ঘটমান পুরুষতান্ত্রিক সমাজ চিত্র এবং এক কাপুরুষের জন্য প্রিয় শিক্ষিকার আত্মহনন সদ্য যৌবনে পদার্পণ করা তিন বান্ধবীকেই করে তুলেছিল পুরুষ বিদ্বেষী। প্রতিজ্ঞা করেছিল কোনোদিন কোনো পুরুষের নিকটবর্তী হবে না। যেকারণে তার প্রিয় শিক্ষিকার জীবন নরকে পরিনত হলো, যাদের দম্ভে নিজের মা-চাচিরা স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছেন না তাদের নিকট নিজেদের কখনোই সমর্পণ করবে না। যে যার কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। স্বতিতে বাঁচবে।
একজন রাজনীতিতে পাকাপাকি একটা অবস্থান করে নেবে, আরেকজন ভেবেছিল ওকালতি প্র্যাক্টিস করবে, অন্যজনের তেমন কোনো চিন্তাভাবনা না থাকলেও ধর্মের প্রতি প্রবল অনিহা তাকে এই সমাজ, শহর অতঃপর দেশ ছাড়তে একপ্রকার বাধ্যই করলো।
পুরুষ বিদ্বেষটাকে তখনও নিজেদের ভেতরেই জিইয়ে রেখেছিল তিনজনই কিন্তু একসময় এসে দেখলো সব পুরুষ এক হয় না। যে পুরুষ জীবন থেকে সমস্ত সুখ- সৌন্দর্য কেড়ে নিয়ে জীবনে খরতাপময় চৈত্র মাস নামিয়ে দিতে পারে সে পুরুষই আবার পরম যত্নে, ভালোবেসে চৈত্রের তাপদাহ থেকে মুক্তি দিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে স্নিগ্ধ আবেশে। উপহার দিতে পারে শরতের মতো শুভ্র সতেজ দিন।
••••••••••
চৈত্র শেষে
সাবরিনা শশী
ধরণ: সামাজিক উপন্যাস
প্রকাশন: বাংলার প্রকাশন
মূল্য: ৬২০ টাকা
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম