প্রশান্ত মাজী প্রণীত 'সন্দীপনের শরীর সন্দীপনের মন'

প্রশান্ত মাজী প্রণীত 'সন্দীপনের শরীর সন্দীপনের মন'



লেখালেখিতে প্রথম যখন আক্রান্ত হই, সেসময় শুধু যে কবিতাই পড়তাম, তা নয়, গল্প উপন্যাসও, পরিমাণে কম হলেও, পড়তাম। কিন্তু তাঁর লেখার সঙ্গে পরিচিত হই একটু দেরিতেই। তবে প্রথম যখন পড়ি "ক্রীতদাস ক্রীতদাসী", তখনই তাঁর জাত চিনে নিতে অসুবিধে হইনি। এরপর একে একে পড়ি "সমবেত প্রতিদ্বন্দ্বী ও অন্যান্য", "হিরোসিমা মাই লাভ", "এখন আমার কোনো অসুখ নেই", "আমি আরব গেরিলাদের সমর্থন করি, "কলেরার দিনগুলিতে প্রেম"। সেসময় তাঁর যে বৈশিষ্ট্য সবচাইতে আকর্ষণ করত, তা হল, তাঁর নন-ন্যারেটিভ ভঙ্গি। আর ভাষা। তিনি ছিলেন পৃথক এক ভাষাভঙ্গিমার নির্মাতা। মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন আনপ্রেডিক্টেবল এবং অসম্ভব মেধাবী। ইন্টেলেকচুয়াল বলতে যা বোঝায়, তিনি ছিলেন তাই। উৎপলদা, কবি উৎপলকুমার বসুর মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ হয় ১৯৯৯/২০০০ সাল নাগাদ। কফিহাউসে। অবশ্য সেই আলাপ যে ঘনিষ্ঠতায় পরিণত হয়েছিল, তা বলতে পারি না। তবে তিনি আমাদের পত্রিকার নামটা খুব পছন্দ করতেন। আদম। অবশ্য পত্রিকাটি তিনি পছন্দ করতেন কিনা, তা জানা হয়নি কোনোদিনও। তাঁর আরেকটা কাণ্ডের কথা বলি। কাণ্ডই। তিনি শেষ দিকে কর্কট রোগে আক্রান্ত হন। এবং সেই রোগ ধরা পড়ার বর্ষপূর্তি তিনি বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে হৈ হৈ করে সেলিব্রেটও করেন! এইরকম কাণ্ড, মৃত্যুকে নিয়ে এইরকম রসিকতা, বাংলায় তা বটেই বাংলার বাইরেও কেউ করেছেন কিনা সন্দেহ! এতক্ষণ যাঁর কথা বলতে চাইলাম, বললামও, তাঁর নাম আপনারা নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন। হ্যাঁ, তিনি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়।

তো, সেই সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে যিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন, আড্ডাও দিয়েছেন দিনের পর দিন, তাঁরই কলমে উন্মোচিত হল সন্দীপনের অনেক জানা ও অজানা নানান দিগন্ত। এইসব বর্ণময় দিগন্তের রচনাকার, অন্য আর কেউ নন, প্রতিবিম্ব পত্রিকার সম্পাদক, প্রাবন্ধিক প্রশান্ত মাজী।

–গৌতম মন্ডল

.....................................
সন্দীপনের শরীর সন্দীপনের মন
প্রশান্ত মাজী

প্রচ্ছদ  দেবব্রত ঘোষ
প্রকাশক আদম
মূল্য ২৫০/-

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ