হুমায়ুন আহমেদ লিখিত আশাবরী উপন্যাসের আলোচনা: মরিয়ম মেরিনা

হুমায়ুন আহমেদ লিখিত আশাবরী উপন্যাস

বাংলাদেশের লেখকদের মধ্যে একটি পরিচিত নাম হুমায়ূন আহমেদ। বর্তমান সময়ের নবীন লেখকদের একটা বড় অংশ তাকে অনুসরণ করে লিখে যাচ্ছেন। তিনি মধ্যবিত্ত কিংবা গরিব পরিবারগুলোর ছবি তার প্রতি গল্পে নিখুঁত ভাবেই উপস্থাপন করেন। অনেকটা নিজের চোখে যেভাবে দেখেন ঠিক সেইভাবেই। যা পড়ি, তাই বাস্তব মনে হয়। "আশাবরী" তেমনি একটা উপন্যাস। এ উপন্যাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ গরিব পরিবারের প্রতিদিন, প্রতিটি মূহুর্ত তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। একশত দুই পৃষ্ঠার সময় প্রকাশনীর বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সমর মজুমদার। যার মলাট মূল্য ১২৫ টাকা এবং প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ১৯৯১ সালে। উপন্যাসটি উৎসর্গ করা হয়েছে জাহানারা ইমামের করকমলে।

বইটির প্রথম লাইন,

জানেন, আমাদের বাসায় গত তিন মাস ধরে কোন আয়না নেই।


কথাটার সঙ্গে প্রচ্ছদের কেমন যেন গন্ধ মিশে আছে। প্রচ্ছদে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, একটি মেয়ের মুখের দুইটি প্রতিবিম্ব। হ্যাঁ, দুই মাস এগারো দিন পর গল্প কথকের বাবা একটা আয়না নিয়ে বাসায় ফিরলেন। আয়না বারান্দায় টাঙ্গানোর পর দেখা গেল, দুটো মুখ দেখা যাচ্ছে। যা প্রচ্ছদে তুলে ধরা হয়েছিল।

বইটিতে গল্প কথক বাড়ির ছোট মেয়ে রেনু। সে কলেজে পড়ে। বাড়ির সবার কাছে খুব একটা পাত্তা না পেলেও সে সবার আলাদা আলাদা কষ্টগুলো বোঝে।
 
যেমন বড় বোন মীরা। খুব বেশিই সুন্দরী। আমাদের দেশে আবার গরিব ঘরের মেয়েরা খুব বেশি সুন্দরী হলে আনন্দের চেয়ে কষ্টটাই বেশি পেতে হয়। বাড়ির সামনে মাস্তান টাইপের ছেলেদের আনাগোনা দেখা যায়। পাড়া প্রতিবেশি গুলো চেয়ে থাকে কখন কি হয়। রেনুর আপা এত সুন্দর হাওয়ার কারনে সিনেমাতে অফার পেয়েছিল, নতুন নায়িকা হিসাবে। ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসলেও আপা না করে দিয়েছে। কিন্তু আপার ভিতরে একটা চাপা কষ্ট। সে একা থাকতে চায়, মধ্যরাতে কান্না করে। সে চায় না, তার এই একক কষ্ট বাড়ির আর কেউ জানুক। তাই সে রেনুকে রাতে তার কাছে চায় না। তাকে শিফট করে দেয় ভাইয়ার ঘরে।

ভাইয়া রঞ্জু, সে আবার আর কিসিমের মানুষ। ইনকাম তেমন নাই, পেপারে কি সব করে নিজে চলে। কিন্তু সেই বাড়িটাকে মাতিয়ে রাখে। সবাইকে হাসিয়ে রাখে। বাবা তাকে ফানি ম্যান বলে।

গল্পে নায়ক চরিত্র মূলত এই ফানি ম্যানকে সৃষ্টি করেছেন লেখক। খুব এলোমেলো, অগোছালো ছেলেটি পাগলদের সাথেই বেশি মেশে। তাদেরকে জানার চেষ্টা করে। সবাইকে মাতিয়ে রাখলেও নিজের ভিতরের না পাওয়ার কষ্টগুলো প্রকাশ করে না। গল্পে ধারনা করা হয় তার প্রেমিকা, তার মতই গরিব পরিবারের মাথা আভা। অভাবে স্বভাব নষ্ট—কথাটি যেন আভার উদ্দেশ্যে বলা। আজকাল সন্ধ্যাবেলায় আভাকে সংসদের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। জীবনের কাছে হেরে গিয়ে আভার ক্লান্ত গলায় আক্ষেপ,

পুরুষ মানুষ সম্পর্কে আমার মোহ ভেঙেছে। মাকড়সা দেখলে আমাদের যেমন ঘেন্নায় শরীর কেমন করতে থাকে, পুরুষ মানুষ দেখলেও আমার এমন মনে হয়।


রেনু বাবা ব্যবসা করেন। অনেকটা ফেরিওয়ালা বলা যায়। তিনি যখন সংসারে টাকা পয়সা দিতে পারেন না, তখন তার ডুব দেওয়ার অভ্যাস অনেক পুরোনো। কিছুটা গুছিয়ে ঠিকই ফিরে আসেন। বাড়িটা আবার মাতিয়ে তোলেন। তিনি যখন থাকেন না, তখন সংসারের দায়িত্ব স্বভাবতই মায়ের আর ভাইয়ার মাথায় পরে। তখন কী ভাবে সংসার চলে রেনু তা জানে না। কিন্তু রোজ কলেজ যাওয়ার সময় মা তাকে দশ টাকা দেন। রেনুর ধারণা মায়ের লুকনো টাকাগুলো দিয়েই সংসার চলে। রেনুর বাবা-মায়ের মধ্যে বিশেষ দিন অনেকগুলো। যেমন, তারা কবে পালিয়ে এলো, কবে বিয়ে করলো, কবে তাদের প্রথম কথা হল, কবে নতুন সংসার হল ইত্যাদি। এসব দিন তারা মনে রাখে এবং তাদের নিজেদের মত করে পালন করে। এনিয়ে মায়ের কিছুটা লজ্জা হলেও বাবা বেশ আধুনিক। জিজ্ঞেস করলেই উত্তর পাওয়া যায়। তবে একটা কষ্টের দিনও তাদের আছে। তাদের বড় মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকী। এদিনটিতে তারা একসাথেই থাকে। বাবা গভীর রাতে বড় মেয়ের স্মৃতি বের করেন। বাবা যেখানেই থাকুক এদিনেই ফিরে আসে। কিন্তু এবার ঘটনা ভিন্ন।

সব মানুষের চাহিদা এক নয়, আবার কষ্টগুলোও ভিন্ন ধরণের। যার সামান্যটুকু কষ্ট থাকে, তার মনে হয় সেই পৃথিবীতে সবচেয়ে অসুখী। তেমনি উপন্যাসের কিছু চরিত্র। এখানে দুলু আপার কথা বলা যায়। ধনী পরিবারের মেয়ে হাওয়ার পরেও তার সুখ নাই। রাতের পর রাত জেগে থাকেন। মনে মনে তিনি ভীষণ অসুখে ভোগেন। সব ধরনের বিলাসিতা থাকলেও ভালোবাসা নাই। রাজপ্রসাদ যেন তার শূন্য মরুভূমি। রেনুর সঙ্গে তার দারুণ ভাব। বিপদের দিনগুলোতে ধার-কর্জ করে রেনু তার কাছে। আবার তাদের বাড়িতে গিয়ে গল্পসল্পও করে। এই দুলু আপাই গভীর ভাবে ভালোবেসে গেছে রঞ্জু ভাইকে। কিন্তু কোন দিনও তা বলেতে পারেনি। বলতে না পারার কষ্ট তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেলেও চিঠি লেখেনি। তার হিংসা হত আভা নামের মেয়েটিকে।

অপরপক্ষে, আর একটি পার্শ্বচরিত্র, সুলায়মান চাচা। তিনি বাড়িওয়ালা হলেও মানুষটা ভালো। সবার বাড়িভাড়া বাড়িয়ে দিলেও রঞ্জুদের বাড়ি ভাড়া বাড়ায়নি। সুখ দুঃখে মানুষটা রেনুদের পাশে থাকলেও শেষ অবধি থাকতে পারেন না। তার ব্যক্তিগত দুঃখ, মেয়ে-জামাই। ওনারা তার বাড়িটাকে ভেঙ্গে নতুন করে করতে চাইলে রাজি হননি।

রেনুর বাবা শেষবার বাড়ি ফিরার পর তাকে আধুনিক লেগেছিল। চুলে কলপ, দাঁত পরিষ্কার, রংচঙে শার্ট  সব মিলিয়ে বছর দশেক কমে আসছেন মনে হয়। যা প্রতিবারের উল্টো। মাকেও বাবা জোর করেন ভালো শাড়ি পরাতেন। রাতে বড় মাছ রান্না করলে ডিরেকশন বাবা দেন। খাওয়ার সময় পঁচা গন্ধ পাওয়া যায়। অর্থাৎ মাছটি পঁচা ছিল। সেই পঁচা মাছের মাথা খেয়ে ভদ্রলোক অসুখে পরেন।

বিশেষ দিনে বাবা-মাকে ঘুরতেও পাঠানো হয়। ভাইয়া, বাবা, মা, রেনু, মীরা ভালোই কাটে কয়েকটা দিন। এর মধ্যে রেনুকে থাকতে হয় ভাইয়ের ঘরের কোনার চকিটায়। আপা একা থাকতে চায়। আপা চায় না, তার কান্না কেউ শুনুক। তার দুঃখ সম্পর্কে কেউ  জানতে আসুক। তাই ভাইয়ের ঘরে জায়গা মেলে তার। রঞ্জুকে রাত জেগে লিখতে হয়, তার চায়ের জোগান দেয় রেনু। তার আবার রাতের ঘুম কম। সেজন্যই মীরা আপার কান্নার শব্দ সে জানে। মীরা আপা বলত,

যাদের মাথায় রাজ্যের চিন্তা তারা বিছানায় শোয়ামাত্র ঘুমিয়ে পড়ে। প্রকৃতি তাদের ঘুম পাড়িয়ে চিন্তামুক্ত করে। যারা সুখী মানুষ তারাই সহজে ঘুমুতে পারে না। বিছানায় গড়াগড়ি করে।


হয়ত রেনু সুখী,তাই তার ঘুম কম।

কিছুদিন পর বাবা আবার যায় ব্যবসার কাজে। মা বাধা দিলেও মানলো না।

কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে চিঠি আসে, তিনি ব্যবসায় তেমন সুবিধা করতে পারেননি। শীঘ্রই চলে আসবেন। তবে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ। চিঠি পড়ার পর সবার চিন্তার অন্ত রইল না। কারণ চিঠিটা বাবার হাতের লেখা নয়। শুধু সাতদিন নয়, অনেক সাতদিন যায়, বাবা আসে না। লোকমুখে নানা কথা শোনা যায়। থানা-পুলিশও করা হয়। রঞ্জু ভাই পেপারে বিজ্ঞাপনও দেয় কিন্তু কোন ফল হয়না। সংসারের অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে ওঠে দিনকে দিন। ধার-দেনা করে চলছে জীবন। ভাইয়ারও তেমন ইনকাম নাই। পাগলদের নিয়ে গবেষণা তার বন্ধ হলে শুরু হয় জাপানি শেখার পর্ব। এতচিন্তায় থাকা মানুষগুলো বাড়িতে জাপানি বলা শুরু করেছে। রেনু ঠিকই ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। কিন্তু স্কুল যায়না। রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে। আর মনে মনে বাবাকে খোঁজে। এদিকে ভাইয়া বরিশাল ও বগুড়ায় নিজে গিয়েও বাবাকে খুঁজে পায়নি।

বাড়িওয়ালা সুলায়মান চাচা সেই খবর পেয়ে ফকির টাইপ একজনকে ডাকে। কিন্তু সুবিধা করতে পারেন নাই। তার অনুমান ভুল ছিল। মূলত সংসারের মায়াজালে তিনি আবদ্ধ, তবুও রেনুর কাছে দুঃখ প্রকাশ কিংবা সান্তনা দিতেন,

তোর বাবা যে কাজটা করেছেন—আমার এমন একটা কাজ করার ইচ্ছা সারাজীবন ছিল। করতে পারি নি। সাহসের অভাবে পারিনি। গৃহত্যাগ করা সহজ ব্যাপার না। মহাপুরুষ ছাড়া কেউ পারেন না।

তবে রেনু মনে করত, তার বাবা খুব ঘরোয়া টাইপের।

চাচার তিন মেয়ের অত্যাচার বেড়েই যাচ্ছে, সেই শোকে অসুস্থ হয় চাচা। রঞ্জু তাকে হাসপাতালে রেখে আসে কিন্তু একটা সময় মেয়েরা বাবার খোঁজ পায়। জীবনের শেষ মূহুর্তে রঞ্জু আর রেনুকে দেখতে চায় সুলায়মান চাচা। তার মৃত্যুই ছিল রেনুর দেখা প্রথম মৃত্যু।

বাবাহীন কষ্টের পরিবার যখন এলোমেলো, ভাইয়া তখন অসুস্থ হয়ে পরে। মূলত তার জ্বর হয়। ঘরে থার্মোমিটার নেই, তাই জ্বর কতটুকু তা পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি।মায়ের সঙ্গে ভাইয়ের একটা নীরব যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধটা মূলত বাবাকে খোঁজা নিয়ে। মা ভাইয়াকে খুবই বিরক্ত করতো। এ নিয়ে শুরু। তাই মা ভাইয়াকে দেখতেও আসেনি। এরপর ভাইয়া মাকে ডেকে জানায় তার অনুমান। বাবা হয়ত ইন্ডিয়ায় আছে এবং তার ছ'মাসের জেল হয়েছে। চার মাস ইতিমধ্যে হয়ে গেছে হয়ত আর দুইমাসের মধ্যে বাবা হয়ত ফিরে আসবে। কোলকাতায় খোঁজ নিয়ে পাওয়া যায়নি। তাই ভাইয়া নিজে যাবে। ইন্ডিয়ায় যাওয়ার জন্য ভাইয়ার পাসপোর্টও দেখায়। এছাড়াও বলে, 'মা শোন, তুমি যে ভাবো, বাবার ব্যাপারে আমার কোন মাথা ব্যাথ্যা নেই, এটা ঠিক না। আমার কোন বন্ধুবান্ধব নেই মা। বাবা ছিলেন বন্ধুর মত। তুমি যতটুকু আগ্রহ নিয়ে বাবার জন্য অপেক্ষা করছ, আমি তার চেয়ে কম আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি না। বাবা একদিন ফিরে আসবে এবং হাসতে হাসতে বলবে–

ফানি ম্যান,ভেরী ফানি ম্যান।



মা কিছুটা শান্ত হয়। দুলু আপাও আসে ভাইয়াকে দেখতে। রেনুকে জানায় তার ভালোবাসার মানুষকে এবার সে চিঠি লিখবে।

জ্বরের তৃতীয় দিন। ভাইয়া মাথা ঘুরে পরে গেল এবং মুখ দিয়ে ফেনা আসতে শুরু করেছে। সে সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা চশমা পরা লোকটা। ভাইয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হল। সাধারণ বেড থেকে কেবিনে শিফট করা হল। কারণ দুলু আপার বাবা মন্ত্রী সাহেব নিজে দুই তিনবার এসেছেন এবং তদারকি করেছেন। দুলু আপা সেখানেই ছিল। ভাইয়ার সেবা করছে, গা স্পঞ্জ করেও দিয়েছে।

ভাইয়ার মৃত্যুর আগে দুলুকে ভাইয়া সঠিক ভাবেই চিনেছিল। কোমায় উনিশ দিন থাকার পর সে পূর্ণ জ্ঞান পেয়েছিল। দুলু আপা সবাইকে অগ্রাহ্য করে যখন তার হাত ধরে ছিল, আমাদের দেখে ভাইয়া অস্বস্তি-লজ্জাও পেয়েছিল। তার কিছুক্ষন পরেই ফানি ম্যানের মৃত্যু হয়।

গল্প কথক ছাড়াও আরো একটি প্রধান চরিত্র রঞ্জু। যার মৃত্যুর মাধ্যমে গল্পটি শেষ হলেও একটা ধোঁয়াশে ব্যাপার থেকে যায়।

রেনুকে দেখা যায়, রাস্তার একজন লোকের সাথে তার দেখা হয়। যিনি বাজার করে ফিরছেন, হাতে তার দুটো হাঁস বাঁধা। তার সাথে রেনুর কথাও হয়। ঘটনাটা একদিনের নয়, দুইদিনের। প্রথম দিন ঘটার পর রেনু চেষ্টা করে আবার তার সাথে দেখা করতে কিন্তু এর মধ্যে আর দেখা হয়নি।

শেষবার দেখা হয় রঞ্জুর মৃত্যুর দিন। লোকটি রেনুকে চিনতে পারে না। কিন্তু রেনুর খুব বলতে ইচ্ছে করে,

জানেন এই কিছুক্ষণ আগে আমার ভাই মারা গেছে।ওর নাম রঞ্জু। ফানি ম্যান রঞ্জু।


এটা হতে পারে রেনুর হ্যালুসিনেশন কিংবা লেখকের কোন রহস্য।

লেখক হুমায়ূন আহমেদ মধ্যবিত্ত কিংবা গরিব পরিবারগুলোর বর্ণনা সব সময়ই নিখুঁত ভাবে তুলে ধরেন। এই পরিবারগুলোর দিনরাত্রি, মানুষজন এবং তাদের পরিবেশগুলো সবসময়ই আমাদের আশেপাশের চিত্র। "আশাবরী" উপন্যাসের আভা যে প্রান্তে বাস করে তার ঠিক উল্টো প্রান্তে বাস করে দুলু আপা। তাদের দুঃখ গুলো এক নয়। আবার মীরা আপার দুঃখ গুলোও অন্যরকম। তিন জনের দুঃখ প্রকাশের ভঙ্গিমা তিন ভাবেই লেখক তুলে ধরেছেন। গল্প কথক রেনুর মানসিক দুঃখ কিংবা সুখ স্পষ্ট নয়। তার মুখে পুরো গল্পটা মানানসই ছিল। সবাইকে নিয়ে তার ভাবনা ব্যক্ত করেছে সে।
 
সংসারের মায়াকে পিছনে ফেলে বাবার ব্যবসা করতে যাওয়ায় নিরুদ্দেশ হলে, সংসারের জোগান দিতে হিমসিম খায় মা। তেমনি তরুণ রঞ্জু অর্থহীন, সংসারের কর্তা হলেও কাঁধে পড়ে অনেক দায়িত্ব। লেখক রংতুলিতে "আশাবরী" উপন্যাসে তাদের নিত্যদিনের ছবি এঁকেছেন।

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ