অনোমদর্শী কে? লেখক নির্দেশ করেন প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর। সত্যান্বেষী বলা যায় কী? প্রদোষ ও দোষীর মিত্রতার বিপরীতে যে যুক্তি তা হয়ত খাটবে না অনোমদর্শী মজুমদারের ক্ষেত্রে। এ এমন এক চরিত্র মনোসংযোগ যাঁর মূল মন্ত্র। কোমরের ভাঁজে তাঁর রিভলভার নয়, শস্ত্রহীন একা তাঁর যাতায়াত অলৌকিক দুনিয়ার অলিন্দে। বিজ্ঞান নাকচ করবে বারবার। যুক্তিবোধও। ব্যোমকেশ অথবা ফেলু যেখানে যুক্তির ভিত্তিপ্রস্তর এমনভাবে গাঁথবেন, যেখান থেকে তাঁদের টাল খাওয়ানো অসম্ভব। মস্তিষ্কের ব্যবহার, মগজাস্ত্র ইত্যাদি পেরিয়ে আরও অন্ধকারের দিকে শ্রী মজুমদারের যাত্রা। যেখানে সত্যান্বেষীদের মোলাকাত হয় অপরাধীদের অন্ধকার জগৎ-এর সঙ্গে, অনোমদর্শী সেখানে অতীতের অন্ধকার থেকে তুলে আনেন অলৌকিকতা। সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্ব এখানে অনর্থক। ভূত আছে কি নেই, সেই প্রশ্নও এখানে নিরর্থক। প্রাঞ্জল গদ্যের সঙ্গে পারিপার্শ্বিকতার রোমাঞ্চ মানুষকে বরাবর তাড়িত করেছে। পঙ্গুও গিরিলঙ্ঘন করেছেন। আর অনোমদর্শী হেঁটে গেছেন এক অলৌকিকতা থেকে আরেক অলৌকিকতায়। হাঁটুন অনোমদর্শী আরও আরও, সত্যের প্রলাপের চেয়ে অধিসত্যের রোমাঞ্চ আক্রান্ত করুক ওঁর পাঠকদের।
------
বই - নৈর্ঋত
লেখক - শ্রেয়ণ
প্রচ্ছদ - নীল ভাস্কর
প্রকাশক - যুগনদ্ধ, কলকাতা
দাম - ৮০ টাকা
0 মন্তব্যসমূহ
মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত। নীতিমালা, স্বীকারোক্তি, ই-মেইল ফর্ম