বাংলাদেশের চিত্রশিল্পের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। পূর্বপাকিস্তানকালে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে চিত্রকলা নিয়ে যে আগ্রহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে তা পরিপুষ্ট লাভ করেছে একাত্তরের স্বাধীনতা পরবর্তীকালে। যাদের মেধাবী ছোঁয়ায় বাংলাদেশের চিত্রশিল্প বৈশ্বিক মঞ্চে সম্মানিত হয়েছে তাদের নিয়ে বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর এর বই "চিত্রশিল্পঃ বাংলাদেশের"।
মোট ষোলজন চিত্রশিল্পীকে তিনি বেছে নিয়েছেন। ব্যক্তিকে ধরে ধরে বাঙালি মননের চিত্রবোধ অন্বেষণ করেছেন। অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন প্রত্যেককে। শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবন দিয়ে শুরু করে তার প্রতিবেশের চিন্তাকাঠামো, আগ্রহ, মেজাজ ও প্রবণতার প্রতি আলোকপাত করেছেন। ফলে শিল্পী মানুষটির একটি স্পষ্টতর প্রতিচ্ছবি পাঠকচেতনায় ফুটে ওঠে।
যে চিত্রশিল্পীদের নিয়ে লেখক উৎসাহিত, তাদের তালিকা সূচিপত্রে রয়েছে। এক ঝলক দেখে নিলে বইকে চেনা সহজ হবে।
সূচিপত্র
- ভূমিকা
- জয়নুল আবেদীন
- কামরুল হাসান
- শফিউদ্দীন আহমদ
- আনোয়ারুল হক
- হামিদুর রহমান
- মোহাম্মদ কিবরিয়া
- আমিনুল ইসলাম
- রশিদ চৌধুরী
- কাইয়ুম চৌধুরী
- মুর্তজা বশীর
- দেবদাস চক্রবর্তী
- আবদুর রাজ্জাক
- সৈয়দ জাহাঙ্গীর
- নিতুন কুণ্ডু
- কাজী আবদুর রউফ
- আবদুল বাসেত
সতেরো পৃষ্ঠাব্যাপী ভূমিকায় লেখক নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। বাংলাদেশের চিত্রশিল্পের অন্তর্চেতনাকে উন্মোচন করেছেন গবেষকের প্রজ্ঞা দিয়ে। ইতিহাসের অন্তরালে চাপা পড়ে থাকা উৎসমূলের বিবরণ দেন। সহায়তা নেন প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব জ্ঞানের আলোকমালার।
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে চিত্রকলার ইতিহাস বর্ণনায় চলে গেছেন আদিম যুগে। শুরু করেছেন লোকজীবনের প্রাত্যাহিক লোককলা থেকে। আধুনিক চিত্রকলা চর্চার ধারাবাহিকতায় বাংলার নিজস্ব লোকরীতিকে উপেক্ষা করা যায়না। লেখক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর অকপটে বিবৃত করেন বাংলার চিত্রে বিচিত্র ধারা ও শিক্ষার প্রভাবকে। পাঁচ খণ্ডে বিভক্ত দীর্ঘ ভূমিকার তৃতীয় খণ্ডে বাংলার চিত্রকলার স্বরূপ সন্ধান করেছেন এভাবে:-
বাংলা লোকচিত্রের বৈশিষ্ট্য এসেছে মন্দিরের টালির চিত্র, প্রতিমা ও ধাতু ঢালাই রীতি থেকেঃ অন্যপক্ষে এসেছে দাক্ষিণাত্য ও উড়িষ্যার লোকচিত্র ধারায় সংশোধিত হয়ে অজন্তার দূর ঐতিহ্য থেকে। বাংলাদেশে ঐ দুই রীতির দেখা মেলে। একটি রীতি অজন্তা, দাক্ষিণাত্য ঘুরে, উড়িষ্যা হয়ে বাংলাদেশের পশ্চিমে প্রভাব ছড়িয়েছে। অন্য রীতি এসেছে তিব্বত, নেপাল থেকে নালন্দা, উত্তরবঙ্গ হয়ে পূর্ব বাংলায়। ঐ রীতি এসেছে ধাতু ঢালাইয়ের কাজের রেখায়, যে-রেখা অনূদিত হয়েছে প্রজ্ঞাপারমিতা পুঁথি চিত্রাবলীর ছবির ভাষায়। ঐ দুই ধারার সমন্বয় থেকে তৈরী হয়েছে বাংলার শিল্পের মেজাজ। তিব্বতী ও নেপালী ধাতু ঢালাইয়ের টেকনিক সার্থকতা পেয়েছে বাংলার মন্দিরের টালি ও পাটার কাজে। মন্দিরের গায়ে উৎকীর্ণ ভাস্কর্যসুলভ কাজের মিল আছে নেপালী ও তরাই অঞ্চলের ধাতু ঢালাইয়ের কাজের। মন্দিরের গায়ের দেবদেবী অসুরের মূর্তির ভিত্তি তিব্বতী ও নেপালী প্রতিমা তত্ত্ব। ঐ মূর্তিতত্ত্ব শরীরের চেয়ে অ-শরীরিভাব, প্রশান্ত, অ-মর্ত্যভাব বেশী। পৃষ্ঠা ৪-৫
ভূমিকার পঞ্চম অংশে সমালোচনার রীতি পদ্ধতিকে বিশ্লেষণ করেছেন। চিত্রকলা বুঝতে হলে সমালোচকের যে জ্ঞানভিত্তিক চিত্রবোধ থাকা দরকার তার পরিচয় দিয়েছেন। সমালোচক কোন মনোভঙ্গি নিয়ে সমালোচনা করবেন, কোন কোন দিককে বিবেচ্য মনে করবেন; কীভাবে দৃশ্যমান অভিজ্ঞতার গভীরে অদৃশ্য মৌল ধারণাকে বুঝবেন সে বিষয়ক পরামর্শ দিয়েছেন। সমালোচকের মননবিন্যাসে আলোচনাটি এতটাই সহায়ক যে রচনাটি সম্পূর্ণ পাঠ করা প্রয়োজন।
শিল্পসমালোচকদের প্রতি লেখকের নিবেদন:-
সাম্প্রতিক চিত্র কি বিশৃংখল কল্পনা, উদ্ভট স্থাপনা, আর্শ্চর্য আবর্জনা? জবাবঃ না। তার কারণ চিত্র বিচারের রীতি, পদ্ধতি নিয়মের মধ্যে অন্তরিত। ঐ রীতি, পদ্ধতি, নিয়মের সমাচারের অন্য নাম সমালোচনা। নেহাত ভালো-লাগা মন্দ-লাগার পরপারে তার কেন্দ্র, সেজন্য সমালোচনার অন্তিম লক্ষ্য সৃষ্টি ও সৃষ্টির জনককে বোঝা। ঐ বোঝার তাগিদ থেকে মৌল সব ধারণার জন্ম হয়। সে-সব হচ্ছেঃ শিল্পীরা ব্যক্তিক মানুষ। সকল মানুষের মতন তাঁরা সময়ের বাসিন্দা, ঐতিহাসিক ব্যক্তি, চিরন্তন কোন পৃথিবীর অধিবাসী নন। শিল্পকাজ প্রতিভূ হিসেবে দৃশ্যমান অভিজ্ঞতার অধীন নয়, ঐ অভিজ্ঞতা থেকে স্বাধীন, নিজেই এক বিশ্ব। শিল্পী শুরুতে অন্য শিল্পকাজ দেখেন, প্রকৃতি নয়। চিত্র সৃষ্টি স্টাইলের প্রকাশ, ঐ প্রকাশ সবসময়ই ব্যক্তিক, ব্যাখ্যানের রীতিনিষ্ঠ ধরন। চিরন্তনের ধারণা ইতিহাসের ধারণায় শুদ্ধ হতে থাকে। চিত্র বিচারে ঐসব বোধ দরকার, ঐসব বোধ প্রয়োগ করে ব্যক্তি মানুষটির কাছে আসা যায়, তাঁর কাজ চোখের মধ্যে তৈরী করার প্রয়াস পাওয়া যায়। ঐ প্রয়াস রুচি ভাঙে রুচি গড়ে রুচি জোড়া দেয়। রুচির ভাঙা গড়া নির্ভরশীল ঐসব বোধের সাবলীলতা কিংবা ঝোঁকের ওপর। ঝোঁক প্রাথমিক, কিছুতেই অন্তিম নয়। সকল মানুষের মতন শিল্পীরা সময়ের বাসিন্দা, সেজন্য ইতিহাসের দুই মুহূর্ত এক নয়, স্মৃতি কেবল সাযুজ্য তৈরী করে। ইতিহাস সেজন্য প্রক্রিয়া, সময়ের স্রোত, তার প্রবাব প্রবল ও বলীয়ন, ঐ অর্থে অতীত স্পষ্ট কিংবা লুপ্ত নয়; ঐ অর্থে মানুষের কাছে নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়; ঐ অতীত, ঐ সময়, বিশ্ব পৃথিবী তার মধ্যে পরিশোধিত হতে থাকে। ঐ পরিশোধনের প্রাথমিক স্তর রুচি, অন্তিম স্তর নন্দনতত্ত্ব। পৃষ্ঠা ১১-১২
বইতে চিত্রশিল্পীগণের যে বিবরণ রয়েছে সেগুলো বেশ তথ্যবহুল। প্রত্যেক শিল্পীর উপর সম্ভাব্য সকল তথ্য উপস্থাপন করেছেন। শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার সাথে পরিবেশ, প্রকৃতি, অভিজ্ঞতা, রুচি, আবেগ, সক্রিয়তা, বিদ্রোহ প্রভৃতির বিবরণ দেন। শিল্পীর চিত্রকলার রীতি, উপাদান, বিভিন্ন ফর্ম, প্রবণতা, মানসিকতার খুঁটিনাটি বর্ণনা দেন। চিত্রশিল্পীর স্টাইল, দার্শনিক বোধ, ঝোঁক, ঐতিহ্যপ্রেম, একাডেমিক সংশ্লিষ্টতা, সংস্কৃতিপ্রেম, লোকজ গ্রামীণ জীবনের সরলতা, নাগরিক জটিলতা, চিন্তাবৈচিত্র, দৃষ্টিকোণ, চিত্রের বিষয়সহ প্রভৃতি তুলে ধরেন। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন সম্পর্কে শুরু করেন এভাবে:-
জয়নুল আবেদীনের শিক্ষার সূত্রপাত কলকাতায়। সেখানে তিনি শিখেছিলেন চিত্রে অন্তর্গত মানুষ, স্থান ও আলোকের সৃষ্টিশীল সম্পর্কের বিষয়টি। ঐ রীতিতে দৃশ্যমান অভিজ্ঞতা সংযুক্ত ও সজ্জিত হত, বাস্তব উন্মীলিত হত সুন্দর কোমল নমিত হয়ে, ঐ দৃষ্টিতে উদ্ভাসিত হত বর্ণনা, বর্ণনায় চিত্র আক্রান্ত হত। আবেদীনের করায়ত্ত হল ঐ রীতি, সাবলীল ও স্বচ্ছন্দ তাঁর বিচরণ, কিন্তু সেই সঙ্গে তিনি বুঝেছিলেন সাম্প্রতিক জীবনের সঙ্গে শিল্পের প্রয়োজনীয় দিকটির প্রসঙ্গ। তিনি তাই বিদ্রোহ করেছিলেন আকাডেমিক রীতির জাঁকজমক, শূন্যতা ও জীবন থেকে আহরিত বিষয়বস্তুর অবদমনের বিরুদ্ধে। পৃষ্ঠা -১৯
আরেক জায়গায় জয়নুল আবেদীনের মনোজগতের টানাপোড়েনকে বর্ণনা করেন অবলীলায়। তিনি লেখেন-
সংস্কৃতির সংকটে আবেদীন আক্রান্ত। তাঁর প্রিয় লোকজ সংস্কৃতি ক্ষীয়মাণ, নগরে বাস করা সত্ত্বেও তিনি নাগরিক নন, তাঁর মেজাজে, মানসিকতায় গ্রামীণ সংস্কৃতির দীর্ঘসূত্রী ছন্দ, সেজন্য বাংলাদেশের শহর তাঁকে ক্ষিপ্ত করে তোলে, তিনি ফিরে পেতে চান মাঠ, গ্রাম, নদী, অলীক বাংলাদেশ কিংবা শৈশবের বাংলাদেশ, কিছুতেই তিনি নিজেকে মেলাতে পারেন না সময়ের সঙ্গে। পৃষ্ঠা- ২৭
প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান সম্পর্কে লেখক অকপট। তিনি নির্মোহভাবে বর্ণনা করেন-
কামরুল হাসানের মানস গড়ে উঠেছে রেঁনেসা সৃষ্ট মডলিং, পারসপেকটিভ এবং আলোকের স্বভাবী বিতরণের ফ্রেমে। পৃষ্ঠা-৩৫
কামরুল হাসান শিক্ষালাভ করেছেন কলকাতায় ইংরেজদের তৈরি করা আর্ট স্কুলে। সেখানে যা শিখেছেন তার বিপরীত ধারার চিত্র দেখেছেন গ্রামে গঞ্জে।
“শহরের বাইরে, ইংরেজের তৈরি স্কুলের বাইরে সাধারণ জীবনযাত্রারত মানুষ রৌদ্রের বিস্তার, নীলের সঙ্গীত, নদীর উদ্ভাব, বর্ণবিন্যাসের অফুরন্ত উদ্ভাবন ও চিত্র বস্তুর ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিয়ে তাঁর চোখে উন্মীলিত হল এভাবে, দেখলেন চিত্রবস্তু নিশ্চল নয়, রং আচ্ছন্ন নয়, জীবনের বাস্তবতা স্কুলে শেখানো ফরমুলার একেবারে বিপরীত। পৃষ্ঠা-৩৫
কামরুল হাসানের মনের পরিবর্তন আসতে দেরী হয়নি। মানবিকতার তথা শিল্পচেতনা বা বিশ্বভাবনার পরিবর্তনকে লেখক বর্ণনা করেছেন এভাবে-
কামরুল হাসানের আগের কাজে রেঁনেসা সৃষ্ট মডলিং, পারসপেকটিভ ও আলোকের স্বভাবী বিতরণের মধ্যে ফর্মের বদল শুধু ছিল, তাই ছবি ছিল ইলাস্ট্রেশন। কিন্তু লোকজমূলে ফিরে যাবার চিত্রজগত তাগিদ তাঁকে শিখিয়েছে ভিন্ন সত্য। এ ব্যাপারে ড্রইং তাঁকে বহুলভাবে সাহায্য করেছে। ড্রইং ও মূর্ত গতি, টোনালিটির সমৃদ্ধি এবং স্ট্রোকের ক্রমবর্ধমান শিথিলতার মধ্যে অন্তরিত ছবির গুণ; মাধ্যমের সঙ্গে বিন্যস্ত হয়ে বিশেষ রীতি গড়ে তুলেছে স্কেচে, দ্রুত নোটেশনে, কোন ছবির আকস্মিক ভাবরূপ ধরে রাখার মধ্যে দিয়ে। পৃষ্ঠা- ৩৭
পাঠকের কৌতুহল নিবারণের জন্য বইসজ্জায় এক বিশেষ বিষয় গ্রহণ করা হয়েছে। কোন কোন চিত্রশিল্পীর বিবরণ শুরু হবার আগের পৃষ্ঠায় শিল্পীর আঁকা একটি চিত্র ছাপানো হয়েছে। পাঠক শিল্পকে চিনতে শুরু করার সাথে সাথে তাঁর আঁকা অন্তত একটি চিত্র নমুনা হিসেবে দেখে নিতে পারবে। তবে সব শিল্পীর অধ্যায়প্রারম্ভে অংকিত চিত্র ছাপানো হয় নি। বইয়ের শেষে বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের অঙ্কন করা আটাশখানা ছবি যোগ করা হয়েছে। সাদাকালো রঙে ছাপানো ছবিগুলো চিত্রশিল্পীদের কাজের মান ও বৈশিষ্ট্য বুঝতে সাহায্য করবে। তবে সব শিল্পীর আঁকা ছবি এখানে সংযোজন করা হয় নি।
কতিপয় শিল্পী ভিন্ন মেজাজের। তাঁদের কথা উল্লেখ হলেও কোন ছবি দেয়া হয়নি। যেমন মোহাম্মদ কিবরিয়া একজন এক্সপ্রেশনিস্ট। বাংলাদেশি চিত্রকলায় এক্সপ্রেশনিস্ট ধারার প্রভাব ও তার ব্যাপ্তি কিরূপ এ সম্পর্কিত আলোচনা একটু থাকতে পারত। কিবরিয়া বা অন্য কোন এক্সপ্রেসনিস্ট শিল্পীর কোন চিত্রকলা বইয়ের কোথাও নেই। অথচ লিখিত বিবরণে তাঁর কাজের বৈশিষ্ট অস্বীকার করা হয় নি।
কিবরিয়া এক্সপ্রেশনিজমের মাধ্যমে কাজ করেছেন। প্রথম থেকেই তিনি নিঃসঙ্গ, তাঁর পারিবারিক আবহাওয়া উদ্ভুত ভীতি ও আতঙ্ক তাঁর প্রায় নিত্য সঙ্গী, আর্ট স্কুলে পড়বার কালে ঐ নিঃসঙ্গতা, ঐ ভীতি, ঐ আতঙ্ক তাঁর পিছু পিছু ফিরেছে।… তাঁর ফিগররা সব পতনোন্মুখ, আতঙ্ক, জর্জর; তাঁর কাজ বিষণ্ণ, ঠাণ্ডা, মৃত বাস্তবতার এক পাঁচালী, উদ্ভাসনায় কাব্যিক ভাবানুভূতি ও রোমান্টিকতা সত্ত্বেও। চন্দ্রাহত ঘোড়াগুলি কিংবা গোরস্তানে নৃত্য ঐ পর্বের উজ্জ্বল নমুনা। এক সর্বগ্রাসী শূন্যতা ও নিয়তির বোধে তিনি তখন আক্রান্ত, তাঁর ফিগরগুলিতে সম্প্রসারিত করেছেন ঐ বোধ। পৃষ্ঠা - ৬৩
বাংলা চিত্রকলার এক নতুন ও অপরিচিত দিককে তিনি বাংলাভাষী শিল্পমহলে উপস্থাপন করছেন অথচ এর কোন নমুনা বইয়ের কোথাও নেই।
বাংলাদেশের চিত্রকলা বুঝতে ও মননশীল চিত্রশিল্পীদের চিনতে এই বই কাজে দেবে। বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর একজন প্রাজ্ঞ প্রাবন্ধিক। শিল্পসাহিত্যের বিভিন্ন দিকে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। তার রচনার সাথে পরিচিত পাঠকমাত্র এই বইয়ের গুরুত্ব বুঝতে পারবে। বাংলাদেশের চিত্রকলা চিনতে উৎসাহীগণ এই বই পড়তে পারেন। বাংলাদেশি চিত্রশিল্পের বিকাশে, আরো বেশি পরিচিতির প্রয়োজনে ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত এই বইয়ের পুনঃপ্রকাশ হতে পারে।
#=#=#=#
চিত্রশিল্পঃ বাংলাদেশের
বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
প্রকাশনায়: বাংলা একাডেমী, ঢাকা।
প্রকাশকাল: ১৯৭৪
প্রচ্ছদশিল্পী: কাইয়ুম চৌধুরী
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১২২+৮
মূল্য: চৌদ্দ টাকা মাত্র।
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম