হোমো স্যাপিয়েন্স: আমার তৃতীয় উপন্যাস
*
মানুষ কি তার আদিম প্রবৃত্তি থেকে বের হতে পেরেছে নাকি রূপ বদলিয়ে আরো তীব্র, আরো নৃশংস হয়ে উঠেছে?
আমার মনে হয় মানুষের নৃশংসতা বেড়েছে। শুধু বেড়েছে তাই নয়, তাদের নৃশংসতার ধরণ সম্পর্কে জানলে রক্ত হিম হয়ে আসে। শুধু যে নিজ প্রজাতির উপর তাই নয়, প্রকৃতির বহু প্রাণীর উপর নৃশংস আচরণ মানবিকতা নামের যে সভ্য মুখোশ আমরা গড়ে তুলেছি, এইসব দেখলে কিংবা শুনলে তা একমুহূর্তে ভেঙে পড়ে।
মানুষের এই আদিম প্রবৃত্তির আধুনিক রূপ নিয়ে আমি 'হোমো স্যাপিয়েন্স' নামের একটি উপন্যাস লিখি। এটি সম্পূর্ণ ফিকশন। গল্পের প্রধান চরিত্র আহসান এক সকালে ঘুম থেকে উঠতে গিয়ে দেখে সে উঠতে পারছে না। সে চাইলেও চোখ মেলতে পারছে না, হাত পা শরীর কোন কিছুই নড়াতে পারছে না।
এমনকি বালিশের তলায় তার প্রিয় মোবাইলটিও হাতে তুলে নিতে পারছে না। কিন্তু সে সবকিছু অনুভব করতে পারছে।
আহসানের এই অদ্ভুত সমস্যা ক্রমেই চারপাশে রাষ্ট্র হয়ে পড়ে। তখন থেকেই শুরু হয় তার উপর নানা লোমহর্ষক ক্রিয়াকাণ্ড। একদল মানুষ তার চোখ তুলে নিয়ে যায়, একদল কিডনি কেটে নিয়ে যায়, একদল হাত ঢুকিয়ে লিভার ছিঁড়ে নিয়ে যায়। আহসান সব বুঝতে পারে কিন্তু কোন প্রতিবাদ করতে পারে না।
একে একে অজস্র ঘটনা ঘটতে থাকে। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে তার এলোমেলো ত্বক। কংকালও নিয়ে চলে গেছে একদম মেডিকেল কলেজের ডোমের দল।
আহসানের যখন এই অবস্থা তখন তাকে দেখতে আসে তার নারীবন্ধু নন্দিনী। নৃশংসতার বিপরীতে ভালোবাসা।
**********
হোমো স্যাপিয়েন্স
আহসান হাবিবপ্রকাশক: পেন্ডুলাম প্রকাশনী, ঢাকা।
প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত
প্রথম প্রকাশ: ২০২০
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১৪৪
মূল্য: ২৪০ টাকা
ISBN: 978-984-94490-1-0
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম