কীভাবে পড়তে হবে - নাদেজদা ক্রুপস্কায়া

কীভাবে পড়তে হবে - নাদেজদা ক্রুপস্কায়া
কীভাবে পড়তে হবে - নাদেজদা ক্রুপস্কায়া


আলোচক: দিলরুবা দিতি


"কীভাবে পড়তে হবে" বইটি নাদেজদা ক্রুপস্কায়ার লেখা একটি অসাধারণ বই। বইতে মূলত আমরা কি ভাবে সহজ, সাবলীল ও সুশৃঙ্খলভাবে বই পড়ে মন ও মস্তিষ্কের মধ্যে ধারণ করতে পারব তা আদৃত হয়েছে। বই পড়ার জন্য প্রথমত আমাদের আত্মশিক্ষাসংগঠন তথা বই পড়ার আগ্রহ জাগ্রত করতে হবে। বই পড়ার প্রতি আগ্রহ জাগ্রত হলে যে কোনো  বই পড়তে পারবো সহজেই।

সঠিক বই নির্বাচন বা বিষয় নির্বাচন করতে পড়া হচ্ছে দ্বিতীয় বিষয়। মনের খোরাক অনুযায়ী বই নির্বাচন করতে পারলে বই পড়ার আগ্রহ জাগবে নিজের থেকেই, ফলে বই পড়ার কঠিন অভ্যেসটা হয়ে যাবে, নির্বাচিত বই পড়তে গিয়ে অন্যান্য দিক আসবে একের পর এক, নতুন নতুন বিষয়ে ধারনা সৃষ্টি হবে, নতুনকে জানা কৌতুহল বেড়ে যাবে, নির্বাচিত বইয়ের পাশাপাশি অন্য বিষয়ের বই পড়ার আগ্রহ জেগে উঠবে নিজের থেকেই, ফলে বই পড়ার সকল ক্ষেত্রে সহজেই  বিচরণ করতে পারবে একজন পাঠক।

শুধু বই পড়লেই জ্ঞান অর্জিত হয় না, জ্ঞান আহরণ করতে হলে  সঠিক ও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে বই পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেনোনা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে বই পড়লে সঠিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব হবে। নির্বাচিত বইয়ে যা পড়া হলো তাকে বোঝাটও অপরিহার্য বিষয়। বই পড়ে যে বিষয়গুলো মনে দাগ কাটছে তা লিখে রাখতে হবে, তার ছক করতে হবে, বিচার বিশ্লেষণ করে ভালো মন্দ দিক খুজে বের করতে হবে এবং যা পড়বো তা পরিপাক করতে হবে।

এছাড়াও বই পড়তে সময় ও শ্রমের দিকটাও মাথায় রাখতে হবে। নিজের যতোটুকু সময় আছে তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। কাজের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, বই পড়ার অভ্যেস আয়ত্ত করতে হবে।

মূলত দলগতভাবে বা চক্রের মাধ্যমে বই পড়া উত্তম, কেনোনা সংক্ষিপ্ত সময়ে বিস্তৃত বিষয়ে জানা ও জ্ঞান অর্জন করার উৎকৃষ্ট মাধ্যম হলো দলগত কাজ করা।

পরিশেষে বলা যায়, কিভাবে সহজে সুশৃঙ্খলভাবে সময় ও শ্রমসংকোচনের মাধ্যমে সঠিকভাবে জ্ঞান অর্জন সম্ভব তার অকাট্য দলিল "কীভাবে পড়তে হবে" নাদেজদা ক্রুপস্কায়ার এই বইটি।

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ