে তাঁর ভাষ্য আছে। এক জায়গায় বলেছেন:-

আমার শিল্পকর্ম বিদ্যমান কোন মতবাদকে সন্তুষ্ট করার জন্য নয়, আমার কথা আামার মত করেই আমি বলে যাব।


অন্য এক জায়গায় ভিন্ন প্রসঙ্গে আবার বলেছেন:-

কোন বিশেষ চিন্তায় আবদ্ধ থাকা সম্ভব হবে না আমার।


শিরোনামহীন ভূমিকাটি বেশ তথ্যবহুল। অনুবাদক মেহবুব আহমেদ চিঠিগুলোর গুরুত্ব এবং সেগুলো অনুবাদ করার কাহিনী জানিয়েছেন। বিভিন্ন দেশে থাকা বন্ধুদের মাধ্যমে যে ভ্যানগগের চিঠি সংগ্রহ করেছেন সে কথাও সরল মনে স্বীকার করেছেন। তার এই মনোভঙ্গি প্রশংসাজনক। ভ্যানগগের বৈচিত্রময় জীবনের বিভিন্ন দৃশ্য চিঠিগুলোতে বার বার উঠে এসেছে। তার সবটুকু বাংলা ভাষান্তর করতে গিয়ে গ্রহণ করা হয় নি। বেশ কয়েকটা চিঠি খণ্ডিত করে প্রকাশ করতে হয়েছে। সে সম্পর্কে শিরোনামহীন ভূমিকার একাংশে অনুবাদক জানিয়েছেন-

বেশ কিছু চিঠি থেকে কিছু অংশ বাদ দিতে হয়েছে-- কারণ কখনো কখনো মনে হয়েছে বর্তমানের জন্য এবং আমাদের জন্য অপ্রাসঙ্গিক আবার কখনো এমন সব নাম রয়েছে যা দেশোত্তীর্ণ, কালোত্তীর্ণ হয়ে আমাদের কাছে পৌঁছায় নি।


অনুবাদকের এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করা কঠিন। আমাদের জন্য অপ্রাসঙ্গিক কোনটা এটা বিচার করা সহজ নয়। বাঙালি জানে না, বোঝে না, করে না এমন কাজ পৃথিবীতে বিরল। আমাদের কাছে ইউরোপের জ্ঞানজগতের অনেক নাম, অনেক চিন্তা, ঘটনা এসে পৌঁছায়নি- একথা সঠিক। কিন্তু সে সব না জানানো হল বাঙালিকে কূপমণ্ডুক অবস্থায় রেখে দেবার নামান্তর। সে সবের খবর পৌঁছে দেবার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যেমনটা অনুবাদক মেহবুব আহমেদ নিজে করছেন। ভিনসেন্ট ভ্যান গগ যে চিঠি লিখেছেন, সেসব থেকে যে তাঁর ভাবনা-মানসিকতার বিভিন্ন দিক বোঝা যেতে পারে, সেই চিঠি যে আবার বই হিসেবে প্রকাশ হয়েছে – সে কথা বাঙালিদের মধ্যে কতজন জানতেন, তাই তো প্রশ্নবিদ্ধ। অনুবাদক বাঙালি সমাজে অজানা অপরিচিত ভ্যান গগ'কে, তাঁর লেখা চিঠিকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে উপস্থাপন করছেন। আবার ভ্যান গগের জীবনের যে সব ক্ষেত্রে বাঙালিকে অনুদার, অনুপযুক্ত, অযোগ্য ভেবেছেন, সেসব ঘটনা ঢেকে রেখেছেন। অনুবাদকের মনোভঙ্গি বোঝা একটু জটিল বটে!

চুয়াল্লিশটি চিঠি, ছবি, ম্যাপ, জীবনপঞ্জি সজ্জিত এই বই শিল্পবোদ্ধাদের উৎসাহিত করবে। আধুনিক শিল্প যাঁদের হাত ধরে নতুন যুগের যাত্রা শুরু করেছে, ভিনসেন্ট ভ্যান গগ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে জানতে পারা, চিনতে পারা প্রত্যেক সংস্কৃতিমান মানুষের জন্য আনন্দের। রেনেসাঁস পরবর্তী ইউরোপে, পুঁজির বিকাশের কালে চিত্রশিল্পীরা তাঁদের চিন্তা, ভাবনা, কল্পনা দিয়ে সমাজে নতুন সময়কাল তৈরিতে  কীভাবে প্রভাব রেখেছে বা রাখার চেষ্টা করেছে তা জানা প্রয়োজন।

চিঠিগুলোতে শিল্পী তাঁর প্রাত্যাহিক জীবন যাত্রা, বিভিন্ন যাদুঘর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন শিল্পীর দেখা পাওয়া, নতুন কোন চিত্রকলা দেখার অভিজ্ঞতা ও তার বিশ্লেষণ, আত্মসমালোচনা, প্রকৃতির মধ্যে সৌন্দর্য অন্বেষন, অন্য মানুষের সান্নিধ্য, জীবন ও শিল্প ভাবনা, ভবিষ্যত স্বপ্ন প্রভৃতি ব্যক্তিগত দর্শন ও আবেগ মিশিয়ে প্রকাশ করেছেন। ভালবাসা, ঘৃণা, ক্রোধ, বিতৃষ্ণা, সাম্প্রতিক ঘটনা, পরিশ্রান্তি, অসন্তুষ্টি, ব্যর্থতা, প্রত্যাশা, সাফল্য সবকিছু প্রকাশ করেছেন অকপটে অবলীলায়।

প্রকৃতির দৃশ্যপট, ছবি এবং তা অঙ্কনকালীন বিভিন্ন ঘটনা ও ভাবনার বিবরণ সবকিছু সরলমনে সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন।

তার একটি উদাহরণ:-

এই চারাগুলোর পেছনে, ওই লালচে  বাদামী জমির ওপাশে নরম একটা আকাশ, নীলচে ধূসর, ঝলমলে, নীল সেই বললেই চলে, বিপরীতে অস্পষ্ট সবুজ সীমারেখা; ছোট ডালপালা আর  হলুদাভ পাতার জালিকাজ। কাঠকুড়োন মানুষ রহস্যময় ছায়ার মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুকনো ডাল নাগাল পাবার জন্য ঝুঁকে পড়া একটি মেয়ের সাদা টুপী জমির লালচে বাদামীর  বিপরীতে যেন অকস্মাৎ বেরিয়ে এল।
কোন বিশেষ চিন্তায় আবদ্ধ থাকা সম্ভব হবে না আমার।ভিনসেন্ট ভ্যান গগ
একটা স্কার্টে আলো পড়েছে, ছায়াও পড়েছে, ঘন ডালপালার ফাঁক দিয়ে একজন মানুষের অন্ধকার অবয়ব চোখে আসছে। আকাশের বিপরীতে দু'রকমের টুপী, একটা কাঁধ, একটা মেয়ের ওপরের অংশ। ঘন ছায়াচ্ছন্ন গোধূলিতে, বড় আর কাব্যময় ওই ফিগরগুলো যেন স্টুডিওতে মাটির তৈরি বলে মনে হচ্ছিল। প্রকৃতির বর্ণনা দিলাম তোমাকে, ছবিটা কতটা ফোটাতে পেরেছি, নিজে বুঝতে পারছিনে। কিন্তু এইটুকু জানি যে ছবির সবুজ, লাল, হলুদ, নীল, বাদামী, আর ধূসর রঙের ঐক্যতানিক বিন্যাসে আমি চমকে গিয়েছিলাম। এ ছবিটা আঁকা খুব কঠিন কাজ ছিল। জমির জন্য বড় সাদা টিউবের দেড়টা ব্যবহার করেছি, তবু সে জমি কিন্তু ঘন রঙের, তারপর লাল, হলুদ, বাদামী, মেটে, কালো ইত্যাদি ব্যবহার করে লালচে বাদামী রঙটা আসেছে। তারপর আছে শ্যাওলা আর তাজা ঘাসের বর্ডার, আলো পড়ে ঝকমক করছে, এটা ধরা খুব কঠিন। হয়েছে কিছু একটা, অর্থ একটা বেরিয়ে আসছে, যাই বলা যাক না কেন। পৃষ্ঠা - ৩৫


অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবনা, অনুভূতি, অভিজ্ঞতার বিবরণ এই চিঠিগুলো। এগুলো পড়লে ভ্যানগগের যাপিত জীবনের এক বিশাল দিক আমাদের সামনে উন্মোচিত হয়। একজন শিল্পী তার প্রতিটি দিন কীভাবে বহন করে তা আমাদের সামনে স্পষ্টতর হয়। আমরা আঁকিয়ের জীবনের টানাপোড়েনগুলো বুঝতে পারি।

তাঁর সৌন্দর্য ও দর্শনভাবনার অনেককিছুই চিঠিগুলোতে উঠে এসেছে। সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ও পদ্ধতি নিয়ে সমাজে চলমান বিভ্রান্তি নিয়ে তিনিও চিন্তিত ছিলেন। এক চিঠিতে লেখেন:-

রোম্যান্স এবং রোম্যান্টিসিজম আমাদের সময়েরেই। আর শিল্পীদের অবশ্যই কল্পনা ও আবেগ থাকতে হবে। ভাগ্যগুণে বাস্তববাদ এবং প্রকৃতি বাদও এর থেকে মুক্ত নয়। জোলা সৃষ্টি করে, কিন্তু তার কাজ প্রকৃতির প্রতিফলন নয়, সে বিস্ময়কর ভাবে সৃষ্টি করে; সৃষ্টি করে, কাব্য করে আর সেইজন্যেই তার কাজ এত সুন্দর।
‘প্রকৃতির টোন এঁকো না', কথাটার একটা বিস্তৃত অর্থ আছে, একথা শিল্পীকে একটা সম্পূর্ণ এবং সঙ্গতিপূর্ণ কাজ করার জন্য রঙ খুঁজে বার করার স্বাধীনতা দেয় – শিল্পীর একটা বিন্যাস তখন আরেকটার বিপরীতে দাঁড়িয়ে যায়। - পৃষ্ঠা: ৬৪



বইয়ের শেষে ছোট ভাই থিও'র স্ত্রী জোহান্না ভ্যান গগ লিখিত একটি স্মৃতিচারণ যুক্ত করা হয়েছে। আরও আছে ভিনসেন্ট ভ্যান গগের সম্পূর্ণ জীবনের একটি সংক্ষিপ্ত কালপঞ্জি। ১৮৫৩ থেকে ২/১ বৎসর পরপর বিশেষ ঘটনাগুলি সাল উল্লেখ করে বর্ণনা করা হয়েছে। পাঠক এই অংশটুকু থেকে শিল্পীর সম্পূর্ণ জীবনকে এক ঝলকে দেখে নিতে পারবেন।

শিল্পীর একটি ফটোগ্রাফ, নিজের আঁকা একটি আত্মপ্রকৃতি ও কয়েকটি ছবির ফটোগ্রাফ বইয়ের সামনের ও শেষের দিকের কয়েকটি পৃষ্ঠায় ছাপানো হয়েছে। সাদাকালো রঙে ছাপানো হওয়ায় মূল সৌন্দর্য বোঝা যায় না। তবে বিভিন্ন অবয়বের বৈশিষ্ট্য ও বৈচিত্র্য দেখে শিল্পীর কল্পনাশৈলী উপভোগ করা যায়। পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন খবরের একটি কোলাজ বইয়ের প্রথমদিকে সংযোজন করা হয়েছে। ভিনসেন্ট ভ্যান গগ যে জায়গাগুলোতে বাস করতেন সে জায়গাগুলো চিহ্নিত করে একটি ম্যাপ রয়েছে ১০৭ পৃষ্ঠায়। তাঁর জীবনাচরণ বুঝতে ম্যাপটি বেশ কাজে লাগবে।


‘প্রকৃতির টোন এঁকো না', কথাটার একটা বিস্তৃত অর্থ আছে
চিঠিলেখা আসলে নিজের সাথে নিজের কথোপকথন। আত্মচিন্তায় মগ্ন হয়ে নিজের সামনে নিজেকে উন্মোচন করা। ভ্যান গগ এর ক্ষেত্রে মানবচরিত্রের এই দিকটির কোন ব্যতিক্রম হয় নি। তিনিও চিঠির পাতায় খোলা বইয়ের মত নিজের অন্তরাত্মাকে মেলে দিয়েছেন। অন্তর্জগতের পরত খুলেছেন একের পর এক। জানিয়েছেন চিন্তার অন্তরালের বৈচিত্র্য ও প্রতিবেশের প্রভাবের প্রতিক্রিয়া। যা থেকে তাঁর ব্যক্তিগত প্রজ্ঞা, সুরুচি তথা একজন সংস্কৃতিমান মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর মেধাবী কীর্তিকে বহনকারী জীবনযাত্রার গতিপথ বোঝা যায়। তাঁর দর্শন ও সৌন্দর্যবোধকে বুঝতে প্রধান সহায় চিঠিগুলো বাঙালি শিল্পরসিক গ্রহণ করতে কতটা সক্ষম, তা পরিপার্শ্ব যারা চেনে তারা বোঝে।

ভিনসেন্ট ভ্যান গগ এর চিঠি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে অনুবাদক মেহবুব আহমেদ বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ। তাঁর মাধ্যমে একজন আধুনিক শিল্পীর জীবনবোধকে চেনা সম্ভব হল, দর্শন ও সৌন্দর্বোধের অভিযাত্রাকে অনুধাবন করা গেল। এজন্য তিনি বাংলাভাষী চিত্ররসিকের হৃদয়ভাজন হয়ে থাকবেন। প্রচ্ছদ হিসেবে ভ্যান গগের আঁকা ছবিটি বেশ মনোরম। এই ছবি ব্যবহার করে প্রচ্ছদ তৈরির পরিকল্পনা কার সে কথা প্রিন্টার্স লাইন বা বইয়ের কোথাও উল্লেখ নেই। এই বইয়ের পাঠ শিল্পসুজনদের আনন্দিত করবে।


≈≈::≈≈::≈≈::≈≈
ভিনসেন্ট ভ্যান গগ এর চিঠি
অনুবাদ: মেহবুব আহমেদ


প্রচ্ছদ: ভিনসেন্ট ভ্যান গগ এর আঁকা 'আইরিস ১৮৮৯'

প্রকাশনী: সন্দেশ, ঢাকা
প্রকাশকাল: ১৯৯৬
পৃষ্ঠা: ১১২
মূল্য: ৭৫.০০ টাকা
ISBN: 894-8088-43-2

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ