কবিতার বই 'ধু ধু' প্রসঙ্গে কবি চঞ্চল নাঈমের সাক্ষাৎকার

কবিতার বই 'ধুধু' প্রসঙ্গে কবি চঞ্চল নাঈমের সাক্ষাৎকার

কবি চঞ্চল নাঈমের কবিতার বই "ধু ধু" নিয়ে আলোচনা 'গ্রন্থগত' ওয়েবসাইটে ইতোঃপূর্বে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বইটি নিয়ে কবির মনোভাবনা সাক্ষাৎকারের আকারে প্রকাশ করা হল।

****************************

গ্রন্থগত: সম্প্রতি আপনার দ্বিতীয় কবিতার বই ‘ধু ধু’ প্রকাশিত হলো। আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

চঞ্চল নাঈম:  বইটি প্রকাশের অনুভূতি ভালো। কয়েক দিন তো চুপচাপ নিজের ভেতর জড়ো হয়ে নিজের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেছি। ভালো একটা জার্নি।

গ্রন্থগত: বই প্রকাশের সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন কীভাবে?

চঞ্চল নাঈম: কারণ, কবিতাগুলো আমার শরীরে প্রতিনিয়ত কামুড় দিতো। কামুড় বলতে নানান মাত্রিক ধাক্কা দেওয়া, চিন্তায় খোঁচা দেওয়া ইত্যাদি। তাই, কবিতাগুলোকে পাঠকের সামনে দাঁড় করালাম। এবার  ঠ্যালা বুঝুক।


বই প্রকাশের ক্ষেত্রে বইমেলা এখন আর ততোটা গুরুত্ব বহন করে না।

গ্রন্থগত: বইটি প্রকাশ করতে প্রকাশক নিয়ে জটিলতায় পড়তে হয়েছিলো কি?

চঞ্চল নাঈম: লিটল ম্যাগাজিনের লেখককে বই প্রকাশ করতে বরাবরই কিছুটা জটিলতায় পড়তে হয়। এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে না, সকল লিটল ম্যাগাজিন কর্মীর ক্ষেত্রে একই রকম ঘটনা। কিন্তু প্রতিশিল্পের সম্পাদক, কবি মারুফুল আলম আমার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'ধু ধু' প্রকাশের আগ্রহ দেখান এবং কবি নাভিল মানদারের আন্তরিক উৎসাহও পাশে হাঁটে। তবে, নিজেকে কিছু খড়কাঠি পোড়াতে হয়েছে। তবু যে, শেষ পযর্ন্ত  বইটি প্রকাশ করতে পেরেছি, এটাই হলো নিজের আনন্দ।
 
গ্রন্থগত: নিজের কবিতার প্রতি আত্মবিশ্বাস কতটুকু?
 
চঞ্চল নাঈম: আপনাদের এই প্রশ্নটি কবিকে প্যাঁচে ফেলার প্রশ্ন। তবে, আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, যখন কোন কবি নিয়মিত কবিতা লেখে, অবশ্যই তার পশ্চাতে নিজের কবিতার প্রতি আত্মবিশ্বাস কাজ করে। আমার ক্ষেত্রও এর ব্যতিক্রম না।

গ্রন্থগত: অনেকে বলেন লেখার ক্ষেত্রে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আপনার প্রস্তুতির কথা জানতে চাই।
 
চঞ্চল নাঈম: হয়তো, তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন। কিন্তু এখন আমার কোন প্রস্তুতি প্রয়োজন হয় না। লিখতে বসলেই কীভাবে যেন একটা লেখা তৈরী হয়ে যায়।

গ্রন্থগত: পান্ডুলিপি গোছানোর ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন?
 
চঞ্চল নাঈম: ভালো কবিতার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। তবে, আগে নিজের ভালো লাগার উপর।
 
গ্রন্থগত: শিল্প না কি পাঠক, আপনার দায়বদ্ধতা কার কাছে?
 
চঞ্চল নাঈম: শিল্প আর পাঠক দু'টোই গুরুত্বপূর্ণ।  কিন্তু আমি মনে করি,  লেখাটি যদি শিল্পমান বহন করে, তাহলে পাঠক লেখাটির প্রতি মনোযোগী হবে। সেই ক্ষেত্রে শিল্পের দায়বদ্ধতাই আগে।

লিখতে বসলেই কীভাবে যেন একটা লেখা তৈরী  হয়ে যায়।


গ্রন্থগত: পাঠক হিসেবে যখন বইটি দেখছেন/পড়ছেন, তখন বইটিকে কেমন মনে হচ্ছে?

চঞ্চল নাঈম: পাঠক হিসেবে বইটি অজস্র বার পড়েছি, নানান মাত্রিক বিভাজনে বইয়ের কবিতাগুলো দেখেছি। এই বইয়ের অনেক কিছু আমার নিকট স্পর্শকাতর। নিজের বই নিয়ে এর বেশি বলা ঠিক হবে না।

গ্রন্থগত: অধিকাংশ লেখক বইমেলাকে কেন্দ্র করে বই প্রকাশ করেন, কিন্তু আপনি তা করলেন না৷ এক্ষেত্রে আপনার ব্যতিক্রমী ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাই৷

চঞ্চল নাঈম: আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, বই প্রকাশের ক্ষেত্রে বইমেলা এখন আর ততোটা গুরুত্ব বহন করে না। কারণ, বইমেলায় বই প্রকাশ করলে অনেক পাঠকের নিকট যায়। তেমনটা মনে হয় না। যারা বই পড়ে, তাঁরা  বছর জুড়েই বই খুঁজে পড়ে।

গ্রন্থগত: গ্রন্থগতকে সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ।

-০-০-০-০-

* কবিতার বই 'ধু ধু' নিয়ে আলোচনা পড়ুন হিম ঋতব্রত'র বয়ানে

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ