আলোচক: মিজানুর রহমান
আমরা সাধারণত অনেক বই পড়ি। কিন্তু বই পড়ার যে বিশেষ পদ্ধতি আছে তা আমরা জানিনা। এর ফলে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের কথা ভুলে যাই এবং সেই সঙ্গে বইয়ের শিক্ষাও।
অধ্যয়নের সঠিক পদ্ধতি জানতে অবশ্যই পড়তে হবে ‘কীভাবে পড়তে হবে' বইটি।
৩১ পৃষ্ঠার এই বইটিতে নাদেজদা ক্রুপস্কায়া দেখিয়েছেন কিভাবে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের বই স্বল্প সময় ও শ্রমে সঠিকভাবে পড়তে হয়।
আত্মশিক্ষার কাজে যিনি প্রবৃত্ত হবেন তার পক্ষে কী নিয়ে শুরু করতে হবে এবং কীভাবে এগোবেন একথা জানা একান্ত প্রয়োজনীয়। স্বভাবতই এমন বই নিতে হবে যা বুঝতে পারা যায়, আঙ্গিক এবং বিষয় দুইই। সম্পুর্ন নতুন বিষয়ে পূর্ব জ্ঞান না থাকলে তা পাঠকের জন্য আত্মস্থ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
বই হলো শ্রমের উপকরণ, বিশ্ব দৃষ্টি গড়ে তোলার উপায় নয় এবং বই উৎপাদনশীল কাজের জন্য, জ্ঞান আহরণের জন্য নয়। এ কথা দুটি যে অযৌক্তিক তা লেখক সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমেরিকানরা সবসময় বলে - ‘সময়ই ঐশ্বর্য'। উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের পাঠ সংগঠন সম্পর্কে কী করে আমেরিকান ছাত্রদের অযথা শ্রম বাঁচিয়ে কত সংক্ষেপে সাফল্য লাভ করা যায় তার পথ দেখিয়ে সে দেশে একটা গোটা সাহিত্য আছে। দুঃখের বিষয় আমরা সে সাহিত্য খুব কম জানি। সময় এবং শ্রমের অতি কঠোর ব্যয় সংকোচন প্রয়োজন। তার জন্য অপরিহার্য:
- ক) নিজের সময়কে যথাযোগ্য নিয়মে বাঁধা;
- খ) কাজের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা;
- গ) বই পড়ার অভ্যাস আয়ত্ত করা ;
- ঘ) অধ্যয়নের উপযুক্ত মাল-মশলা বাছাই করা ;
- ঙ) কাজ ঠিকভাবে ভাগ করা;
- চ) সময় এবং শ্রম সংক্ষেপের দৃষ্টিকোণ থেকে দলগত কাজ কীভাবে চালাতে হবে, তা নির্ধারণ করা;
- ছ) হাতের কাছে প্রয়োজনীয় সাহায্য পুস্তকাদি ও নির্দেশনাবলী রাখা।
বই আমাদের জ্ঞান দেয়, অপরের অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় ঘটায় কিন্তু এই জ্ঞানকে যদি আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতার দ্বারা যাচাই করে নিতে পারি, তবেই তা অনেক ভালোভাবে আমাদের আয়ত্তে আসে।
লেখিকা বলেছেন,
"অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান বইয়ের দ্বারাই সঞ্চালিত হয়। "
বোঝা যায় যে, এই বইটি নতুন পাঠকদের জন্য একটি দিকনির্দেশনামুলক বই।
=-=-=-=-=-=-=-=-=
বই: কীভাবে পড়তে হবে
লেখক: নাদেজদা ক্রুপস্কায়া
প্রকাশক: রাশেদুন্নবী সবুজ
প্রকাশকাল: ২০১৩
দাম: পঁচিশ টাকা
---------------------
এই বইয়ের আর একটি আলোচনা পড়ুন দিলরুবা দিতির ভাষ্যে-
---------------------
# উপর্যুক্ত আলোচনাটি বাঙ্ময় এর সৌজন্যে প্রাপ্ত
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম