শেখ আবদুল হাকিমের সায়েন্স ফিকশন ’স্মৃতিচোর’ : ভবিষ্যতে মানব প্রজাতির মঙ্গলে কলোনি স্থাপন, এলিয়েন লাইফফর্ম আবিষ্কার, চৈতন্য কপি ইত্যাদির উপর আলোকপাত

আব্দুল হাকিমের সায়েন্স ফিকশন স্মৃতিচোর

খান আলাউদ্দিন

সৌরজগতে পৃথিবীসদৃশ গ্রহ মঙ্গল গ্রহ। পৃথিবী ও মঙ্গলের মধ্যে তুলনামূলক রোটেশন স্পিড–মঙ্গল ২৪:৪০ বনাম পৃথিবী ২৩:৫৬। পৃথিবী ও মঙ্গলের ঋতু পরিক্রমাও সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে মঙ্গলের বায়ুমন্ডলীয় চাপ খুবই দুর্বল এবং মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসের অনুপযোগী। তাছাড়া মঙ্গলের ম্যাগনেটিক শিল্ডও পৃথিবীর তুলনায় ১৬-৪০ গুণ হালকা। তরল জলের অভাব, -৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, ধুলি-ঝড়ের কারণে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে অসুবিধা ইত্যাদি নানা সীমাবদ্ধতা থাকার পরও মঙ্গলই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর বাইরে মানুষের প্রথম বাসস্থান। অনেক বছর ধরেই ইলন মাস্ক মঙ্গলে বসতি স্থাপনে পরিকল্পনা করছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স থেকে ২০২২ সালে দুটি কার্গো শিপ মঙ্গলের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপন করা হবে। উৎক্ষেপনটি সফল হলে ২০২৪ সালে আরো দুটি কার্গোশিপ এবং ক্রুশিপ উৎক্ষেপনের কথা আছে। তার মানে ২০২৪ সাল থেকেই মঙ্গলে মানুষ বসবাস করতে শুরু করবে। ইগলু আকৃতি ঘর, নিউক্লিয়ার পাওয়ার সোর্সেস, sabatier প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাইক্সইড, বরফ পানি থেকে অক্সিজেন ও মিথেল উৎপাদন, অ্যারোফার্মিং ইত্যাদি পদক্ষেপ মঙ্গলের বুকে মানুষের বিজয় পতাকা উড়াতে সহযোগিতা করবে। ২১০০ সাল নাগাদ মঙ্গলের বাতাস মানুষের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠবে আশা করা যায়। ঠিক যেমনটি আমরা দেখি শেখ আবদুল হাকিমের 'স্মৃতিচোর' সায়েন্স ফিকশনে।

২১০০ সালের কয়েক বছর পরের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে এই বইয়ে। স্থান, মঙ্গল গ্রহ। শহর নতুন প্রাচুর্য। পাত্র-পাত্রী:

  • বিবেক রাহি– মঙ্গলের একমাত্র গোয়েন্দা।
  • অতেব তাসির – মঙ্গলে নতুনামির শাখা আউটলেট চালান তিনি। (নতুনামি প্রতিষ্ঠানটিতে দেহ কাঠামো বদলে দেয়া হয়। স্থানান্তর করা হয় চৈতন্য। সোজা কথায় নতুনামি একটি নিউরন ম্যাপিং প্রতিষ্ঠান।)
  • শুদ্ধা তাসির – পুরো নাম শুদ্ধা শারমিন তাসির। অতেব তাসিরের স্ত্রী।
  • বিপুল বরাভয়– ডিটেকটিভ।
  • বহাল দোস্তানা –নপ্রাপুহের ডেস্ক সার্জেন্ট।
  • ক্লদ পাঁসকল– নতুনামির মঙ্গল শাখা ম্যানেজার।
  • আটবিক ইলচি– মঙ্গলের এক এবং একমাত্র শহর নতুন প্রাচুর্যের সবচেয়ে বড় কম্পিউটার এক্সপার্ট। আটবিক ইলচি নামের অর্থ অরন্যদূত।
  • কেয়াবাত পাসোয়ান – ফসিল শিকারী।
  • ডক্টর রিচার্ড মারমা – প্যালিওন্টোলজিষ্ট।
  • রিচার্ড মারমা ২ –ট্রান্সফার। আসল মারমার মস্তিষ্কের চুরি করা পাইরেটেড কপি।
  • তামামা – বার বাঁকা করাতের ওয়েট্রেস।


স্মৃতিচোর কাহিনীর সূত্রপাত বিবেক রাহির অফিসে শুদ্ধা তাসিরের আগমনের মধ্য দিয়ে। শুদ্ধা তাসির ট্রান্সফার । সে এবং তার স্বামী অতেব তাসির রুপান্তরিত হয়েছে। অর্থ্যাৎ দেহ কাঠামো বদলে ফেলেছেন। আরো অনেকের মতো ওদের রুপান্তরিত হবার কারণ_ অনন্ত জীবনের আকর্ষণ। কৃত্রিম শরীর মঙ্গলের জমিনে, গম্বুজের বাইরে অনায়েসে দিনের পর দিন কাটাতে পারে ফসিলের খোঁজে। রূপান্তরিতরা যেখানেই যায় কোথাও আঙ্গুলের ছাপ ডিএন এ ট্রেইল ফেলে যায় না। তাদের লাইফ সাপোর্ট ট্যাক্স দিতে হয় না। বিবেক রাহিকে দায়িত্ব দেয়া হয় গায়েব অতেব তাসিরকে খুঁজে বের করতে। অতেব তাসির কি তার স্ক্যান করা স্মৃতি নিজের জন্য নির্দিষ্ট শরীরে স্থানান্তর না করে অন্য কোনো শরীরে ঢুকিয়েছেন? বিবেক রাহি কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে। জানা যায়, শুদ্ধা তাসিরের জন্য বানানো শরীরে নিজের চৈতন্য স্থানান্তর করেছেন অতেব তাসির। অন্য দিকে শুদ্ধা তাসিরের চৈতন্যের কপি কোথাও স্থানান্তর করা হয়নি। তাকে ভেবে চিন্তে খুন করা হয়েছে। আরো জানা যায়, প্যালিওন্টোলজিষ্ট রিচার্ড মারমার মাইন্ডের একটা চুরি করা কপি মঙ্গলে বিদ্যমান। দুই রিচার্ড মারমার কাছেই তথ্য রয়েছে মঙ্গলে আবিষ্কৃত মাদার লোড বা ফসিলের বড় একটা উৎসের। তারা কি পারবে লুটেরাদের হাত থেকে ফসিলগুলোকে রক্ষা করতে?...

(Barry Digregorio) বেরি ডিগ্রেগরিও, অ্যাস্ট্রো- বায়োলজিস্ট, ইউনিভার্সিটি অব বাকিঙহামের অনারারি রিসার্চ ফেলো। তিনি গ্যাস, পাথর ও অন্যান্য পদার্থ নিয়ে গবেষণা করেন, যেগুলো জীবনের নির্দেশক। আমরা জানি, মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধান করার জন্য নাসার কিউরিওসিটি রোভার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। যানটি গ্রেল ক্রাটার এলাকায় ৩ বিলিয়ন বছর আগের মাটির নমুনায় অর্গানিক ম্যাটার বা বায়োলজিক্যাল মলিকিউল খুঁজে পেয়েছে। এটা মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে মিথেনের অস্তিত্বও আবিষ্কার করেছে। বায়ুমন্ডলের পঁচানব্বই ভাগ মিথেনই সরাসরি জীব থেকে আসে। অর্থাৎ মিথেনই মঙ্গলে প্রাণের সম্ভাবনার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। বেরি ডিগ্রেগরিও কিউরিওসিটি রোভারের পাঠানো ইমেজ বিশ্লেষণ করে মঙ্গলে ট্রেস ফসিল আইডেন্টিফাই করার ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রেস ফসিল জীবন্ত প্রাণীর পিছনে রেখে যাওয়া ট্রাক বা পায়ের ছাপ। তার মানে, এক সময় মঙ্গলে প্রান মাল্টি সেলুলার পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিলো। কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন ছবিগুলো কোনো ট্রেস ফসিলের নয়, এগুলো ক্রিস্টাল পাথরের। মঙ্গলে অতীত প্রাণ ছিল কিনা তার সঠিক উত্তর পেতে চলমান বছরেও একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে নাসা। যানটি মঙ্গলের ভূমির উপর ঘুরে বেড়াবে এবং সেখানে এলিয়েন ফসিল থাকার সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখবে। স্মৃতিচোর সায়েন্স ফিকশনে মঙ্গলে প্রান থাকার জলজ্যান্ত প্রমাণ, ফসিল খুঁজে পান দুজন অভিযাত্রী। ভ্লাদিমির মনোভস্কি ও ডেসমন্ড বার্কলি । আই সিডিস প্ল্যানিশিয়া বেসিনে। তারা দুজনেই মারা যান। তারপর অনেকেই হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায় মাদার লোড বা ফসিলের বড় একটা উৎস। মাদার লোড আবিষ্কারের লোভে অতেব তাসির ও শুদ্ধা তাসির শুধু ফিজিক্যালিই ট্রান্সফার হয়না। তাদের মানসিকতারও ব্যাপক নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। এমনকি মাদার লোড করায়ত্ত করার হিংস্র প্রতিযোগীতায় মারা পড়তে হয় দুজনকেই। বিবেক রাহি,যাকে আমরা মঙ্গলের একমাত্র গোয়েন্দা বলে জানি সেও উপন্যাসের শেষ দিকে আলফা ডিপোজিট অনুসন্ধানে নামে। ফসিল বিক্রি করে মিলিয়ন মিলিয়ন সোলার অর্জন ও অনন্ত আরাম আয়েশের জীবন কে উপেক্ষা করতে চায়? একমাত্র ব্যতিক্রম ডক্টর রিচার্ড মার্মা। তিনি মনে করেন, মাদার লোড মানবজাতির সম্পদ। বিজ্ঞানের সম্পদ।

একজন নারী অথবা পুরুষ কিভাবে চিন্তা, অনুভব এবং আচরণ করবে তা অনেকাংশে সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে যা জেন্ডার রোলস হিসেবে পরিচিত। কোনো বাহ্যিক প্রভাব ছাড়াও ক্রোমোজোমস, হরমোনস, নারী পুরুষকে আলাদা করে। টেস্টোসটেরন পুরুষালি ও এস্ট্রোজেন মেয়েলি বৈশিষ্টের সাথে যুক্ত। নারী পুরুষের নিউরাল এবং গ্লিয়াল কোষ, সিনাপসের সংখ্যা এবং প্রকার ভিন্ন ভিন্ন। ফলত: কারও পরিচয় চুরি করে কেউ কখনও পালাতে পারেনা। অন্তত খুব বেশি দিনের জন্য নয়। আসলটার বাচন ভঙ্গি হাত নাড়া, তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এগুলো না মিললেই তো ধরা পড়ে যেতে হবে। শুদ্ধা তাসিরের সিনথেটিক দেহে স্থানান্তর করা অতেব তাসিরের মাইন্ড বা পুরুষ চরিত্র অনুন্মোচিত থাকেনি। তার ধপাস করে চেয়ারে বসে পড়া, অলঙ্কার ও মেকাপ অনিহা, পুরুষের ঘনিষ্ট স্পর্শে বিব্রত হওয়া প্রমাণ করে ওই শরীরে অর্থ্যাৎ নারীর শরীরে পুরুষের উপস্থিতি।

মানব চৈতন্য কপি ব্যাপারটা কি শুধু সাইন্স ফিকশনেই সম্ভব? কিছু নিউরো সায়েটিষ্ট মনে করেন বর্তমান প্রযুক্তিতে মানুষের মস্তিষ্ক ম্যাপিং, ডাউনলোডিং এবং স্ক্যান করা মস্তিষ্ক অন্য কোনো ডিভাইস বা মস্তিষ্কে কপি করা অসম্ভব হলেও ভবিষ্যতে তা বাস্তব রুপ লাভ করতেও পারে। মানুষের মস্তিষ্ক হার্ডড্রাইভের মতোই সমৃদ্ধ স্টোরেজ। এতে রয়েছে ২.৫ পেটাবাইটস স্পেস। তার মানে মস্তিস্কের বিশাল পরিমাণ ডেটা ডাউনলোড করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ১০০বিলিয়ন নিউরন সমৃদ্ধ মস্তিষ্কের প্রতিটা নিউরন আবার আশে পাশের নিউরনের সাথে দশ হাজার কানেকশনে যুক্ত। হিউম্যান ব্রেইন এরুপ জটিলতাপূর্ণ হলেও স্টিফেন হকিং একবার ক্যালিফোর্নিয়া ফিল্ম ফেস্টিভালে মস্তিষ্ক ম্যাপিংয়ের পসিবিলিটির কথাই বলেনঃ

" I think the brain is like a program in the mind, which is like a computer. so theoretically it’s possible to copy the brain on to a computer and so provide a form of life after death’'

২০১৪ সালে গবেষকেরা একটি কীটের ব্রেইন স্ক্যান করতে সক্ষম হন। ব্রেইনটির সিমুলেশন তৈরী করে তারা সেটি একটি সাধারণ লেগো রোবটের মধ্যে ইনষ্টল করেন। এতে রোবটটি স্বাধীনভাবে চলাচলের সক্ষমতা অর্জন করে। মস্তিষ্ক স্ক্যান যদি সত্যি হয় তবে যেকোনো মস্তিষ্কের অগণিত কপি তৈরি করা মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। বার বাঁকা করাতের ওয়েট্রেস তামামার তিনটি কপি, একই চেহারার, বিবেক রাহিকে সন্দেহে ফেলে দেয়– সে যাকে চিনে এ বোধ হয় সে নয়। ডক্টর রিচার্ড মার্মার দুটি কপি একটির শরীর বায়োলজিক্যাল, অন্যটির রোবোটিক। ব্রেইন কপির সবচে বড় সুবিধা মনে হয় এটাই যে একে ইচ্ছে মতো সিনথেটিক শরীরে স্থানান্তর করা যায়। সিনথেটিক শরীর বায়োলজিক্যাল শরীর থেকে অধিক শক্তি ধারণ করে, বুকের বাতাস ফুরিয়ে যাওয়ার ভয় না নিয়েই মঙ্গলের জমিনে সপ্তাহর পর সপ্তাহ কাজ করে যেতে পারে। ফলে ট্রান্সফার কেয়াবাত পাসোয়ান একাই দশজন মোহাম্মদ আলি। যে তার স্ত্রীর সংসারের যাবতীয় কাজ একাই করে দেয়।

প্রতিবছর অসংখ্য ভাগ্যান্বেষী বাঙালী ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পাড়ি জমায় মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলোতে। দূর ভবিষ্যতে মানব প্রজাতি মাল্টি প্ল্যানেট স্পেসিস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে নিজেদের। মঙ্গলে মানব কলোনি স্থাপিত হলে সেখানে কি বাঙালিরা ঢু মারবে না? স্মৃতিচোর সায়েন্স ফিকশনে আমরা প্রত্যক্ষ করি ফাটা কপাল নিয়ে যারা মঙ্গলে আসে তাদের অধিকাংশই বাঙালি। শুদ্ধা শারমিন তাসির, অতেব তাসির, বিবেক রাহি, আটবিক ইলচি- স্মৃতিচোরের প্রধান প্রধান চরিত্রগুলো সবাই বাঙালি। তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক বাঙালিদের জন্য মঙ্গলের শ্রমবাজার খোলাই তাহলে।

বইটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লেখক পাঠকের কৌতুহল ধরে রাখতে পেরেছেন_ অতেব তাসিরকে খুঁজতে শুরু করে বিবেক রাহি। মঙ্গলের বাইরে যাওয়া তাসিরের পক্ষে সম্ভব নয়। বায়োনিক তাসিরের ব্রেনে স্ক্যান করা কোনো স্মৃতি পাওয়া যায়নি। তবে সুইসাইড নোটটা কে লিখল? রিচার্ড মারমা রুপান্তরিত অতেব তাসির নন। অতেব তাসির কার পরিচয় চুরি করে লুকিয়ে রয়েছে জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে পাঠক। পাতায় পাতায় সাসপেনশন, উৎকণ্ঠা।

ট্রান্সফার হওয়া গেলে মন্দ হতো না, স্মৃতিচোর পাঠ করার পর এমনই মনে হয়। শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে ইনফিরিওরিটিতে ভুগা মানুষের অভাব নেই চারপাশে। তারা সহজেই দেহকাঠামো বদলে নিতে পারবে। বিশেষ করে রমণীরা যারা ত্বক- চুল- চোখ- কেশ...পরিচর্যায় ঘর পার্লার দৌড়াদৌড়ি করে। রূপান্তরিত হয়ে নারীরা হবে আকর্ষনীয় দেহ সৌষ্ঠবের অধিকারিণী। শ্রমিকেরা লাভ করবে অক্লান্ত কাজের সুযোগ। আর দুর্মর জীবনতো হাত বাড়িয়েই আছে রূপান্তরিতদের দিকে।

‘স্মৃতিচোর’ স্নেলসন গেইলের সায়েন্স ফিকশনের অনুসরণে রচনা করা হলেও বইরের কোথাও মূল লেখকের ঋণ স্বীকার করা হয়নি। বিষয়টি শেখ আবদুল হাকিমের অন্যান্য বইয়েও লক্ষ্য করা যায়। যা ঠিক নয়।


বইয়ের নাম: স্মৃতিচোর
লেখকের নাম: শেখ আবদুল হাকিম
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
প্রকাশক : অনিন্দ্য প্রকাশ
মূল্য : ১৫০.০০ টাকা
ISBN 978-984-414-409-0

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ