যার ঠিক যে মানুষটা যায়, সে-ই কেবল ঠিক ঠিক ওই মানুষটার জন্য শূন্য অনুভূতি ধারণ করতে পারে। অন্য কেউ তা পারে না, তা সে যতই নিকটে থাকা মানুষ হোক
লেখক আবদুল্লাহ আল ইমরানের ভাবনায়, তার কলমে অদম্য এক শক্তি আছে যা পাঠককে বিমোহিত করে তোলে। উপন্যাসের প্রতি প্লটে প্লটে, প্রতিটি বাক্যেই যে আকাঙ্খা রয়েছে পরের লাইনটি, পরের কাহিনীটি জানবার তা সত্যি লেখকের সফলতাকেই উন্মুক্ত করে।
উপন্যাসটিতে রয়েছে বেশ কিছু রহস্য মিশ্রিত চরিত্র। অসহায়, বিপদাপন্ন, দিশাহারা, অভিভাবকহীন দুই নারীর কঠিন বাস্তবতার জীবনবৃত্তান্ত। যেখানে কখনও দেখা যায় ভদ্র, সভ্যরূপী ক্ষতিকারক, নীচ মন-মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তির অবিরত অবস্থান, পাশে থাকার নাটকীয় অভিনয়, আবার কখনও মনোবল বৃদ্ধি করে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়ে জীবনের কঠিন লড়াই লড়ে যেতে উৎসাহ দেওয়ার মানুষও। আবার নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হতেও দেখা যায়। সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে থাকা কামুক, লোভীর বিচরণ যেমন রয়েছে তেমনি বিপদে কোনো দিক বিবেচনা না করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে উপকার করার মানুষও রয়েছে এই উপন্যাসে। উপন্যাসটিকে ঘিরে বাস্তবতার নির্মম এমন এক পরিহাস ফুটিয়ে তুলেছে লেখক যেখানে পাঠকের দৃষ্টির আড়াল, মনের আড়াল হওয়ার কোনো অবকাশ নেই কাহিনি থেকে। পাঠক যেন নিজেই বিস্তরণ করছে উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শশীর অবস্থানে। শুরুতে এবং মধ্যে মধ্যে মনে নির্দয় এক আঁচড় কেটে যায় যা উপন্যাসের শেষ প্রান্তে এসে নির্মল আনন্দের আভাসও দেয়।
উপন্যাসটির শুরু হয় শশী ও তার ছয় বছর বয়েসের ছোট ভাই হাবুর শুকনো পাতা কুড়ানোর মধ্য দিয়ে। চন্দ্রলেখা উপন্যাসের লায়লা বানু তার স্বামী মোক্তার মিয়া, কেরোসিনের চুলায় রান্না করা খাবার খেতে পারে না জন্য, তিনি শুকনো পাতা দিয়ে রান্না করে। এতে তার অনেক কষ্ট হলেও তিনি এভাবেই রাঁধেন। মোক্তার মিয়া, লায়লা বানু, শশী ও হাবু চার জনের ছিলো যেন সুখী একটি পরিবার।
শশীকে তার দাদা আদর করে চন্দ্র নামে ডাকতো। কিন্তু দাদার মৃত্যুর পর বাবাই তাকে এই নামে ডাকতো। বংশের প্রথম সন্তান চাঁদের মত সুন্দর হলেও তার জীবন চাঁদের আলোয় নয় বরং অমাবস্যার অন্ধকারে ছেয়ে থাকে। যেখানে মাঝে মধ্যে আলোর কিরণ পড়লেও মুহুর্তেই কালবৈশাখীর ঝড়ে সব এলোমেলো করে দেয়।
হঠাৎ করাতকল থেকে শশীর বাবা মোক্তার আলীকে বীনা অপরাধে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এরপরই মা-মেয়ের চরম সংগ্রামী জীবন শুরু হয়। দিঘলিয়া থানা, আতাহার চেয়ারম্যান, আদালত, গঞ্জ, শশীর দৃঢ় কন্ঠে বাবার নিরপরাধ এর ব্যক্ত কথা। অবিরত এই তিক্ত জীবন পাড়ি দিতে হয় শশীদের।
অভাবের হাহাকার যদিও-বা গোপন করা যায়, অর্থের বা ক্ষমতার উচ্ছ্বাস মানুষ গোপন রাখতে পারে না
এসব ভাবতে ভাবতে শশী কিছুতেই তার বাবার বিরুদ্ধে খুনের দায়, আন্ডারগ্রাউন্ড এর পার্টি করা এসবের সমীকরণ মেলাতে পারে না।
বন্ধুরূপী শয়তান, ভালো মানুষ রূপী ক্ষতিকারক ব্যক্তি, মুখোশধারী বিদঘুটে কোনো লোকের কুদৃষ্টি যখন কোনো সরল, সাধাসিধে মানুষের উপর বর্তায় তখন আর তার সোনার সংসার কিংবা তিনি নিজেই টিকে থাকতে পারেন না, ভস্ম হয়ে যান কুচক্রী, বিশ্রী সে ষড়যন্ত্রের কাছে। যেমনটা দেখা যায় উপন্যাসের মোক্তার মিয়ার চরিত্রে। যে মানুষ একটা পিঁপড়ে মরলে কষ্ট পায়, কী করে সে মানুষ একটা লোক খুন করবে ভেবে পায় না মা-মেয়ে। চেয়ারম্যান এর ধ্বংসকৃত, নোংরা এই বিছানো জালের কোনো রকম আভাস শশী আর তার মা বিন্দুমাত্র টের পায় নি শুরু থেকে শেষের চরম দুর্ভোগ পর্যন্ত।
অনেকগুলো দিনের অপেক্ষা - তিতিক্ষার পর শশী, তার মা ও ছোট ভাই হাবুকে নিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করতে যায়। শত চিন্তার পাহাড় একদিকে সরিয়ে শশী তার বাবাকে জামিনের আশ্বস্ততা দেয়। মোক্তার মিয়া উচ্চ কণ্ঠে মেয়ে কে বলে, কাউকে বিশ্বাস না করতে, বিশ্বাস করেই তার যে বাজে পরিণতি হয়েছে। কথা শেষ না হলেও সেসময় প্রবল ভীড়ে ছিটকে পরে ছিন্ন হয় তারা।
মাথার উপর ছাদ না থাকলে, পিতাহীন, স্বামীহীন অবস্থায় নারীর যে দুর্ভোগ, দূর্দশা, সমাজের কিছু নিকৃষ্ট লোকের যে খারাপ নজর সব সময়ের জন্য স্থির থাকে তার বাস্তব চিত্র দেখা যায় আবদুল্লাহ আল ইমরানের চন্দ্রলেখা উপন্যাসে।
এরপরই শশীর জীবনে শুরু হয় ভিন্নরকম এক লড়াই। উকিলের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা, তার বাঁকা কথা, ফিরিয়ে দেয়া, পথিমধ্যে কামাল পাশা নামক কুৎসিত এক লোকের সাক্ষাৎ, সরল মায়ের নরম আচরণ এবং এদিকে পরীক্ষার দিনও ঘনিয়ে আসে। হঠাৎ ঝড়ের রাতে দুশ্চিন্তায় পড়ে মা-মেয়ে। আগের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে লায়লা বানু চোখের জল মুছে এবং আপন মনে বলে ওঠে,
জগতে এমন কিছু কান্না আছে, যার ভাগ কাউকে দিতে হয় না। কিছু কান্না নিজের। কিছু কান্না একান্ত গোপন
উকিলের ফি দিতে, সংসারের শেষ সম্পদ মায়ের সোনার দুল বিক্রি করে সরল মনে কামাল পাশার ঠিকানায় গেলে বুঝতে পারে শশী এক ছদ্মবেশী জানোয়ারের ভোগ্যবস্তুর শিকার হতে যাচ্ছে, এই কুলাঙ্গারের ফাঁদে আটকে গেছে সে। নির্মম এই মুহুর্তে হঠাৎ আগন্তুক এক ছেলে, আবিদের আবির্ভাবে রক্ষা পায় শশী। নির্মম, নৃশংস এই পরিস্থিতি শশী কারোর সাথেই ভাগাভাগি করতে পারে না। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষার পর মোক্তার মিয়ার জামিন হলেও সেই রাতে তার আকস্মিক মৃত্যুতে মা-মেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরে।
জীবনে দীর্ঘ চড়াই-উৎরাই এর পর যখন এক ঝলক আলোর কিরণ দেখা যায়, সেটুকুও নিভে গেলে যে কি পরিস্থিতির তৈরী হয় তা চন্দ্রলেখা উপন্যাস পড়লে সুস্পষ্ট বুঝা যায়।
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় এমতাবস্থায় মতিনের আকস্মিক উপস্থিতিতে বিরক্ত হয় শশী। যেখানে নিজেদেরই ভাত যোগানো দায়, সেখানে উটকো ঝামেলা আবার মতিনের থাকা-খাওয়া। এদিকে ভিন্ন এক চরিত্র জামিল ভাইয়ের উদয় ঘটে। তিনি ব্যানার, লিফলেট ইত্যাদি তৈরী করেন। তার সাথে কথা বললে শশী যেন মনে উৎসাহ, মনোবল পায় যা তাকে জীবনের কঠিন রাস্তা সহজেই হাঁটতে সহায়তা করে। জামিলের প্রতি ভালো লাগা থেকেই শশী এক সময় দূর্বল হয়ে পরে তার প্রতি। ভালোবাসার শীতল হাওয়া যেন দোলা দেয় মনে।
শশী তার সংগ্রামী জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই এর মধ্যে দিয়ে সময় পার করতে থাকে।
দীর্ঘদিন পর চেয়ারম্যান এর ভাই গ্রামে ফিরে অর্ধেকেরও কম বয়সী শশীকে দেখে পছন্দ করে। একপর্যায়ে ভাইয়ের কথায় বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যান তার দুশ্চরিত্র, খুনি, জঘন্য ছোটো ভাইয়ের সঙ্গে শশীর বিয়ের প্রস্তাব দেন লায়লা বানুকে। যার সঙ্গেই কি না প্রথমে লায়লা বানুর বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। চেয়ারম্যানকে লায়লা বানু শক্ত এবং কড়া কথা শোনালে তিনি ক্ষমতা আর মর্যাদা হারানোর ভয়ে আঁতকে ওঠে। এরপর তালেবের কটু কথায় মতিনের একেবারে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তে মন খারাপ হয়ে যায় মা-মেয়ের। ওদিকে শশীকে বিয়ে করার স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার ক্ষোভে চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব খানিকটা বেঁধেই যায়।
অবশেষে মেডিকেল পরীক্ষার দিন এলো। সেদিন জামিল ভাইয়ের থেকে পেইন্টিং উপহার পেয়ে শশী ভীষণ খুশি হয় এবং নিজের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখতে পায় সেখানে।
প্রতিবার শশী যখন চরম কোনো বিপদে পড়ে, তখনই দেবদূতের মতো আবিদ সাহায্য করতে হাজির হয়। পরীক্ষার দিনও হল রুম খুঁজে দিয়ে আবার সাহায্য করে আবিদ। পরীক্ষা শেষে আবিদের সাথে কথা বলতে অনেকটা সময় চলে যায় শশীর। ওদিকে বাড়িতে, মতিনের মাদরাসায় কাটানো নির্মম জীবনকাহিনী শুনতে শুনতে মমতাময়ী, মাতৃরূপে লায়লা বানু আবেগী হয়ে খানিক স্নেহের পরশ দিতেই এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে স্নেহাশিস মতিনকে। তালেবের মত দুষ্টচরিত্র, কুশ্রী মানুষদের জন্যই সমাজে অতিসাধারণ মানুষের জীবন কী নির্মমভাবে বিষিয়ে যায়... যার প্রমাণ মেলে উপন্যাসের এই পর্যায়ে এসে।
কিন্তু, সত্যরে করিবে অবরুদ্ধ, কার আছে এ সাধ্যি।
সহজ-সরল বেশধারী চেয়ারম্যান এবং তার অনুসারী তালেব যখন মিথ্যে অপবাদে মতিন ও লায়লা বানু এবং শশীর উপর অত্যাচার করে ঠিক সেই সময় জামিল ভাই সাজু সরকারকে সঙ্গে নিয়ে রক্ষা করতে উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে। শশীরা রক্ষা পেলেও পরে চক্রান্তকারীর জালে ফেঁসে যায় প্রিয় জামিল ভাই। মিথ্যে অভিযোগে জামিলকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। উপন্যাসের শেষ পর্যায়ে কাশেম জেল থেকে মুক্তি পেয়ে শশী ও তার মা কে মোক্তার মিয়ার জীবন নাশের সব ইতিহাস খুলে বলে, নিজে অনুতপ্ত বোধ করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদের কাছে। নিথর হয়ে নির্লিপ্ত চাহনিতে চেয়ে থাকে মা-মেয়ে।
প্রিয় জামিল ভাই কে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা এবং নন্দনপুরের রক্তাক্ত ইতিহাস শশী বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে, পত্রিকা অফিসে চিঠি লিখে পাঠায়। এর মধ্যেই মতিন যেমন হঠাৎই চলে আসে তেমনই হঠাৎই কোথায় নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান এর সকল কুকীর্তি ফাঁস হয় এলাকাবাসীর কাছে, অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে নৃশংস মৃত্যু হয় তালেবের, ক্রসফায়ারে নিহত হয় মোতা খান, জনগণের ক্ষোভে, তাদের রাগান্বিত বিস্ফোরণে বেগতিক অবস্থা দেখে স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় প্রভাবশালী সেই ভদ্ররূপী শয়তান।
বদলে যায় নন্দনপুর এবং এই এলাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। দেখা যায় শান্তির ঝলক এই গ্রামে। বিশদ এই পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শশী ও তার গোটা পরিবার।
যে মানুষটার প্রতি মনের কোণে সুপ্ত এক অনূভুতি কাজ করে, যার কথায় মনে অদম্য শক্তি পায় শশী, নুইয়ে পড়া মনোবল বাড়িয়ে দেয় এক মুহুর্তেই, সেই মানুষটা রয়েছে জেলে। কষ্ট হয় শশীর। এদিকে আবিদের মতো শুদ্ধ ও সাহায্যকারী মানুষও শশীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আবিদ নিরবধি শশীকে জানায়, শশী তাকে পাশে না রাখলেও সে সর্বদা থাকবে। কারণ প্রকৃতিই যে চায় আবিদ পাশে থাকুক শশীর। কিন্তু শশী আবিদের মনের কথা বুঝে বলে,
শশী চায় না তার প্রিয় মানুষগুলা চাঁদের খুব কাছে এসে ডুবে যাক। মানে তার প্রিয় মানুষ গভীর অতলে প্লাবিত হোক, হারিয়ে যাক, কোনো ক্ষতি হোক তা সে চায় না। এজন্যই দূরত্ব বজায় রাখে। কিন্তু আবিদ এক পৃথিবী বাসনা মনে পুষে রাখলেও শশী আর ফিরে তাকায় না। চলে যায় বিধ্বস্ত মা, ছোট ভাই হাবু আর বিপদগ্রস্ত প্রিয় জামিল ভাইয়ের জামিনের উদ্দেশ্য জীবন যুদ্ধের নতুন এক অধ্যায়ে......।
চন্দ্রলেখা থেকে মূল শিক্ষনীয় বিষয় হলো, জীবনের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে চরম বিপদ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এগুলোকে শক্ত ভিত করে জীবনযুদ্ধের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, অশুভ শক্তির বিনাশের মাধ্যমে সত্য, শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে আমৃত্যু।
উপন্যাসটি এতই মন ছুঁয়ে গেছে যে পড়া শেষ করেও যেন কয়েকদিন ঘোরের মধ্যে ছিলাম।
প্রিয় উক্তিঃ
১. কারো চোখে চোখ রেখে মিছে সান্ত্বনা দেওয়া কঠিন।
২. কান্না এমনই এক শক্তিশালী অভিব্যক্তি মুহুর্তেই যে কারো মন আর্দ্র করে দেয়।
৩. অতি আপন মানুষের কাছে এলে অজস্র কথা একসঙ্গে যেন বের হয়ে আসতে চায়। একটার সঙ্গে আরেকটা পেঁচিয়ে শেষ পর্যন্ত আর কথাই বের হয় না।
৪. প্রচন্ড ঝড়ের রাইতে সেই গাছটাই উপড়ায় পড়ে, যে গাছ মাটি কামড়ায়া থাকতে পারে না। কিন্তু যে গাছটা বাতাসের প্রবল বেগেও মাটি কামড়ায় টিকে থাকতে পারে, তার হয়তো দুই-চারটা ডাল ভাঙে, পাতা ঝরে, গাছটা কিন্তু শেষ পর্যন্ত মরে না। বছর না ঘুরতেই দেখবা নতুন নতুন ডাল গজায়, কচি পাতা গজায়।
৫. পৃথিবীতে নীরব কান্নার চেয়ে তীব্র কষ্টের, ভয়ানক যন্ত্রণার বুঝি আর কিছু নেই।
৬. মানুষের জীবন আর জটিলতা হইল পিঠাপিঠি ভাই। কেউ কাউরে ছাইড়া যেমন যাবে না, তেমনি সহ্যও করবে না। ফলে জীবনে জটিলতা থাকবেই।
৭. অভাবের হাহাকার যদিও-বা গোপন করা যায়, অর্থের বা ক্ষমতার উচ্ছ্বাস মানুষ গোপন রাখতে পারে না।
+=+=+=+=+
চন্দ্রলেখা
আবদুল্লাহ আল ইমরান
প্রচ্ছদশিল্পী: সানজিদা পারভীন তিন্নি
প্রকাশনী: অন্বেষা প্রকাশন, বাংলাদেশ
প্রকাশকাল: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০
পৃষ্ঠা: ২৬৪
মূল্য: ৪৭০
ISBN: 978 984 94969 1 5
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম