ক্লেদাত্মক জীবন এবং ইলিয়াসের জীবনদর্শন | আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত 'অন্য ঘরে অন্য স্বর' বইয়ের আলোচনা- আয়েশা শেফালী

ক্লেদাত্মক জীবন এবং ইলিয়াসের জীবনদর্শন | আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত 'অন্য ঘরে অন্য স্বর' বই সম্পর্কে আয়েশা শেফালী


মানুষ চায় এক হয় আরেক। চাইলেই সবসময় নিয়তিকে পরিবর্তন করা যায়না। তারপরও নিয়তিকে পরিবর্তনের চেষ্টা মনুষ্য চরিত্রের চিরায়ত বৈশিষ্ট্য।

বাংলা কথাসাহিত্যে প্রবহমান সময় সমাজ-জীবন ও জীবনের নানান অনুষঙ্গ নিয়ে যাঁরা এযাবৎকাল কাজ করেছেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন হাজারো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তাদের মধ্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩- ৯৭) বাংলা ছোটগল্পের এক আশ্চর্যরকম শিল্পী; তাকে জীবনশিল্পী বলতে দ্বিধা নেই। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৫ সাল অবধি লেখা গল্প নিয়ে তাঁর প্রথম গ্রন্থ "অন্য ঘরে অন্য স্বর": প্রকাশকাল ১৯৭৬

অন্য ঘরে অন্য স্বর গ্রন্থটিতে ৬টি ছোটগল্প স্থান পেয়েছে।י

নিরুদ্দেশ যাত্রা গল্পের প্রধান চরিত্র রঞ্জু। অস্তিত্বের সংকটের রুঢ় রূপের ইঙ্গিত রঞ্জুর বিস্ময়বোধকে কখনো শাণিত, কখনো বা বিপন্ন করেছে। মানুষ যে শুধু অর্থ সচ্ছলতার মধ্যে বাস করতে চায়না, তার ভিতরেও আরেকটি মানুষ আছে, সে চায় নিজেকে উন্মোচন করতে, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সময়ের সাক্ষী হতে। গল্পে লেখক নির্মোহ-নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টি দিয়ে সে সত্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন।

স্মৃতিভ্রষ্ট রোগা ও অসুস্থ ছেলে রঞ্জু। জীবনের অনেক রং তার ফুরিয়েছে; কিন্তু সে জানে না জীবন প্রবহমান নদীর মত। যতই ধ্বংস হোক আবার জীবনের উৎপত্তি, আবার বিকাশ পৃথিবীর লোকালয়ে। বৃষ্টির স্বর তাকে অন্যমনস্ক করলেও নিজেকে একটা বৃত্তের মধ্যে তাই আটকে রাখতে চায়না। অপ্রকৃতিস্থ রঞ্জু মাঝরাতে আব্বা আম্মার ঘরে কি ফেলে এসেছে বলে ছুটে যায়।

প্রতিশোধ গল্পের প্রধান চরিত্র ওসমান চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ছুটে আসে বাবা আব্দুল গণির অসুস্থতার খবর শুনে। ওসমানের আরেক ভাই আনিস, সে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বোন রোকেয়া যাকে ভালবেসে বিয়ে করে আব্দুল হাশেম। আব্দুল হাশেম গাড়ি চালাচ্ছিল, হঠাৎ গাড়ি থেকে ছিটকে পরে রাস্তার নিচে পানির মধ্যে পরে মারা যায় রোকেয়া। পরবর্তীতে হাশেম বিয়ে করে রোকেয়ার ছেলেবেলার বান্ধবী নার্গিসকে, যার সাথে ওসমানের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল; যদিও ওসমান শুধু একটি চিঠি দিয়েছিল নার্গিসকে। বিষয়টি ওসমান সেভাবে না দেখলেও ভাই আনিস যখন উস্কে দেয় এবং বাবা আব্দুল গণি হাশেমকে খুনি সম্মোধন করে। তখন থেকে ওসমানের মনের মধ্যে অনরকম প্রতিশোধস্পৃহা জাগৃত হয়।

সাবেক ভগ্নিপতি হাশেমকে খুন করতে চায় বোনকে মেরে ফেলার জন্য এবং তার ভাবী বধু নার্গিসকে বিয়ে করার জন্য। জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে সে সবসময় ছক করতে থাকে খুনের। কিন্তু সে তো পেশাদার খুনি নয়, খুন করার যে দক্ষতা লাগে তা তো ওর নেই। অবচেতন মনে সে নিজের ছকে নিজেই আটকে যায় অর্থাৎ ওসমান নিজেই মনোবিকার ও আত্মহননের সুপ্ত বাসনার মূর্ত প্রতীকে পরিণত হয়।

উৎসব গল্পের প্রধান চরিত্র আনোয়ার আলী নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। জীবনের নানা বাঁকে দারিদ্র্য তাকে গ্রাস করে, পুরনো ঢাকার জীবন তার ভাল লাগেনা। বড়ই কষ্টের এবং বিশ্রী জীবনযাপন। ধানমণ্ডির মত অভিজাত এলাকায় বন্ধুর বৌভাতে গিয়ে তার চোখ জুড়িয়ে যায়, এখানকার জীবন প্রণালীর ধরণ-ধারণ তার মস্তিস্কে কাঁটার মত বিধে। এখানকার ধা চকচকে চওড়া ও মসৃণ সড়ক, আলোয় উজ্জ্বল মানুষগুলো, দেশি বিদেশি মেয়েমানুষ, চকচকে গাড়ি- সবকিছু দেখে নিজেই হীনমন্যতায় ভোগে, নিজের অনুভুতি ভোঁতা হয়ে যায়। হাফডজন রূপসী ভিনদেশি ভাষায় কথা বললে আনোয়ারের চোখ ছানাবড়া হয়। অন্যদিকে পুরনো ঢাকার মলিন -বিমর্ষ, জীর্ণ জীবন তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। মাঝরাতে ঘরে ফিরে সুন্দরের ধ্যানে মগ্ন হয়ে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেনা। এভাবে লেখক জীবনের গহ্বরে দৃষ্টি ফেলে দেখেছেন কালো মিশমিশে অন্ধকার। জীবনকে ভোগ করতে না পারার যে যন্ত্রণা তা পুরো গল্পে ছড়িয়ে আছে।

যোগাযোগ গল্পে একজন শহুরে রোকেয়াকে দেখি যে কিনা মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে মহীরূহ নারীতে রূপান্তরিত হয়েছে। মামার অসুস্থতার সংবাদে বাবার সাথে স্বরূপখালি ছুটে যায়। ছেলে খোকন ও স্বামী হান্নান থাকে ঢাকার রোকনপুরে। একমাস পরে ছেলের পরীক্ষা থাকায় সঙ্গে নিতে পারেনি। কিন্তু সেখানে অহর্নিশ খোকনের কথা মনে পড়ে এবং বিপদের আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়। অবশেষে একদিন খোকনের আহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে রোকেয়া ভীত হয়; হয়তো খোকন বেঁচে নেই। অতঃপর হাস পাতালে পৌঁছে অপেক্ষায় থাকে কখন খোকন মা বলে ডাকবে। সন্তানের চিন্তায় নিদ্রাহীন, এক প্রকার অপ্রকৃতিস্থ মা শেষপর্যন্ত মা ডাক শুনতে পায়নি, কিন্তু তারপরও একটি উৎকণ্ঠা কাজ করেছে। গল্পের যে জীবনোপলব্ধি, শহর ও গ্রামীণ জীবনের যে প্রেক্ষাপট তার ভিতর অবিরাম চড়াই-উৎরাই বিষয় বৈচিত্র্যে সমষ্টিগতভাবে সবই উন্মোচিত হয়েছে বৃহত্তর পরিসরে।

পুরনো ঢাকার সঙ্গে নতুন ঢাকার যে যোজন যোজন ফারাক সেখানে দাড়িয়ে লেখক রচনা করেছেন "ফেরারি " গল্পটি। ভয়ংকর দৃশ্যাবলীর যে বিবরণ, মানুষের বেঁচে থাকার আকুতি, তার ভিতর দিয়ে প্রবহমান জীবনধারা। আর্থিক দুরাবস্থা ভিতর দিয়ে হানিফের যাত্রা । ডিসপেনসারিতে গিয়ে ডাক্তার নেই শুনে মাথার চান্দি ছলকে উঠে। প্রতাপ কম্পাউন্ডারের ব্যবহারও তাকে বেশ পীড়া দেয়। এভাবেই সে জীবনের বাঁকে প্রবেশ করে। তার জন্য কোন পরিবেশ অনুকুল নয়। স্বপ্নাহত একজন যুবক, জীবনের রং ধোয়াশে। সামনে চলার পথে আলো নেই তার। গল্পের প্রধান চরিত্র ইব্রাহীম ওস্তাগারের জীনপরী দর্শন গল্পজুড়ে অন্য রকম এক ভৌতিকতার সৃষ্টি করে।

অন্য ঘরে অন্য স্বর গল্পের পটভূমি ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ। ননীদা এখানে ধোপদুরস্ত নিরামিষ একটি হিন্দু চরিত্র। বাজারে আড়ত আছে। কিন্তু স্থানীয় মাস্তানদের যে বাড়াবাড়ি বা দৌড়াত্ম তা ক্রমে সহ্যের বাইরে গেলেও মুখ বুজে ছেলের বয়সী ওসব বখে যাওয়া পাতিনেতাকে চাঁদা দিতে হয়। কলকাতা থেকে কয়েকদিন বেড়াতে এসেছে প্রদীপ-ননীদার মামাত ভাই। তার সামনেই চাঁদাবাজীর ছবি ধরা পড়ে অথচ এসব মাস্তানদের কারণে ননীদার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ইন্দিরা রাস্তায় বেড়োতে পারেনা। আর তাই ননীদার বউ-বউদি ভারত যাওয়ার জন্য মরিয়া।

এদিকে পিসিমা, যে সমকালের জীবন পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। পুজো-আর্চা নিয়ে থাকেন। তিনি বেঁচে আছেন পূর্ববর্তী নানান ঘটনা, স্মৃতিরাশি আর অনুভূতির একজন সাক্ষী হয়ে পৃথিবীর লোকালয়ে। বিধবা পিসিমা মৃত বড়দাদা অর্থাৎ প্রদীপের বাবার স্মৃতি আঁকড়ে আছে, সমস্ত গল্পজুড়ে প্রদীপের সঙ্গে কথোপকথনে বারংবার মৃত দাদা চলে আসে।

গল্পে হিন্দু ব্যবসায়ী পরিবারের কাহিনীর প্রেক্ষাপট চিত্রায়ণ করতে গিয়ে মানব প্রেমের আরেক কাহিনী অঙ্কিত হয়ে গেছে। সেখানে পিসিমা এক মাইলফলক। তার স্বর শোনা না গেলেও সাতচল্লিশের ভারতভাগের পর হিন্দু পরিবারগুলো অন্য ঘরে চলে যায়। দেশত্যাগের আকাঙ্ক্ষায় নিত্যসময় উদগ্রীব, রক্তারক্তি, হিংসা-বিদ্বেষ ও শঙ্কা গ্রাস করছে এবং সেই স্বরে পিসিমা তার বড় দাদার স্মৃতি, মধুর কাহিনী গেঁথে যায়। মানুষ যেন এভাবেই সত্যের কাছে ধরা দেয় অথবা অধরা থেকে যায় জন্মজন্মান্তর।

চরিত্র অনুযায়ী ভাষাবিন্যাসের দিকে খেয়াল করলে দেখতে পাই-

উৎসব গল্পে আনোয়ার আলী নিম্ন মধ্যবিত্ত, পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি গলিতে বাস করে তাদের কথোপকথনে খিস্তিখেউর ও আঞ্চলিকতায় ভরা। তারা যেসব কথাবার্তায় অভ্যস্ত

আবে হালায়, এক খামচা নিমক লইয়া আয় না বে।...  যা না পিচ্চি, লইয়া আয় না হালায়।


আনোয়ারের উচ্চবিত্ত বন্ধুর বউ যখন তাকে দাওয়াত করে তখন সে মনে মনে সুগঠিত বাক্য সাজাতে থাকে যথাযথ উত্তর দেয়ার জন্য ।

কতোকালের বন্ধুত্ব, কিন্তু দ্যাখাও তো হয় না কতোকাল। যাবো, একদিন অবশ্যই যাবো, আপনাদের বিরক্ত করে আসবো।


কিন্তু অনভ্যস্ত আনোয়ারের মুখে এত সুন্দর সাজানো বাক্যটি আর আসেনা। তাই আর বলাও হয় না।

প্রতিশোধ গল্পে উচ্চবিত, শিক্ষিত ও চাকুরীজীবী আনিসের ভাষা এরকম

আপনি কি আব্বাকে বিরক্ত করতে এসেছেন?


ডোন্ট ইউ ফিল এ্যাশেমড টু টরচার এ ডাইং ওল্ডম্যান?


যোগাযোগ গল্পে রোকেয়ার মাতৃরূপকে তুলে ধরেছেন এভাবে-

আমি থাকলে কি আর খোকনের এ্যাক্সিডেন্ট হইতে পারে?


অন্য ঘরে অন্য স্বর গল্পে পুরাতনকে আঁকড়ে থাকা পিসিমার ভাষায় -

সাবিত্রি, ল দিদি, ওর পোলারে, মাইয়ারে লইয়া তর নিজের বাড়িত চল। ঘরে তর রাধাকিষ্ট তরে ডাকছে, ল, বাড়ি চল ৷


নিরুদ্দেশ যাত্রা গল্পে সম্ভ্রান্ত পরিবারের কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ ছেলে রঞ্জুর ভাষায়-

টায়ার্ড হয়ে পড়লে ঘুম আসবে? আমিতো সবসময়ই ভারি ক্লান্ত হয়ে থাকি, আমি এক জন্ম ক্লান্ত লোক; আমার তবে ঘুম আসেনা কেন ?


এই গ্রন্থে লেখক চরিএগুলোকে যেভাবে যে পরিবেশে সাজিয়েছেন সে অনুযায়ী ভাষার ব্যবহারও করছেন যথাযথ। চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি কিছু স্লাং ল্যাঙ্গগুয়েজও ব্যবহার করেছেন

এই গ্রন্থের গল্পগুলোর বিশাল ক্যানভাস বা প্লট হল পুরনো ঢাকার ঘিঞ্জি গলি—চিপা রাস্তা, যাকে বলে বস্তিওয়ালাদের জীবন যন্ত্রণার চিত্রাবলী। ধা চকচকে নতুন ঢাকা থেকে পুরনো ঢাকার মধ্যে যে অদৃশ্য একটা প্রাচীর, সে প্রাচীর চর্মচক্ষে দেখা না গেলেও ভেদ করা সত্যিই কঠিন।

আর্থিক দুগতির সঙ্গে জীবনপ্রণালী নোংরা কানাগলি বা বন্ধগলির জমে থাকা শতাব্দীর পচা পানির মত যে মানব মানবীর জীবনাচরণ, সেখান থেকে বের হওয়া চাট্টিখানি ব্যাপার নয় বরং বেশ কষ্টসাধ্য বলা যায়। কারণ মানুষ প্রতিনিয়ত নাগরদোলার মত ঘুরছে। কোথায় তার সঠিক গন্তব্য তা জানেনা। জানার হয়তো প্রয়োজনও মনে করেনা। কিন্তু মানুষের এই অবিরাম ঘুরে চলা আজন্মকাল ধরে চলছে। কোথাও তার অবস্থানের এতটুকু পরিবর্তন হয় না। একই ভূমিতে দাঁড়িয়ে সে ঘুরে যাচ্ছে। আকাশ যতই বিশাল হোক বা সমতল অথচ সে ঐ স্থানেরই একটা মহীরুহ বটবৃষ্ণ।

লেখক পুরান ঢাকার যে জীবন যন্ত্রণা প্রত্যক্ষ করেছেন সচেতন শিল্পীর মত, সেখান থেকে ইতিহাস - অভিজ্ঞতা এবং জীবন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। জীবন থেকে টেনে তুলে এনেছেন কঠিন বাস্তবতাকে, যার ভিতর নিজেকে একটু একটু খেলিয়ে দেখেছেন। হয়তো জীবন মানে শুধু শানশওকতে দিন যাপন করা নয়, আরো কিছু অবশিষ্ট থাকে। সেই অবশিষ্ট নিয়েই ইলিয়াসের গল্প ইলিয়াসের শিল্পকর্ম।

এই গ্রন্থটির আবেদন চিরন্তন; কখনো শেষ হবেনা। কারণ প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির যে ফারাক, মানুষের জীবনে এর কোন বিকল্প নেই। এটি সকল সময়ে সকল মানুষের জন্য সত্য। মানুষ চিরকালই জরাজীর্ণ জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায়, নিষ্কৃতি পেতে চায়, সামনে যে অন্ধকার সেখান থেকে আলোর মুখোমুখি সে দাঁড়াবে আরেক নতুন দেয়াল হয়ে। এই পালানোর মধ্যে আছে সুন্দরের প্রতীক, জীবনের অনরকম আঙ্গিক।

দেশবরেণ্য কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক এই গ্রন্থ সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন-

ইলিয়াসের 'অন্য ঘরে অন্য স্বর' তীরের মত ঋজু, ধানীলঙ্কার মত বদমেজাজি এবং পরনারীর মত আকর্ষণীয়। এই বইয়ের গদ্য শুকনো খটখটে, প্রায় সবটাই ডাঙা, ডাঙার উপর কচি নরম সবুজ গাছপালা জন্মেছে এমনও মনে হয় না। কোথাও একটু দয়া নেই, জল দাঁড়ায় না - বাস্তব ঠিক যেমনি, তেমনি আঁকা, ক্যামেরাও এরচেয়ে নিখুঁত ছবি তুলতে পারেনা।


****************
তথ্যসূত্র: কালি ও কলম
সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা

মতামত:_

0 মন্তব্যসমূহ