পাখি নিয়ে বেশ তথ্যবহুল বই ড. রেজা খান লিখিত "আমাদের পাখির রাজ্য"। যে পাখিগুলো বাংলাদেশে দেখা যায় সেই পাখিগুলো নিয়ে এই বইয়ের আয়োজন। প্রায় ২০০টি পাখির কথা লেখক বলেছেন। পাখিগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য দিতে লেখক কার্পণ্য করেননি। অল্প বয়সী কিশোর-কিশোরীকে পাখিদের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এই বইয়ের অবতারণা। লেখক একথা তার ভূমিকাতে স্পষ্ট করে বলেছেন। লেখক ভূমিকার একাংশে জানান-
বাংলাদেশের কিশোরদের জন্য বাংলায় লেখা বিজ্ঞানের বই খুবই কম প্রকাশিত হয়েছে। দু-একটি যা হয়েছে তা মূলত জীববিজ্ঞান বিষয়ক নয় বললেই চলে। সম্ভবত এটাই বাংলায় লেখা বাংলাদেশের পাখির উপর কোমলমতীদের প্রথম বৈজ্ঞানিক বই।
লেখক নিজের বইয়ের ক্ষেত্রে ঠিক কোন কারণে 'বৈজ্ঞানিক বই' শব্দদ্বয় ব্যবহার করেছেন তার ব্যাখ্যা কোথাও লেখা নেই। তাই আমরাও এ বিষয়ে কোন মতামত দিতে পারলাম না। তবে মনে হয় কোন কোন পাখির পরিচয় হিসেবে বৈজ্ঞানিক নাম লিখেছেন, সেজন্য বইয়ের এই অভীধা কিনা তাও নিশ্চিত করে বলা গেল না। পাখিদের গ্রিক ভাষায় রাখা বৈজ্ঞানিক নাম তো পাখি বিষয়ক অন্যান্য বইতেও রয়েছে। সেগুলো কেন 'বৈজ্ঞানিক বই' নয় তার একটা ব্যাখ্যা লেখক দিলে নবীন পাঠক উপকৃত হত।
সম্পূর্ণ বইটি প্রধান তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত। সূচিপত্র উল্লেখ করলে আলোচ্য প্রসঙ্গগুলো অনুধাবন সম্ভব হবে।
- অধ্যায় এক
- পাখি পরিচিতি
- অধ্যায় দুই
- অগায়ক পাখি
- অধ্যায় তিন
- গায়ক পাখি
- উপসংহার
- পরিশিষ্ট
দুই এবং তিন নং অধ্যায়ে একাধিক পাখির নাম অনুযায়ী উপসূচি সাজানো রয়েছে। দীর্ঘ তালিকা হওয়ায় সেগুলো উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকা হল।
বইয়ের পাখি পরিচিতি অংশটি বেশ লোভনীয়। বেশ কয়েকটি উপশিরোনামের আড়ালে পাখিদের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করা হয়েছে।
যেমন:
- পাখি কেমন প্রাণী
- উড়ন্ত পাখির দল
- উড়ার জন্য পাখির বিশেষ অভিযোজন
- পাখির 'পাখি' বৈশিষ্ট্য
- বড় পাখি ছোট পাখি
- পাখির আয়ু বা বয়স
- পাখির বাসস্থান।
এই অধ্যায়ে আরেকটি উপশিরোনামের অধীনে বড়সড় একটি প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। "স্থানীয় ও পরিযায়ী পাখি" শীর্ষক উপঅধ্যায়ে লেখক এই দুই প্রকারের পাখির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করেছেন। এই অংশের পর জোরালো ফন্টে লেখা আছে "অতিথি, বিদেশী বা শীতের পাখি নাই আছে পরিযায়ী পাখি?” প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহার করায় উত্তর দেয়া আবশ্যিক হয়ে পরে। তাই প্রশ্নের পরে মোটা গাঢ় রঙে লিখেছেন "প্রথমেই দেখা যাক পরিযায়ী কারা"। পরিযায়ী পাখি বলতে ঠিক কী বোঝায় তা বিস্তারিত আলোচনা করে লেখক ব্যাখ্যা করেছেন। পরিষ্কারভাবে সংজ্ঞায়ন করেন এভাবে-
পাখির ও অন্যদের এই ফি বছর কম করে দুটি অঞ্চলের মধ্যে আসা যাওয়াই হলো পরিযায়ন। আর তাই এমন পাখিরা পরিযায়ী পাখি। পৃষ্ঠা: ২৬
“পরিযায়ী পাখিদের বিভ্রান্তিমূলক নাম" শিরোনামের রচনায় পরিযায়ী পাখিদের কোন নামে ডাকলে যথাযথ হবে তা পরিষ্কার করতে চেয়েছেন। 'অচেনা হাজারো ছোট পরিযায়ী পাখি', ‘পরিযায়ী শিকারী পাখি', ‘পরিযায়ী জলকবুতর ও গাংচিল', ‘প্রজননকারী বা গ্রীষ্মের পরিযায়ী', 'চলার পথের পরিযায়ী বা প্যাসেজ মাইগ্রান্ট', ‘সচরাচর দেখা শীতের পরিযায়ী পাখি' শিরোনামের লেখাগুলো দিয়ে লেখক আসলে পরিযায়ী পাখির বিভিন্নতা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রথম অধ্যায়ের শেষ উপশিরোনাম 'স্থানীয় বা বাসিন্দা পাখি' রচনায় বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী পাখিদের কথা জানিয়েছেন। এই রচনার মধ্যে প্রায় চুয়াল্লিশটি স্থানীয় পাখির নাম উচ্চারণ করেছেন।
দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরুতে লেখক 'পাখির বিন্যাসগত ধারনা' আলোচনা করেছেন। উইকিপিডিয়া থেকে পাখিরা প্রাণীজগতের কোন স্থানে জায়গা পেয়েছে সেই শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কিত একটি ছক নিয়েছেন। এর মাধ্যমে জানা যায়-
পাখিরা প্রাণীজগতীয় বা প্রাণী রাজ্যের মেরুদণ্ডী প্রাণীদের পর্ব বা ফাইলাম (Phyllum) করডাটার (Chordata) শ্রেণী (Class) এভিসের (Aves) অন্তর্গত।
লেখক তাঁর বইয়ে পাখিদেরকে দুটি শ্রেণীতে বিন্যস্ত করেছেন। সেই সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি জানান-
পাখির জগৎকে সাদামাটা করে দুটি দলে ভাগ করা হয়। এদের একটি গায়ক পাখি বা সঙ্গ বার্ড বা প্যাসেরাইন দলভুক্ত। দ্বিতীয়টি অগায়ক, নন-সঙ্গ বা নন-প্যাসেরাইন পাখির দল (song, non-song, passerine, non-passerine)। ধরে নেয়া হয় বিবর্তনের ধারায় অগায়ক পাখির দল বিশ্বে প্রথম আবির্ভুত হয়েছে। পৃষ্ঠা- ৪০
এখানকার সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে জানতে পারি যে অগায়ক পাখিরা সাধারণত আকারে বড় হয় আর গায়ক পাখিরা আকারে ছোট হয়। বাংলাদেশের গায়ক পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে দাঁড় কাক ও পাতি কাক।
পাখিদের বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি অনেক তথ্য দিয়েছেন। বর্গ (Order) অনুযায়ী পাখিদের সাজিয়েছেন, তারপর পরিবার (Family) উল্লেখ করে বৈজ্ঞানিক নামের পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি নাম জানিয়েছেন। পাখিদের গায়ের রঙ, একা না ঝাঁকে বাস করে, কী খায়, প্রকৃতির কোন অংশে যেমন গাছ, না জলাশয়ে বাস করে , দৈর্ঘ্য, ওজন, বাংলাদেশে দেখা যাওয়ার হার কীরকম এসব বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। এছাড়াও প্রত্যেকটা পাখির ছবি রয়েছে। ছবিগুলো সাদাকালো হলেও ছাপানো স্পষ্ট হওয়ায় বুঝতে অসুবিধা হয় না।
এইভাবে পাখির পরিচিতি নির্দেশ করা বেশ উপকারী হয়েছে। পাঠক পড়তে গিয়ে একবারেই নির্দিষ্ট পাখিটির যাবতীয় পরিচিতি পেয়ে যাবে।
ড. রেজা খান একজন প্রতিষ্ঠিত প্রাণীবিজ্ঞানী। পাখি বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞ। গবেষণা করেছেন প্রখ্যাত পাখিপ্রেমী ড. সালিম আলির কাছে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত নামক দেশের দুবাই সাফারিতে কাজ করছেন প্রধান বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তার বইয়ে উপস্থাপিত তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই। কিন্তু বইয়ের এমন কিছু ত্রুটি চোখে পড়েছে, তা তাঁর মতো ব্যক্তিত্বের নিকট থেকে কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রচুর বানান এবং বাক্য ভুলের কথা বাদই দিলাম। ভাষার সবগুলো শব্দের সঠিক বানান একজনের পক্ষে জানা সম্ভভ নয়। আর তিনিও বহুদিন দেশের বাইরে থাকায় বাক্যের সাধারণ সংগঠনও ভুলে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু যখন নিয়মিত বাংলাভাষা ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা বইয়ে বাক্য সংগঠন জাতীয় ভুলের মাত্রা অবশ্যই অনেক কম থাকা উচিত ছিল। তিনি নিজে অপারগ হলে কারও সাহায্য নেয়া যেতে পারত। বানান এবং বাক্য ভুলের কারণে যে শ্রেণীর পাঠকের উদ্দেশ্যে তিনি বইটি রচনা করেছেন, তারা বিভ্রান্ত হতে পারে। সম্পূর্ণ বই পাঠ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
উপস্থাপিত তথ্যের অসম্পূর্ণতা আমাদেরকে বিস্মিত করেছে। সাতচল্লিশ পৃষ্ঠায় দেখা যায় বোঁচা, সরালি ও বালি হাঁস যেরকম বাসা বানায় তার সাথে 'বাদি হাঁসে'র বানানো বাসার মিল আছে। এরা সবাই হাঁস জাতীয় প্রাণী হলেও বাসা বানায় গাছের ডালে বা খোড়লে। ডিম থেকে সদ্য ফুটে বের হওয়া ছানারা গাছ থেকে কেমন করে মাটিতে নামে সে বিষয়ে লেখক নিশ্চিত করে কিছু জানাননি। যেটুকু তথ্য দিয়েছেন তা ধারনার উপর ভিত্তি করে-
সবচেয়ে মজার হলো তারা কি করে বাচ্চা গাছ থেকে মাটিতে নামিয়ে নিয়ে আসে। ধরে নেয়া হয় বাচ্চারা মায়ের প্ররোচনায় বাধ্য হয় বাসা ছাড়তে। তারা প্রথমে বাসার মুখে আসে। সেখান থেকে লাফিয়ে পড়ে কাছের কোন ডালপালা, সেখান থেকে আরো একটু নিচে এবং এভাবেই তারা গড়িয়ে পড়ে মাটিতে। আরো মনে করা হয় মায়ের ডানার নিচে বা পালকের মধ্যে ডুবে থেকে মায়ের সাথে সাথেই নেমে আসে গাছের নিচে। পৃষ্ঠা : ৪৭
গাছের ডালে তৈরি করা বাড়ি থেকে বাচ্চারা মাটিতে কীভাবে নেমে আসে তার দুইটি 'ধারনা' পাওয়া গেল। কিন্তু আসলে কোনটা ঘটে? তিনি তো পাখি বিজ্ঞানী, বিদেশী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। হাঁসের বাচ্চা কীভাবে নিচে নেমে আসে সেটা পর্যবেক্ষণ করার জন্য নিজে সময় না পান, কাউকে কি কয়েকদিনের জন্য নিয়োগ দেয়া যেত না?
আরেক জায়গায়, ময়না পাখির বিভিন্নতা আলোচনা করতে গিয়ে কিছু তথ্যের অপর্যাপ্ততা চোখে পড়েছে। তিনি জোরালো বর্ণে (Bold Font) শিরোনামের মত করে লিখেছেন:
‘ভাতশালিক, ঝুঁটিশালিক এবং গাংশালিক একই গণের প্রাণী'
শিরোনামের ঠিক নিচে তাদের বৈজ্ঞানিক নাম ধারাবাহিকভাবে Acridotheres tritis, A. fuscus ও A. ginginianus লেখা হয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ে স্বল্পজ্ঞান সত্ত্বেও যে কেউ বুঝতে পারবে যে এই তিন প্রকার পাখি আলাদা। শালিক পাখিও এক প্রকারের ময়না পাখি। 'ময়না' শব্দটিকে প্রধান শিরোনাম করে একাধিক প্রকারের ময়না বা শালিক পাখির বর্ণনা ও ছবি আলোচনা করা হয়েছে। এমনকি ভাত শালিক নিয়ে আলাদা একটি পরিচ্ছদ রয়েছে। যে সব পাখির কথা বইয়ের এই অংশে রয়েছে সেগুলো হল 'ময়না বা Hill Myna’, ‘ভাত শালিক Common Myna’, বামন শালিক বা ব্রাহ্মণী ময়না Brahminy Starling’, ‘গোবরে শালিক Asian Pied Starling’, ‘কাঠ শালিক Chestnut-tailed Starling’ এমনকী স্বল্প দেখা যায় এমন দুটি পরিযায়ী পাখি 'গোলাপী শালিক Rossy Starling’, ‘চিত্রা শালিক Common Starling’ এর ছবি ও কয়েক লাইনের বিবরণ রয়েছে। কিন্তু 'ঝুঁটিশালিক' বা 'গাংশালিক' এর কোন চিত্র বা বিবরণ কোথাও লেখা নাই।
ত্রুটিগুলো দেখে মনে হয় লেখক নিজে বইটার প্রুফ দেখার সময় পাননি। ভুলত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু তার রূপ এতটাই অভিনব যে কখনও কখনও অবাক হয়ে যেতে হয়। যা হোক, এসব ত্রুটি পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করে নেয়া যেতে পারে। সে বিষয়ে লেখক প্রকাশক সচেতন হবেন বলে আশা রাখি।
বইয়ের বোর্ডবাঁধাই মলাটের। ফলে বহুব্যবহারে সহজে জীর্ণ হবে না। ভিতরের প্রায় প্রত্যেক পাতায় পাখিদের ছবি রয়েছে। পাখি চিনতে বেশ সহায়ক হবে। কিন্তু ছবিগুলো সাদাকালো হওয়ায় কিছুটা আশাহত হওয়া যেতে পারে। তবে এর কারণে আবার বইয়ের দাম সহনশীল রাখা সম্ভব হয়েছে। রঙিন ছবি হলে বইয়ের দাম অনেক বেড়ে যেত। বেশ মোটা সাদা কাগজে গাঢ় কালি দিয়ে ছাপানোর মান ভাল। কোথাও কোন অস্পষ্টতা নেই। প্রচ্ছদ হিসেবে ড. জিনাত রেজা খান একটি ছোট মাকড়সাভূক (Little Spiderhunter) পাখির ছবি ব্যবহার করেছেন। একটি গোলাপী ফুলের উপরে দাঁড়ানো অবস্থায় পাখির ভঙ্গিটি বেশ অভিনব। যেন গভীর মনোযোগের সাথে কোন কিছু পর্যবেক্ষণ করছে এরকম বিশেষ মুহুর্তের ছবি ব্যবহার করায় প্রচ্ছদটি আকর্ষণীয় হয়েছে। প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে ড. জিনাত রেজা খানকে এজন্য ধন্যবাদ।
বইয়ের শেষে সংযুক্ত পরিশিষ্টতে পাখি বিষয়ক আটটি বইয়ের নাম রয়েছে। সবগুলো বই পাখি বিষয়ক। আমরা এই তালিকার মাধ্যমে আরও কয়েকটি পাখি বিষয়ক বইয়ের নাম জানতে পারি। এখানেও একটি ত্রুটি রয়েছে। শেষের বইয়ের লেখকদ্বয়ের নাম আছে কিন্তু বইয়ের নাম নেই। পরিশিষ্ট পৃষ্ঠার ছবি সংযোজন করা হল। এই বই আলোচনার পাঠক যদি প্রণবেশ স্যানাল ও বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর লেখা বইয়ের নাম দেখতে পারেন, তাহলে মন্তব্য অংশে জানানোর অনুরোধ রইল।
যা হোক, বাংলা ভাষায় পাখি বিষয়ক বইয়ের যে শূন্যতা তার কিয়দংশ এই বই পূরণ করবে। লেখকের এই আন্তরিকতা, উৎসাহ ও পরিশ্রমকে সম্মান জানাই। পাখিপ্রেমী কিশোর তরুণদের নিকট এই বইয়ের ব্যাপক প্রচার ও পঠন প্রত্যাশা করি।
********
আমাদের পাখির রাজ্য
ড. রেজা খান
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১৮
প্রকাশনী: ছায়াবীথি, ঢাকা
প্রচ্ছদ: ড. জিনাত রেজা খান
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ২০৮
মূল্য: ২৫০
ISBN: 978-984-93352-4-5
==========
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম