বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনে একাধিক মামলার শিকার হয়েছিলেন। সেইসব মামলাগুলো নিয়ে তথ্যমূলক বই 'বঙ্গবন্ধুর আইনি লড়াই'। লিখেছেন মোহাম্মদ মশিউর রহমান।
বইতে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানী জান্তার বিভিন্ন অভিযোগ, মামলা, বিনা বিচারে তাকে আটক রাখা, তার পক্ষে যে আইনজীবীগণ লড়াই করেছেন, তাদের জীবনী ইত্যাদি সংযুক্ত করা হয়েছে। পাঠক এই বই পাঠে বঙ্গবন্ধু'র রাজনৈতিক জীবনের মামলা সম্পর্কিত বিষয়গুলোর বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তিনি বুঝতে পারবেন রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও নির্যাতিত হওয়ার বাস্তব অবস্থা।
বইয়ের শেষে একটি প্রয়োজনীয় পরিশিষ্ট রয়েছে। এখানে বিভিন্ন আবেদনপত্র, আইনি নোটিশের লিখিত জবাব, শেখ মুজিবকে দণ্ড প্রদানের রায়ের কপি, চিঠি, কারাগারে প্রয়োজনীয় চাহিদা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর চিঠি ইত্যাদি সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বইয়ের গ্রহণযোগ্যতা যেমন বেড়েছে, তেমন উৎসাহী পাঠক হৃদয়ে জাগ্রত হওয়া নানা প্রশ্নের উত্তর পাবে।
বঙ্গবন্ধুকে চিনতে জানতে গুরুত্বপূর্ণ এই বইয়ের মুখবন্ধ লিখেছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
# সূচিপত্র -
- পাকিস্তান আন্দোলন
- মামলা বৃত্তান্ত
- মামলার ইতিহাস
- বিনা বিচারে আটক
- অভিযোগের বৈশিষ্ট্যসমূহ ও ফলাফল
- শেখ মুজিবের আইনজীবীরা
- দশ আইনজীবীর সংক্ষিপ্ত জীবনী
- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
- আবদুস সালাম খান
- আতাউর রহমান খান
- কাজী গোলাম মাহবুব
- মির্জা গোলাম হাফিজ
- মোহাম্মাদুল্লাহ
- মোঃ কোরবান আলী
- হামিদুল হক চৌধুরী
- সিরাজুল হক
- জিল্লুর রহমান
গুরুত্ব ও প্রয়োজন বিবেচনায় বইয়ের পরিশিষ্ট অংশে সংযুক্ত তথ্যাবলীর তালিকা প্রকাশ করা হল। আগ্রহী পাঠক এই পরিশিষ্ট পাঠে শেখ মুজিবের জীবনের মামলাগুলোর নানা উপাদান ও গতিপথ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
#পরিশিষ্ট-
- শেখ মুজিবের সাথে ফজলুল কাদের চৌধুরীর সাক্ষাৎ, ৯ মে ১৯৪৯।
- আইনজীবী গোলাম সামদানীর আবেদন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০।
- প্রভোস্টের সাথে সাক্ষাতের জন্য শেখ মুজিবের আবেদন, ১৫ মে ১৯৫।
- আইনজীবীর সাথে সাক্ষাতের আবেদন, ১৯ জুলাই ১৯৫০।
- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আবেদন, ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫০।
- আটকাদেশ বিষয়ে শেখ মুজিবের লিখিত জবাব, ২৪ অক্টোবর ১৯৫০।
- শেখ মুজিবকে দণ্ড প্রদানের রায়, মামলা নম্বর ১৯, ২৮ অক্টোবর ১৯৫০।
- অসুস্থতার কারনে জেলখানা বদলি চেয়ে আবেদন , ২৪ নভেম্বর ১৯৫০।
- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে লেখা চিঠি, ২১ ডিসেম্বর ১৯৫০।
- মামলার কাগজ পাঠানোর আবেদন, ১২ ফেব্রুয়ারি।
- শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকার, মুচলেকা দিতে অস্বীকার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১।
- আইনজীবীর সাথে সাক্ষাতের আবেদন, ১১ অক্টোবর ১৯৫১।
- আইনজীবী আবদুস সালাম খানের আবেদন, ৩১ আগস্ট ১৯৫৪।
- আইনজীবীর সাথে সাক্ষাতের আবেদন, ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪।
- আইনজীবী মোহাম্মদুল্লাহর আবেদন , ২১ মার্চ, ১৯৫৯।
- নিজন কারাবাসে ইলেকট্রিক ফ্যান লাগানোর আবেদন, ২৫ এপ্রিল ১৯৫৯।
- আইনজীবীর সাথে সাক্ষাতের আবেদন, ২৭ মে।
- বেগম ফজিলাতুন্নেসার আবেদন, ৭ জুলাই ১৯৫৯।
- চিকিৎসার জন্য শেখ মুজিবের মুক্তির আবেদন, ২১ সেপ্টেম্বর।
- শেখ মুজিবের মুক্তির জন্য স্ত্রীর আবেদন, ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯।
- শেখ মুজিবের মুক্তির শর্তসমূহ, ১৭ ডিসেম্বর।
- দুই ভাইয়ের মামলায় বৈরী সাক্ষী ও খালাসের খবর, ২১-২৭ মে ও ১ জুন ১৯৬০।
- দুর্নীতি মামলার খালাস আদেশ, ৬ জুলাই ১৯৬১।
- সুপ্রিম কোর্টে সরকারের আপীল খারিজ, ২৫ জানুয়ারি।
- পরিবারের সাথে সাক্ষাতের জন্য শেখ মুজিবের আবেদন, ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬২।
- শেখ মুজিবের সাথে সাক্ষাতের জন্য পিতার আবেদন, ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬২।
- শেখ মুজিবের মুচলেকা দিতে অস্বীকার, ১৯ মার্চ ১৯৬২।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের নানা টানাপোড়েনকে চিনতে জানতে এই বই নতুন প্রজন্মের পাঠককে সঠিক পথে চালিত করবে।
-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
বঙ্গবন্ধুর আইনি লড়াই (১৯৩৮-১৯৬৩)
লেখকঃ মোহাম্মদ মশিউর রহমান
প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা
প্রকাশকাল: বইমেলা ২০২২
মূল্যঃ ডেলিভারি চার্জসহ ৩৭০ টাকা
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম