'
কৃতজ্ঞতার মহাবয়ান' বইটা পড়ে শেষ করলাম। সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা বই, বইটা পড়ার সময় আমার শুধু শেখ সাদীর গুলিস্তাঁ ও বোস্তাঁর কথা মনে পড়ছিল। যাইহোক বইটা অনেক মানসিক প্রশান্তি ও স্বস্তিদায়ক অবস্থার সৃষ্টি করেছে আমার মনোজগতে। এই প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে গিয়ে- সবার জন্য, সব কাজের জন্য সময় হলেও নিজের আত্মোপলব্ধির সময়টাই হয়েই ওঠেনা।
ঈশ্বর বা প্রকৃতির প্রতি, আমাদের আশেপাশের মানুষ, যাদের সাহচর্যে আমাদের জীবন সহজ, সুন্দর হয়ে উঠেছে তাদের প্রতিও যে আমাদের সহৃদয় আর আন্তরিক সংযোগ গড়ে তুলতে হবে, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে হবে, তা আমরা প্রায় ভুলেই বসেছি, কিংবা মনে থাকলেও অনুভব না করে ছোটবেলার অভ্যস্ততা অনুযায়ী বলে দেই। কিন্তু এই বইটা পাঠকের মনে অভ্যস্ততার সাথে সাথে উপলব্ধিবোধ তৈরি করবে।
বর্তমানে কিশোর, তরুণ যে বা যারাই এই বইটা পড়ুক না কেন, একটু হলেও মগজটাকে নাড়িয়ে দিবে, নতুনভাবে ভাবতে শেখাবে, মানসিক প্রশান্তি নিয়ে আসবে। কারণ বর্তমান সময়ে আমরা দেখি কৃতজ্ঞতা ও সংযোগ জ্ঞাপন তো দূরের কথা, প্রতিনিয়ত বিচ্ছিন্নতা ও নৈরাশ্যের চর্চা চলে। আাশা করি এই বইটা আমাদের মাঝে সহানুভূতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক এক মন তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
তবে এই বইয়ের আরেকটা বিষয় আমাকে আকর্ষণ করেছে সেটা সহজ সাধারণ লেখার অসাধারণ উপস্থাপন। রবি ঠাকুরের একটা কথা আছে, সহজ কথা যায় না বলা সহজে কিন্তু এখানে লেখক জীবনের চরম ও পরম সত্যকে দর্শনের গভীরে না গিয়ে, রহস্যের বেড়াজালে না পেচিয়ে সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন।
************
কৃতজ্ঞতার মহাবয়ান
সাইফুল ইসলাম মণ্ডলপ্রচ্ছদ: রিপন মণ্ডল
মূল্য- ২০০
পৃষ্ঠা - ৮০
আপন প্রকাশনী
প্রথম প্রকাশ : বইমেলা ২০২৩
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম